Skip to main content

চতুর্থ সেমিস্টার ইতিহাস জেনারেল ছোট প্রশ্ন উত্তর ২০২০।

 1) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় দেওয়ানি অর্জন করে?


উত্তর - ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার কোম্পানী দেওয়ানী লাভ করে ।আর ঐসব অঞ্চলের কোম্পানী রাজস্ব অধিকার লাভ করে কিন্তু কোম্পানীর কর্মচারী এবং শান্তি শৃঙ্খলার দায়িত্বে অর্পিত হয় নবাবের উপর। অর্থাৎ কোম্পানি ছিল বাংলার প্রকৃত শাসক নবাব নামে প্রধান ছিল এই ব্যবস্থাকে বলা হয় দ্বৈতশাসন।


২) কবে কাদের মধ্যে অমৃতসর চুক্তি সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?


উত্তর - ১৮৪৯ সালে অমৃতসরের সন্ধি রঞ্জিত সিংহ এবং ইংরেজদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা শতদ্রু নদীর রাজ্যগুলির ওপর রঞ্জিত সিংয়ের কর্তৃত্ব স্বীকৃত হয় এবং শতদ্রু নদীর পূর্ব তীরস্থ রাজ্যগুলির ওপর তিনি দাবি ত্যাগ করেন। পূর্বতীরস্থ রাজ্যগুলি ইংরেজ নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে পড়ে। এই সন্ধির ফলে অখন্ড শিখ রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।


৩) স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন? দুটি রাজ্যের নাম কর যে দুটি রাজ্য এই নীতির মাধ্যমে সংযুক্ত হয়?


উত্তর - লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন। আর এই নীতি অনুযায়ী লর্ড ডালহৌসি, ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে সাঁতারা, ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে জৈৎপুর এবং সম্বলপুর, ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের বাঘাট, ১৮৫২ খ্রিস্টাবে উদয়পুর, ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে নাগপুর, ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ঝাঁসি দখল করেন।


৪) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের সম্রাট ও গভর্নর জেনারেল কে কে ছিলেন?


উত্তর - ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ। ঠিক সেই সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন চার্লস ক্যানিং।


৫) নীলদর্পণ নাটকখানি কে এবং কেন লেখেন?


উত্তর -প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র নীলদর্পণ নামে একটি নাটক রচনা করেন। আর এই নাটকে নীলকর সাহেবদের কঠিন অত্যাচারের মনস্পর্শী কাহিনী খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এই নাটকটিতে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন লং সাহেব এবং এর জন্য তাঁকে এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল।


৬) হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও কে ছিলেন এবং তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ কি কি ছিল?


উত্তর -হেনরী ভিভিয়ান ডিরোজিও এক জলন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন  বিদগ্ধ মহামানব ছিলেন । তিনি হিন্দু বিদ্যালয়ের ভাষা ও ইতিহাসের শিক্ষক। নবজাগরণের ভাবধারায় উদ্দীপিতএই শিক্ষাবিদ প্রতিক্রিয়াশীল হিন্দুদের কুসংস্কার, পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে ও প্রভাবে একদল গড়ে ওঠে যা নব্য বঙ্গ দল নামে পরিচিত। আর এই  দল বিভিন্ন সংস্কারের সংকল্প নিয়ে আন্দোলনে ব্রতী হয়েছিলেন।


৭) কে এবং কখন জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি পরিত্যাগ করেন?


উ- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ১৯১৯ সালে মে মাসে তাঁর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।


৮) খিলাফত আন্দোলনে দুজন নেতার নাম লেখো।


উত্তর - খিলাফত আন্দোলনের দুজন নেতা হলেন সৌকৎ আলী এবং মহম্মদ আলী ।আর এই দুই নেতা অর্থাৎ আলী ভাতৃদ্বয় নামে পরিচিত ছিলেন।


৯) খোদাঁ-ই-খিদমতগার বলতে কী বোঝায় এই কথাটির অর্থ কি?


উত্তর - ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের নেতা খান আব্দুল গফফার খাঁ সীমান্ত গান্ধী নামে পরিচিত। তার সংগঠনের নাম খোদা- ই- খিদমতমগার। যার অর্থ হল ঈশ্বরের সেবক। সেই সংগঠনের সদস্যরা লাল রংয়ের কুর্তা পরতেন বলে তাদের লাল বাহিনী বলা হতো।


১০) পুনা চুক্তি কি? এই চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?


উত্তর - সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের যখন হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল তখন এই অশুভ প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করার জন্য গান্ধীজি এবং বি আর আম্বেদকর ১৯৩২ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।


১১) তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার মেদিনীপুর কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? এই সরকারের প্রধান কে ছিলেন?


উত্তর -১৯৪২ সালে ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় মেদিনীপুরের তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ।তখন এই সরকারের প্রধান বা সর্বাধিনায়ক ছিলেন সতীশচন্দ্র সামন্ত।


১২) লক্ষ্মৌ চুক্তি কবে এবং কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?


উত্তর - 1916 সালে জাতীয় কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের মধ্যে লক্ষ্মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর এই চুক্তি অনুযায়ী স্থির হয় যে উভয়ের সংস্থা ঐক্যবদ্ধ ভাবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শামিল হবেন । কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য ও সাম্প্রদায়িকতাজনিত কারণে তা ব্যর্থ হয়ে যায়।


১৩) কবে কাদের মধ্যে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়?


উত্তর - ১৯৪০ সালে লাহোর কংগ্রেসের ফজলুল হক এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। তবে পাকিস্তান গঠনের স্পষ্ট কোন প্রস্তাব ছিল না। এই কংগ্রেসে মহম্মদ আলী জিন্নাহ সভাপতিত্ব করেন।


১৪) কবে এবং কোথায় নৌ বিদ্রোহ হয়েছিল?

উত্তর - ১৯৪৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বোম্বাইয়ের তলোয়ার নামক জাহাজে নাবিকরা বিদ্রোহ করে। আর সেই বিদ্রোহ ভারতের ইতিহাসে নৌ বিদ্রোহ নামে পরিচিত।


১৫) কবে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল?


উত্তর - ভারতীয় সংবিধান ১৯৪৯ সালে ২৬ শে জানুয়ারি গৃহীত হয় এবং ১৯৫০সালে ২৬ শে জানুয়ারি থেকে তা কার্যকারী হয়। আর এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ভারতবাসী পালন করেন।


Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প