Skip to main content

চতুর্থ সেমিস্টার জেনারেল ইতিহাস ছোট প্রশ্ন ২০২১

 *১) সুজাউদ্দৌলা কে ছিলেন বা মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর কে বাংলার নবাব হন? 

উত্তর - সুজা উদ্দৌলা আয়ুধের সুবেদার নবাব ছিলেন। মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর তার জামাতা বাংলার নবাব  হন ১৭৫৪-১৭৭৫ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। নবাব থাকাকালীন তিনি বক্সারের যুদ্ধ এবং পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।


*২) কোন সালে রেগুলেটিং আইন জারি করা হয়েছিল?

উত্তর - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দুর্নীতি দূরীকরণ, গঠন বিন্যাস ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন প্রণয়ন করেন। আর সেই আইনে বলা হয় বাংলা বোম্বাই ও মাদ্রাজে ১ করে কাউন্সিল থাকবে।


*৩) শ্রী রঙ্গপত্তমের সন্ধিতে স্বাক্ষরকারী কারা কারা ছিলেন ?কখন এই সন্ধিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?

উত্তর - তৃতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান হয়েছিল শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির দ্বারা। আর এই সন্ধিতে ঠিক হয় টিপু সুলতান ইংরেজদের তিন কোটি টাকা এবং জামিন স্বরূপ তার দুই পুত্রকে দিতে বাধ্য হবেন। এছাড়া বিজিত অঞ্চল ইংরাজ, মারাঠা ও নিজামের মধ্যে বন্টিত হল। যে সন্ধির দুটি পক্ষ ছিল একদিকে ছিলেন টিপু সুলতান এবং অপরদিকে ছিলেন ইংরেজ। সময়কালটি ছিল ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দ।


*৪) কখন ও কাদের মধ্যে চিলিয়ানওয়ালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়?

উত্তর - ১৮৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে চিলিয়ানওয়ালার যুদ্ধ হয়েছিল ।যে যুদ্ধের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল ইংরেজ এবং শিখ রাজ্য ।শিখদের তরফ থেকে সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শের সিং।

*৫) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রবর্তন করেন? কোন ভারতীয় শাসক এটি প্রথম গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তর - লর্ডওয়েলেসলী ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে এসে কোম্পানীকে উদ্ধার করার জন্য অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ঘোষণা করেন ।হায়দরাবাদের নিজাম প্রথম এই চুক্তি গ্রহণ করেন ও স্বাক্ষর করেন।


*৬) আত্মীয় সভা কে এবং কখন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তর - রাজা রামমোহন রায় নৈরাশ্যগ্রস্থ মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণা সম্পন্ন ভারতবাসীর বন্দীচিত্তের মুক্তি সাধনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যান। যিনি হিন্দুদের ধর্মীয় সংকীর্ণতা, পৌত্তলিকতা, ধর্মকেন্দ্রিক হানাহানি দূরীকরণের জন্য আত্মীয় সভা গঠন করেন ।আর এই আত্মীয় সভা গঠন হয়েছিল ১৮১৫ খ্রীস্টাব্দে।


*৭) সিপাহী বিদ্রোহ কখন এবং কোথায় শুরু হয়েছিল?

উত্তর - ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে মার্চ ব্যারাকপুরের সেনা নিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামে এক সিপাই প্রথম এই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। অতঃপর এই বিদ্রোহের আগুন সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে।


*৮) জ্যোতিবাও ফুলে কে ছিলেন?

উত্তর - ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে এবং তামিলনাড়ুতে উনিশ শতকের র‌্যাডিক্যাল সামাজিক আন্দোলন ঘটে। যে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন জ্যোতিবা ফুলে ।ফুলের র‌্যাডিক্যাল ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী ভূমিকা পরবর্তীকালে ভারতের সমগ্র দলিত আন্দোলন এবং নেতৃত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।


*৯) জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কে এবং কখন নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?

উত্তর - জালিয়ানওলাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালের মে মাসে তাঁর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।


*১০) কে কখন কাইজার-ই- হিন্দ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন?

উত্তর - মহাত্মা গান্ধী ১৯২০ সালে ১লা আগস্ট কাইজার-ই- হিন্দ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।


*১১) মহাত্মা গান্ধী কখন এবং কোন আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন?

উত্তর - মহাত্মাগান্ধী(সারা ভারত কংগ্ৰেস কমিটি)১৯৩৪সালে মে মাসে আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। নানা কারণে আইন অমান্য আন্দোলনের তীব্রতা প্রায় শূন্যের ঘরে নেমে আসলে গণ আইন অমান্যের পরিবর্তে ব্যক্তিগত আইন অমান্যের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতেই সরকারি বিরোধীতার ফলে এই আন্দোলন নিষ্প্রভ হয়ে যায়।


*১২) ভগৎ সিং কে ছিলেন?

উত্তর - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামীও সহীদ ছিলেন ভগৎ সিং। কেন্দ্রীয় আইন সভায় ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত বোমা নিক্ষেপ করে পাঞ্জাবের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট স্ট্যান্ডার্সকে হত্যা করেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় তার ফাঁসি হয়(১৯৩০)।


*১৩) জাতীয় কংগ্রেস কোন অধিবেশনে ভারতছাড়ো আন্দোলন প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল? করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ডাক কে দিয়েছিলেন?

উত্তর - কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট ভারতছাড়ো আন্দোলনে ডাক দেয়।তার পরেরদিন ৯ই আগস্ট কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতার করা হয় ।তারপরেই এই আন্দোলন ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। আর গান্ধীজী এই আন্দোলনে করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন।


*১৪) ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় কে ছিলেন?

উত্তর - ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন শ্রী চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীএবং শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন।


*১৫) কে কখন প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন?

উত্তর - মহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৬ সালে ক্যাবিনেট মিশন পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দেন। আর সেই সংগ্রাম বাংলা, বিহার, পাঞ্জাব,উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা গ্রহণ করে। বলা যায় মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দের এই হিংসাত্মক কাজই প্রত্যক্ষ সংগ্রাম নামে পরিচিত।

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...