Skip to main content

চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০২২ ও অন্যআন্য প্রশ্নোত্তর।

 রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ সেমিস্টার।

১) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু লেখো।

উত্তর - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক মতাদর্শ, ক্ষমতা, জাতীয় স্বার্থ, যুদ্ধ ও শান্তি, আন্তর্জাতিক সংগঠন, সন্ত্রাসবাদ, নিরস্ত্রীকরণ জোট গঠন সহ সমগ্র আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার যাবতীয় বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আলোচনা করে।


২) ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির ভূখণ্ডের ধারণাটি লেখো।

উত্তর - ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দের সম্পাদিত ওয়েস্টফলিয়া চুক্তির মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ভুখেন্দ্রিক সার্বভৌম- জাতীয় রাষ্ট্রের ধারণাটি প্রাধান্য পেয়েছে। আর সে সময় জাতি রাষ্ট্রগুলো নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে একে অপরের সাথে আর্থ রাজনৈতিক বাণিজ্যিক সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে তা থেকেই আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে প্রথম সূচনা ঘটে।


৩) নয়া উদারনীতিবাদের দুজন তাত্ত্বিকের নাম লেখো।

উত্তর - রবার্ট কোহেন, জোসেফ নাই, জেমস রোশনাউ এবং পিটার হার্স হলেন নয়া উদারনীতিবাদের তাত্ত্বিকগণ।


৪) জাতীয় স্বার্থ কাকে বলে?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির অন্যতম মৌলিক ধারণা হলো জাতীয় স্বার্থ। জাতীয় স্বার্থ বলতে যাবতীয় মূল্যবোধের ধারণাকে বোঝায় (Sum total of all the national values)।


৫) উদারনীতি বাদ তত্ত্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।


১) উদারনীতি বাদে ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রভৃতি প্রভৃতি ব্যক্তির স্বাধীনতাকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।


২) উদারনীতিবাদে ব্যক্তির পৌর ও রাজনৈতিক অধিকার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে চিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার গুলিকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।


৬) কেন্দ্রস্থিত রাষ্ট্রের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর - বিশ্ব ব্যবস্থার তত্ত্ব অনুযায়ী বিশ্ব ব্যবস্থার মূল কেন্দ্রে অবস্থান করে পশ্চিমী উন্নত গণতান্ত্রিক কয়েকটি দেশ। যে দেশগুলি বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রা হিসেবে পরিগণিত হয় ।আর এদেরকেই কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র নামে অভিহিত করা হয়।


৭) ঠান্ডা যুদ্ধ বলতে কী বোঝো?

উত্তর -দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক জোটের মতাদর্শগত বিরোধ প্রত্যক্ষ যুদ্ধের আকার ধারণ না করে যে স্নায়ু যুদ্ধের সূচনা করে তাকে ঠান্ডা যুদ্ধ বলা হয়।


৮) ঠান্ডা যুদ্ধের দুটি পর্বের বিবরণ দাও

উত্তর -১) ঠান্ডা যুদ্ধের সূচনা পর্ব হিসেবে ১৯৪৫ থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের সময়কালকে চিহ্নিত করা হয়। এই সময়ে পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক সরকারের প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনের ভীতির কারণ হয়েছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্যবাদ প্রতিরোধের নীতি গ্রহণ করে।

২) ঠান্ডা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে ১৯৫০ থেকে ৫৩ খ্রিস্টাব্দের সময়কালকে চিহ্নিত করা হয়। এই পর্যায়ে ঠান্ডা যুদ্ধ ইউরোপ থেকে এশিয়া বিস্তার লাভ করে।


৯) NATO সম্পূর্ণ নাম কি? এটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর - North Atlantic Treaty Organisation । এটি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ৪ঠা এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়।


১০) তৃতীয় বিশ্ব বলতে কী বোঝ?

