১) কোন বছর পিটের ভারতে ফিটস ইন্ডিয়া আইন বা অ্যাক্ট পাশ হয়?
উত্তর - ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সংস্কারমূলক আইন প্রণীত হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পিট এর নাম অনুসারে এ আইনটির নাম হয় পিটস ইন্ডিয়া অ্যআক্ট। এই আইনে ভারতের কোম্পানি কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ডকে ব্রিটিশ সরকারের সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যেখানে দেশীয় রাজ্যগুলির সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি ঘোষণা করা হয় (সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা অনুসারে)।
২) কাদের মধ্যে এবং কখন সলবাইয়ের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর - ইংরেজ ও মারাঠাদের মধ্যে যে প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ হয় ।আর সেই যুদ্ধের অবসান ঘটে ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে সলবাই এর সন্ধির দ্বারা। এই সন্ধির শর্ত ছিল যে, দ্বিতীয় মাধবরাও পেশোয়া হবেন, রাখোবা ২৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। কোম্পানি সলসেট পাবে এবং সিন্ধিয়া, গায়কোয়াড নিজ নিজ অঞ্চল ফিরে পাবেন।
৩) সূর্যাস্ত আইন কি ছিল?
উত্তর - সানসেট ল বা সূর্যাস্ত আইন লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেন। এই আইন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সঙ্গে জড়িত ছিল। কোন জমিদার খাজনা বা রাজস্ব জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে জমা দিতে না পারলে তার জমিদারি ক্রোক করা হতো।
৪) "বেদের সময় ফিরে যাও" কে কেন বলেছিলেন?
উত্তর - স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সময় এই কথাটি বলেছিলেন। তাঁর কাছে বেদ-ই ছিল মূলমন্ত্র। তাঁর প্রধান বাণী ছিল "বেদে ফিরে যাও( Go back to the Vedas)।
৫) হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন? তিনি কি জন্য বিখ্যাত?
উত্তর - হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখার্জী। তিনি নীলকর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার প্রতিবাদেই নীলকরদের অত্যাচার কমেছিল।
৬) চৌরীচৌরার ঘটনা কবে বা কখন ঘটেছিল?
উত্তর - ভগবান আহীরের ওপর পুলিশের বেত্রাঘাত ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর জেলার চৌরীচৌরা গ্রামে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ সালে কৃষাণ জনতা থানার সামনে জমায়েত হলে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায়। তার ফলে জনতা উত্তেজিত হয়ে থানায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ২২ জন পুলিশ সেই আগুনে পুড়ে মারা যায়। এই ঘটনায় গান্ধীজি হতাশ হয়ে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
৭) ভারতীয় সংবিধানে প্রধান রূপকার রূপে কে পরিচিত?
উত্তর - ড. বি আর আম্বেদকর কে ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রচয়িতা বলা হয়। তিনিই ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার হিসাবে পরিচিত।
৮) গান্ধীজী কখন অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন?
উত্তর - ১৯২০ সালে গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলন এর সূত্রপাত করেন । ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন চৌরিচৌরাতে হিংস্র রূপ ধারণ করায় গান্ধীজি এই আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
৯) কাদের মধ্যে কোন সন্ধির দ্বারা দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান হয়?
উত্তর - দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ চলাকালীন ব্যাধিতে আক্রান্ত হায়দার আলীর মৃত্যু হয়। তবে তার সুযোগ্য পুত্র টিপু সুলতান যুদ্ধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর টিপুর আক্রমণে ইংরেজরা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় । ইতিমধ্যে ইউরোপ যুদ্ধের অবসান হওয়ায় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ম্যাঙ্গালোরের সন্ধির দ্বারা দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান ঘটে।
১০) কখন ও কাদের মধ্যে লাহোরের সন্ধি সম্পাদিত হয়?
উত্তর - ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে শিখ ও ইংরেজদের মধ্যে লাহোরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় । এই সন্ধিতে পাঞ্জাবে ইংরেজ শক্তি প্রাধান্য বৃদ্ধি পায়। অতঃপর লাহোর দরবারে ব্রিটিশ প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা হয়। তবে এই সন্ধির ফলে অখন্ড শিখ রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
১১) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে এবং কবে প্রবর্তন করেন?
উত্তর - ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারত ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে । কারণ ঐ বছরে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন করেন। আর এই ব্যবস্থার প্রাক্কালে কোম্পানির আয় ব্যয়ের কোন নির্দিষ্ট হিসাব ছিল না ।এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রাক্কালে কর্ণওয়ালিসের সাথে স্যার জন শোরের তীব্র বিতর্ক হয়। কিন্তু লর্ড কর্নওয়ালিসের সাথে কর্তৃপক্ষের নিবিড় সম্পর্ক থাকায় তিনি ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
১২) আত্মীয় সভা কে, কেন গঠন করেন?
উত্তর - রাজা রামমোহন রায় নৈরাশ্যগ্রস্থ মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণা সম্পন্ন ভারতবাসীর বন্দী চিত্তের মুক্তিসাধনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যান। তিনি হিন্দুদের ধর্মীয় সংকীর্ণতা, পৌত্তলিকতা, ধর্মকেন্দ্রিক হানাহানি দূরীকরণের জন্য আত্মীয় সভা গঠন করেন।
১৩) সংবাদ প্রভাকর ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার প্রবর্তক কারা?
উত্তর - সংবাদ প্রভাকর ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে কবি ঈশ্বর গুপ্ত ও অক্ষয় কুমার দত্ত।
১৪) কংগ্রেস কবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব পাস করে এবং কে করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন?
উত্তর - কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৪২ সালের ৮ ই আগস্ট ভারতছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেয়। আর ৯ই আগস্ট কংগ্রেস নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।তারপরেই এই আন্দোলন ক্রমশঃ তীব্রতর হতে থাকে । গান্ধীজী এই আন্দোলনে করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন।
১৫) কে ডাইরেক্ট এ্যাকশন বা প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন?
উত্তর - ১৯৪৬ সালে ক্যাবিনেট মিশন পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহু প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দেন বাংলা বিহার উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দের এই হিংসাত্মক কাজী প্রত্যক্ষ সংগ্রাম বা ডাইরেক্ট এ্যাকশন নামে পরিচিত।
Comments
Post a Comment