Skip to main content

রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দ্বিতীয় সেমিস্টার -২০২১


১) ভারতীয় সংবিধান প্রণয়নে খসড়া কমিটির ভূমিকা লেখ।

উত্তর - ভারতীয় গণপরিষদের পঞ্চম অধিবেশনে খসড়াকমিটি গঠিত হয় ।১৯৪৭ সালে ২৯ আগস্ট সেই গণপরিষদ একটি খসড়া কমিটি গঠন করেন। আর সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ডঃ আম্বেদকর। আসলে সংবিধান রচনার জন্য এই খসড়া কমিটি সেদিন গঠিত হয়েছিল।


২) সংবিধানের প্রস্তাবনায় বর্ণিত ভারতীয় রাষ্ট্রের আলোচনা কর।

উত্তর - আমরা ভারতের জনগণ। ভারতকে সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে হবে। ভারতের সকল নাগরিকই যাতে সামাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় বিচার, চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা কথা বলা হয়েছে।







৩) ৪২ তম সংবিধান সংশোধনে কোন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়েছে?

উত্তর - ৪২ তম সংবেদন সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনার যেসব নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয়েছে তা হলো সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয় সংহতি।


৪) শোষনের বিরুদ্ধে  অধিকার আলোচনা করো।

উ- সংবিধানের ২৩নং নম্বর ধারা অনুসারে মানুষকে নিয়ে ব্যবসা, বলপূর্বক শ্রমদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবিধানের ২৪নং নম্বর ধারা অনুসারে ১৪ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের খনি, কারখানা বা অন্য কোন বিপদজনক কাজে নিয়োগ করা যাবে না।


৫) প্রতিশেধক কাকে বলে?

উত্তর -প্রতিষেধক বা প্রতিষেধ একপ্রকার রিট। যেরিটের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন আদালত নিম্নতম আদালত কে নিজে সীমারেখার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দেয় ।অর্থাৎ নিম্নতম আদালতকে নিজের সীমা লঙ্ঘন করতে নিষেধ করে।


৬) ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কেন গ্রহণ করা হয়েছে?

উত্তর - ভারতের যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামো গ্রহণ করা হয়েছে এই কারণে যে, এখানে সংবিধান অনুসারে একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবংপ্রতিটি রাজ্যের রাজ্য সরকারের প্রাধান্য থাকবে। সেই সাথে থাকবে সংবিধান অনুসারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বন্টন এবং উভয় প্রকার সরকারের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত হিসেবে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট তার মীমাংসা করবে।


৭) যুগ্ম তালিকা কাকে বলে?

উত্তর - ভারতীয় সংবিধানে এমন কয়েকটি টিক বিষয় আছে যেগুলি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার আইন প্রণয়ন করতে পারে । আর সেই বিষয়গুলি হলো বিবাহ, অরণ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা প্রভৃতি। এই বিষয়গুলির মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আইনের বিরোধ দেখা দিলে কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ হবে এবং রাজ্যের আইন বাতিল বলে গণ্য হবে।

৮) আন্তরাজ্য পর্ষদ কাকে বলে? 

উত্তর - সংবিধানের ২৬৩ নম্বর ধারা অনুসারে শাসন কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য রাষ্ট্রপতি আন্তরাজ্য পরিষদ গঠন করতে পারেন।


৯) অর্থ কমিশনের ভূমিকা লেখো।

উত্তর - সংবিধানের ২৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী অর্থ কমিশন গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি অর্থ কমিশনের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ করেন। সংগৃহীত রাজস্ব কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কিভাবে বন্টিত হবে, ভারতের সঞ্চিত তহবিল থেকে কোন রাজ্য কতটা আর্থিক অনুদান পাবে সে ব্যাপারে অর্থ কমিশন কেন্দ্র সরকারকে সুপারিশ করে থাকে।

১০) রাষ্ট্রপতির দুটি আইনগত ক্ষমতা লেখো।

উত্তর -* কোন বিষয়ের সংসদের উভয় কক্ষের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রপতি সংসদের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন। 

* রাষ্ট্রপতি কোন বিলে স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত তা আইনে পরিণত হয় না।


১১) রাষ্ট্রপতির মহাভিযোগ পদ্ধতি বলতে কি বোঝ?

উত্তর - মহাভিযোগ অর্থাৎ impeechment. সংবিধানের 61 নং ধারায় বর্ণিত এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হন।

▫️এক্ষেত্রে সংসদের যে কোন কক্ষ ১৪ দিনের নোটিশ দিয়ে কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ সদস্যের স্বাক্ষর সহ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রস্তাব আকারে আনতে পারে। 

▫️পার্লামেন্টের যেকোনো কক্ষ এই অভিযোগ আনতে পারে।





১২) রাজ্যসভাকে চিরস্থায়ী কক্ষ বলা হয় কেন?

উত্তর - ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্যসভার প্রতিনিধিগণ প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরোক্ষভাবে একক হস্তান্তরযোগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভোটে নির্বাচিত হন ।সংবিধানের ৮৩/১ ধারা অনুসারে রাজ্যসভা একটি স্থায়ী কক্ষ । তাই একে ভেঙে দেওয়া যায় না। তবে রাজ্যসভার সদস্যকে অবসর গ্রহণ করতে হয়।




১৩) সুপ্রিম কোর্টের আপীল এলাকা কি?

