Skip to main content

রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দ্বিতীয় সেমিস্টার- ২০১৯

 ২০১৯ 

১) ভারতীয় সংবিধানে দুটি উৎস লেখো।

উত্তর - ক) ১৭৮৭ সালের মার্কিন সাংবিধানিক কনভেনশন ও ১৭৮৯ সালের ফরাসি জাতীয় কনভেনশন।

খ) গ্রেট ব্রিটেন থেকে গৃহীত হয়েছে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, আইনের শাসন ও আইন প্রণয়ন পদ্ধতি, একক নাগরিকত্বের ধারণা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গৃহীত হয়েছে প্রস্তাবনা মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও পুনর্বিবেচনা প্রভৃতি।


২) ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোন কোন নীতি যুক্ত হয়?

      উত্তর - ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনার যেসব নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয়েছে তা হলো সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয় সংহতি।


৩) ১৯ নম্বর ধারায় যে চারটি স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে তা লেখো।

উত্তর - বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা , শান্তিপূর্ণভাবে নিরস্ত্র হয়ে সমাবেশের স্বাধীনতা, সমিতি বা সংঘ গঠনের স্বাধীনতা এবং ভারতের যেকোনো স্থানে বসবাসের স্বাধীনতা।


৪)যুগ্ম তালিকা ভুক্ত যেকোনো চারটি বিষয়ে উল্লেখ করো।

উত্তর - ভারতীয় সংবিধানের যুগ্ম তালিকার চারটি অন্যতম বিষয় হলো বিবাহ, শিক্ষা বিদ্যুৎ এবং সংবাদপত্র।


৫) ৩২ নম্বর ধারার তাৎপর্য কি?

উত্তর - সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- মৌলিক অধিকার যাতে ক্ষুন্ন না হয় তা রক্ষা করার ব্যবস্থা। এই ক্ষমতা বলে সুপ্রিম কোর্ট ৫ ধরনের লেখ জারির মাধ্যমে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের রক্ষক ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করে।


৬) পকেট ভেটো কি?

উত্তর - রাষ্ট্রপতি কোন বিলে অসম্মতি জানিয়ে অথবা সম্মতি প্রদান না করে অথবা বিলটিকে বাতিল বা সংসদে পুনর্বিবেচনার জন্য না পাঠিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেলে রাখতে পারেন। আর একেই বলা হয় পকেট ভেটো।


৭) অর্ডিন্যান্স বলতে কী বোঝো

উত্তর - ভারতীয় সংবিধানের ১২৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে- পার্লামেন্টের অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন বিশেষ প্রয়োজনের কোন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি জরুরি আইন বা অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন।


৮) ৩৫২ নম্বর ধারার তাৎপর্য কি

উত্তর -ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে-  যুদ্ধ বহিরাক্রমণ বা আভ্যন্তরীণ সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে সমগ্র দেশে বা দেশের কোন অংশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বা হবার সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে রাষ্ট্রপতি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।


৯) অর্থ বিল কাকে বলে?

উত্তর- ১১০ (৪) নং ধারা অনুযায়ী অর্থ বিল যখন রাজ্যসভায় প্রেরিত হয় অথবা ১১১ নং ধারানুসারে যখন রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য প্রেরিত হয়, তখন লোকসভার অধ্যক্ষকে একটি সার্টিফিকেট দিতে হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিলটি হল একটি অর্থ বিল। অর্থ বিলের সুনির্দিষ্ট উদাহরণ: বাজেট, বিনিয়োগ বিল এবং রাজস্ব বিল হল অর্থ বিলের উদাহরণ।


১০) জনস্বার্থ মামলা বলতে কী বোঝো

উত্তর - জনস্বার্থ মামলা একটি আইনি প্রক্রিয়া যার দ্বারা জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার্থে আদালতে মামলা দায়ের করে আইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার বলবৎ করা হয়।


১১) উপরাষ্ট্রপতির দুটি কাজ লেখো

উত্তর - উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার সভাপতি হিসেবে কার্য সম্পাদন করে থাকেন ।ভারতে উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান পদে আসীন হন । তবে মৃত্যু, পদত্যাগ বা রাষ্ট্রপতি অপসারিত হলে উপরাষ্ট্রপতি সর্বাধিক ৬মাস পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে ওই পদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।


১২) লোকসভার গঠন আলোচনা কর

উত্তর - সংবিধান অনুসারে লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যা ৫৬২ বেশি হবে না। বর্তমানে লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যা ৫৪৫ জন ।এর মধ্যে ৫৪৩ জন সদস্য প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হন। আর বাকি দুজন সদস্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হন।


১৩) বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা বলতে কী বোঝো

উত্তর - বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় -

প্রথমত: বিচারপতি নিয়ােগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিচার বিবেচনার সম্ভাবনা দূর করার জন্য উপযুক্ত নিয়ােগ পদ্ধতি স্থির করা। 

দ্বিতীয়ত: সদাচরণ সাপেক্ষে নিযুক্ত কর্মীদের কাজের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা বিধান করা।

 তৃতীয়ত: সুনাম ও যােগ্যতার মানদণ্ডে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।


১৪) সুপ্রিম কোর্টের গঠন আলোচনা কর।

উত্তর - সংবিধানের ১২৪ নম্বর ধারা অনুসারে একজন প্রধান বিচারপতি এবং অন্য কয়েকজন বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হবে, । সংবিধানে আরো বলা হয়েছে যে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে বিচারপতির সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করতে পারে। ২০১১ সালে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে বলে যে সুপ্রিম কোর্টে মোট বিচারপতির সংখ্যা হবে সর্বাধিক ৩১ জন ।এছাড়াও অস্থায়ী বিচারপতিও নিয়োগের ব্যবস্থা আছে।


১৫) UPSC গঠন আলোচনা কর।

উত্তর - সভাপতি সহ 9 জন সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠিত হয় কমিশনের সভাপতি ও সদস্যগণ রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত

Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প