*১) সুজাউদ্দৌলা কে ছিলেন বা মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর কে বাংলার নবাব হন?
উত্তর - সুজা উদ্দৌলা আয়ুধের সুবেদার নবাব ছিলেন। মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর তার জামাতা বাংলার নবাব হন ১৭৫৪-১৭৭৫ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। নবাব থাকাকালীন তিনি বক্সারের যুদ্ধ এবং পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
*২) কোন সালে রেগুলেটিং আইন জারি করা হয়েছিল?
উত্তর - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দুর্নীতি দূরীকরণ, গঠন বিন্যাস ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন প্রণয়ন করেন। আর সেই আইনে বলা হয় বাংলা বোম্বাই ও মাদ্রাজে ১ করে কাউন্সিল থাকবে।
*৩) শ্রী রঙ্গপত্তমের সন্ধিতে স্বাক্ষরকারী কারা কারা ছিলেন ?কখন এই সন্ধিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর - তৃতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান হয়েছিল শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির দ্বারা। আর এই সন্ধিতে ঠিক হয় টিপু সুলতান ইংরেজদের তিন কোটি টাকা এবং জামিন স্বরূপ তার দুই পুত্রকে দিতে বাধ্য হবেন। এছাড়া বিজিত অঞ্চল ইংরাজ, মারাঠা ও নিজামের মধ্যে বন্টিত হল। যে সন্ধির দুটি পক্ষ ছিল একদিকে ছিলেন টিপু সুলতান এবং অপরদিকে ছিলেন ইংরেজ। সময়কালটি ছিল ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দ।
*৪) কখন ও কাদের মধ্যে চিলিয়ানওয়ালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
উত্তর - ১৮৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে চিলিয়ানওয়ালার যুদ্ধ হয়েছিল ।যে যুদ্ধের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল ইংরেজ এবং শিখ রাজ্য ।শিখদের তরফ থেকে সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শের সিং।
*৫) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রবর্তন করেন? কোন ভারতীয় শাসক এটি প্রথম গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর - লর্ডওয়েলেসলী ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে এসে কোম্পানীকে উদ্ধার করার জন্য অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ঘোষণা করেন ।হায়দরাবাদের নিজাম প্রথম এই চুক্তি গ্রহণ করেন ও স্বাক্ষর করেন।
*৬) আত্মীয় সভা কে এবং কখন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর - রাজা রামমোহন রায় নৈরাশ্যগ্রস্থ মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণা সম্পন্ন ভারতবাসীর বন্দীচিত্তের মুক্তি সাধনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যান। যিনি হিন্দুদের ধর্মীয় সংকীর্ণতা, পৌত্তলিকতা, ধর্মকেন্দ্রিক হানাহানি দূরীকরণের জন্য আত্মীয় সভা গঠন করেন ।আর এই আত্মীয় সভা গঠন হয়েছিল ১৮১৫ খ্রীস্টাব্দে।
*৭) সিপাহী বিদ্রোহ কখন এবং কোথায় শুরু হয়েছিল?
উত্তর - ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে মার্চ ব্যারাকপুরের সেনা নিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামে এক সিপাই প্রথম এই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। অতঃপর এই বিদ্রোহের আগুন সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে।
*৮) জ্যোতিবাও ফুলে কে ছিলেন?
উত্তর - ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে এবং তামিলনাড়ুতে উনিশ শতকের র্যাডিক্যাল সামাজিক আন্দোলন ঘটে। যে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন জ্যোতিবা ফুলে ।ফুলের র্যাডিক্যাল ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী ভূমিকা পরবর্তীকালে ভারতের সমগ্র দলিত আন্দোলন এবং নেতৃত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
*৯) জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কে এবং কখন নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?
উত্তর - জালিয়ানওলাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালের মে মাসে তাঁর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
*১০) কে কখন কাইজার-ই- হিন্দ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন?
উত্তর - মহাত্মা গান্ধী ১৯২০ সালে ১লা আগস্ট কাইজার-ই- হিন্দ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।
*১১) মহাত্মা গান্ধী কখন এবং কোন আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন?
উত্তর - মহাত্মাগান্ধী(সারা ভারত কংগ্ৰেস কমিটি)১৯৩৪সালে মে মাসে আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। নানা কারণে আইন অমান্য আন্দোলনের তীব্রতা প্রায় শূন্যের ঘরে নেমে আসলে গণ আইন অমান্যের পরিবর্তে ব্যক্তিগত আইন অমান্যের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতেই সরকারি বিরোধীতার ফলে এই আন্দোলন নিষ্প্রভ হয়ে যায়।
*১২) ভগৎ সিং কে ছিলেন?
উত্তর - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামীও সহীদ ছিলেন ভগৎ সিং। কেন্দ্রীয় আইন সভায় ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত বোমা নিক্ষেপ করে পাঞ্জাবের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট স্ট্যান্ডার্সকে হত্যা করেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় তার ফাঁসি হয়(১৯৩০)।
*১৩) জাতীয় কংগ্রেস কোন অধিবেশনে ভারতছাড়ো আন্দোলন প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল? করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ডাক কে দিয়েছিলেন?
উত্তর - কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট ভারতছাড়ো আন্দোলনে ডাক দেয়।তার পরেরদিন ৯ই আগস্ট কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতার করা হয় ।তারপরেই এই আন্দোলন ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। আর গান্ধীজী এই আন্দোলনে করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন।
*১৪) ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় কে ছিলেন?
উত্তর - ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন শ্রী চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীএবং শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন।
*১৫) কে কখন প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন?
উত্তর - মহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৬ সালে ক্যাবিনেট মিশন পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দেন। আর সেই সংগ্রাম বাংলা, বিহার, পাঞ্জাব,উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা গ্রহণ করে। বলা যায় মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দের এই হিংসাত্মক কাজই প্রত্যক্ষ সংগ্রাম নামে পরিচিত।
Comments
Post a Comment