উত্তর - তৃতীয় বিশ্ব হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক নতুন ধারণা। যেটি ছয়ের দশকে উদ্ভব হয়। ঠান্ডা লড়াইয়ে রত রুশ মার্কিন উভয় জোটের  বাইরে এশিয়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা সদ্য স্বাধীনতার প্রাপ্ত দেশগুলি তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত।মে দেশগুলি সাধারণত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, দারিদ্র্যপীড়িত ও পশ্চাৎপদ।


১১) যৌথ নিরাপত্তা বলতে কী বোঝো?

উত্তর -যুদ্ধের প্রতিরোধকল্পে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে কিছু রাষ্ট্রের যৌথ সমবায়ই এক কর্মকৌশলই যৌথ নিরাপত্তা নামে পরিচিত।


১২) নয়া বাস্তববাদ ও তার সমালোচনা লেখো।

উত্তর -আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়া বাস্তববাদ হলো সেই ধারা যা আন্ত:রাষ্ট্র সম্পর্কে আলোচনায় রাষ্ট্র ছাড়াও বিভিন্ন ও অরাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

নয়া বাস্তববাদ তত্ত্বটি একক ও ব্যবস্থার মধ্যে যথার্থ সম্পর্ক কি হবে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু বলেনি। রাষ্ট্রও যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি ভূমিকা নিতে পারে শেষ সম্পর্কে এই তথ্যটি নীরব।


১৩) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়া উদারনীতিবাদ বলতে কী বোঝো?

উত্তর - রাষ্ট্রতত্ত্বের আলোচনায় উদারনীতিবাদের পুনরুত্থানই হল নয়া- উদারনীতিবাদ, যার মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও কাজের পরিধিকে সংকুচিত করা।


১৪) প্রান্তীয় রাষ্ট্র কি?

উত্তর - বিশ্ব ব্যবস্থার তত্ত্ব অনুযায়ী বিশ্ব ব্যবস্থার মূল কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী পরিধিতে অবস্থান করে দরিদ্র দেশগুলি, যারা মূলত অন্নুয়নের শিকার । এদেরকে প্রান্তীয় রাষ্ট্র নামে অভিহিত করা হয়।


১৬) ফ্যাসিবাদ কি? এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তর - ইতালিতে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মুসোলিনি যে মতাদর্শ ও আন্দোলনের সূত্রপাত করেন তা ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ফ্যাসিজম। এই মতাদর্শ হলো জাতীয়তাবাদী ও স্বৈরতন্ত্রী। ফ্যাসিবাদ জঙ্গি ক্রিয়া-কলাপ ও যুদ্ধকেও আহ্বান করে , কারণ তাতে জাতীয় আবেগ তীব্র হয় এবং সমগ্ৰের স্বার্থে আত্মাহুতির প্রবণতা উৎসাহিত হয়।।


১৭) নাৎসীবাদের সমালোচনা লেখ।

উত্তর - 

নাৎসি ব্যবস্থার মাধ্যমে জার্মান ১ কেন্দ্রীভূত একনায়কতন্ত্রী কর্তৃত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় পরিণত হয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নাৎসি জল ছাড়া অন্য সব দল নিষিদ্ধ ছিল।

নাৎসীবাহিনী ক্যাথলিক চার্চ, চার্চ নেতৃত্বে ও সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে। চলচ্চিত্রসহ সহ সব প্রচার মাধ্যমের ওপর নাৎসি দলের নিয়ন্ত্রণ স্থাপিত হয়। সর্বত্র স্বৈরতান্ত্রিকতা ছেয়ে যায়।


১৮) দ্বিমেরুকরণ বলতে কী বোঝো?

 উত্তর - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সমগ্র পৃথিবী দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।একেই দ্বিমেরুকরণ বলা হয়।


১৯) NAM কী?

NAM এর কুকথা হলো Non Aligned Movement-যার উল্লেখযোগ্য একটি নীতি হলো সকল জাতির আত্মনিয়ন্ত্রের অধিকারের স্বীকৃতি।







Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প