Skip to main content

চতুর্থ সেমিস্টার ইতিহাস জেনারেল ছোট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

 ১) কোন বছর পিটের ভারতে ফিটস ইন্ডিয়া আইন বা অ্যাক্ট পাশ হয়?

উত্তর - ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সংস্কারমূলক আইন প্রণীত হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পিট এর নাম অনুসারে এ আইনটির নাম হয় পিটস ইন্ডিয়া অ্যআক্ট। এই আইনে ভারতের কোম্পানি কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ডকে ব্রিটিশ সরকারের সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যেখানে দেশীয় রাজ্যগুলির সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি ঘোষণা করা হয় (সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা অনুসারে)।


২) কাদের মধ্যে এবং কখন সলবাইয়ের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তর - ইংরেজ ও মারাঠাদের মধ্যে যে প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ হয় ।আর সেই যুদ্ধের  অবসান ঘটে ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে সলবাই এর সন্ধির দ্বারা। এই সন্ধির শর্ত ছিল যে, দ্বিতীয় মাধবরাও পেশোয়া হবেন, রাখোবা ২৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। কোম্পানি সলসেট পাবে এবং সিন্ধিয়া, গায়কোয়াড নিজ নিজ অঞ্চল ফিরে পাবেন।


৩) সূর্যাস্ত আইন কি ছিল?

উত্তর - সানসেট ল বা সূর্যাস্ত আইন লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেন। এই আইন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সঙ্গে জড়িত ছিল। কোন জমিদার খাজনা বা রাজস্ব জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে জমা দিতে না পারলে তার জমিদারি ক্রোক করা হতো।


৪) "বেদের সময় ফিরে যাও" কে কেন বলেছিলেন?

উত্তর - স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সময় এই কথাটি বলেছিলেন। তাঁর কাছে বেদ-ই ছিল মূলমন্ত্র। তাঁর প্রধান বাণী ছিল "বেদে ফিরে যাও( Go back to the Vedas)।


৫) হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন? তিনি কি জন্য বিখ্যাত?

উত্তর - হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখার্জী। তিনি নীলকর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার প্রতিবাদেই নীলকরদের অত্যাচার কমেছিল।


৬) চৌরীচৌরার ঘটনা কবে বা কখন ঘটেছিল?

উত্তর - ভগবান আহীরের ওপর পুলিশের বেত্রাঘাত ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর জেলার চৌরীচৌরা গ্রামে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ সালে কৃষাণ জনতা থানার সামনে জমায়েত হলে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায়। তার ফলে জনতা উত্তেজিত হয়ে থানায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ২২ জন পুলিশ সেই আগুনে পুড়ে মারা যায়। এই ঘটনায় গান্ধীজি হতাশ হয়ে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

৭) ভারতীয় সংবিধানে প্রধান রূপকার রূপে কে পরিচিত?

উত্তর - ড. বি আর আম্বেদকর কে ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রচয়িতা বলা হয়। তিনিই ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার হিসাবে পরিচিত।


৮) গান্ধীজী কখন অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন?

উত্তর - ১৯২০ সালে গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলন এর সূত্রপাত করেন । ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন চৌরিচৌরাতে হিংস্র রূপ ধারণ করায় গান্ধীজি এই আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।


৯) কাদের মধ্যে কোন সন্ধির দ্বারা দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান হয়?

উত্তর - দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ চলাকালীন ব্যাধিতে আক্রান্ত হায়দার আলীর মৃত্যু হয়। তবে তার সুযোগ্য পুত্র টিপু সুলতান যুদ্ধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর টিপুর আক্রমণে ইংরেজরা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় । ইতিমধ্যে ইউরোপ যুদ্ধের অবসান হওয়ায় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ম্যাঙ্গালোরের সন্ধির দ্বারা দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান ঘটে।


১০) কখন ও কাদের মধ্যে লাহোরের সন্ধি সম্পাদিত হয়?

উত্তর - ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে শিখ ও ইংরেজদের মধ্যে লাহোরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় । এই সন্ধিতে পাঞ্জাবে ইংরেজ শক্তি প্রাধান্য বৃদ্ধি পায়। অতঃপর লাহোর দরবারে ব্রিটিশ প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা হয়। তবে এই সন্ধির ফলে অখন্ড শিখ রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।


১১) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে এবং কবে প্রবর্তন করেন?

উত্তর - ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারত ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে । কারণ ঐ বছরে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন করেন। আর এই ব্যবস্থার প্রাক্কালে কোম্পানির আয় ব্যয়ের কোন নির্দিষ্ট হিসাব ছিল না ।এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রাক্কালে কর্ণওয়ালিসের সাথে স্যার জন শোরের তীব্র বিতর্ক হয়। কিন্তু লর্ড কর্নওয়ালিসের সাথে কর্তৃপক্ষের নিবিড় সম্পর্ক থাকায় তিনি ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।


১২) আত্মীয় সভা কে, কেন গঠন করেন?

উত্তর - রাজা রামমোহন রায় নৈরাশ্যগ্রস্থ মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণা সম্পন্ন ভারতবাসীর বন্দী চিত্তের মুক্তিসাধনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যান। তিনি হিন্দুদের ধর্মীয় সংকীর্ণতা, পৌত্তলিকতা, ধর্মকেন্দ্রিক হানাহানি দূরীকরণের জন্য আত্মীয় সভা গঠন করেন।


১৩) সংবাদ প্রভাকর ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার প্রবর্তক কারা?

উত্তর - সংবাদ প্রভাকর ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে কবি ঈশ্বর গুপ্ত ও অক্ষয় কুমার দত্ত।


১৪) কংগ্রেস কবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব পাস করে এবং কে করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন? 

উত্তর - কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৪২ সালের ৮ ই আগস্ট ভারতছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেয়। আর ৯ই আগস্ট কংগ্রেস নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।তারপরেই এই আন্দোলন ক্রমশঃ তীব্রতর হতে থাকে । গান্ধীজী এই আন্দোলনে করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন।


১৫) কে ডাইরেক্ট এ্যাকশন বা প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন?

উত্তর - ১৯৪৬ সালে ক্যাবিনেট মিশন পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহু প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দেন বাংলা বিহার উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দের এই হিংসাত্মক কাজী প্রত্যক্ষ সংগ্রাম বা ডাইরেক্ট এ্যাকশন নামে পরিচিত।



Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প