উত্তর -অধস্তন আদালতের দায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায়। যেমন সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপিল, দেওয়ানী আপিল, ফৌজদারি আপিল এবং বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে আপিল।



১৪) ২২৬ নং ধারায় উল্লিখিত হাইকোর্টের ক্ষমতা লেখো।

উত্তর - ২২৬ নম্বর ধারা অনুসারে হাইকোর্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার জন্য লেখ জারি করে থাকে। আর এই লেখ গুলি হল বন্দী প্রত্যক্ষীকরণ, পরমাদেশ, প্রতিষেধ, অধিকারপৃচ্ছা এবং উৎপ্রেষণ।




১৫) কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের সদস্যদের অপসারন পদ্ধতি লেখো।

উত্তর -কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের সদস্যরা যদি দেউলিয়া হিসেবে ঘোষিত হয়, কমিশনের সদস্য থাকাকালীন অন্য কোন চাকরি গ্রহণ করেন অথবা রাষ্ট্রপতির দ্বারা অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হন তাহলে রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক সদস্যদের অপসারণ করতে পারেন।

২০২০


১) ভারতীয় সংবিধান কবে গৃহীত হয়েছে?

উত্তর - ১৯৪৯ সালের ২৬ শে নভেম্বর ভারতীয় সংবিধান গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল।



২) সংবিধানের ২১নম্বর ধারায় চারটি অধিকার লেখো।

উত্তর -*  নির্দিষ্ট আইন পদ্ধতি ছাড়া কোন ব্যক্তিকে তার জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বঞ্চিত করা যাবে না।

  * শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের মর্যাদা দান করতে হবে।

* ৬ থেকে ১৪ বছরের সকল শিশুর জন্য রাষ্ট্র অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।



৩) বন্দী প্রত্যক্ষীকরণ লেখটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর - আটক ব্যক্তির আবেদনের উপর ভিত্তি করে কি কারনে আটক করা হয়েছে তা জানার জন্য আদালত বন্দি প্রত্যকিকরণ লেখ জারি করে আটক ব্যক্তিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারে।



৪) নির্দেশমূলক নীতির দুটি সমাজতান্ত্রিক নীতি উল্লেখ করো।

ক) সমান সম্পত্তির বিতরণ ।

খ) কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট মানুষের কাছে সম্পত্তির কেন্দ্রীভূতিকরণ হবে না



৫) কেন্দ্র তালিকা কাকে বলে?

উত্তর - প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, পারমাণবিক শক্তি যুদ্ধ ও শান্তি, ব্যাংক ও মুদ্রা ব্যবস্থা, নির্বাচন প্রভৃতি বিষয় সমূহে আইন প্রণয়নের অনন্য ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত।



৬) রাজ্য তালিকার চারটি বিষয় উল্লেখ করো।

উত্তর - ভারতীয় সংবিধান অনুসারে রাজ্য তালিকাভুক্ত চারটি অন্যতম বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ, জনস্বাস্থ্য এবং কৃষি ব্যবস্থা।



৭) ইলেক্ট্রোরাল কলেজের গঠন অর্থাৎ (রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি)




৮) যৌথ দায়িত্বশীলতা বলতে কী বোঝো?

উত্তর - সংবিধানের ৭৫/৩ ধারা অনুসারে যৌথ দায়িত্বশীলতা বলতে লোকসভার নিকট মন্ত্রী পরিষদের সমষ্টিগতভাবে দায়িত্বশীলতা থাকাকে বোঝায়।



৯) কেন রাজ্যসভা কে স্থায়ী কক্ষ বলা হয়?

উত্তর - ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্যসভার প্রতিনিধিগণ প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা পরোক্ষভাবে একক হস্তান্তরযোগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভোটে নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৮৩/১ ধারা অনুসারে রাজ্যসভা একটি স্থায়ী কক্ষ । একে কোনমতেই ভেঙে দেওয়া যাবে না। তবে দু'বছর অন্তর রাজ্যসভার সদস্যকে অবসর গ্রহণ করতে হয়।



১০) লোকসভা থেকে রাজ্যসভা বেশি ক্ষমতাশালী কোন কোন ক্ষেত্রে?

উত্তর - রাজ্যসভা উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে সর্বভারতীয় রাষ্ট্রকৃত্যক গঠন করতে পারে।

 উপরাষ্ট্রপতিকে অবসরের প্রস্তাব কেবলমাত্র রাজ্যসভাতেই উত্থাপন করা যায়।



১১) বিল কাকে বলে?

উত্তর - আইনের পরিণত হওয়ার আগে সংসদের যে কোন কক্ষে উত্থাপিত প্রস্তাবকে বিল বলা হয়। বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে সংসদের উভয় কক্ষের অনুমোদনের পর বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলে আইনের পরিণত হয়।



১২) রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা লেখো।

উত্তর -ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারায় রাজ্যপালকে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল মন্ত্রী সভার পরামর্শ ছাড়াই স্বাধীনভাবে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। যেখানে রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার ক্ষেত্রগুলি হল--

ক)  কোন রাজ্যপাল যখন পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন।

খ) মহারাষ্ট্র, গুজরাটের কয়েকটি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ দিতে পারেন।


১৩) ভারতীয় বিচারব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর -ক)  ভারতীয় বিচারব্যবস্থা হল অখন্ড বিচার ব্যবস্থা । যার শীর্ষে আছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং তার অধীনে আছে রাজ্যের হাইকোর্ট সমূহ। আর হাইকোর্টের অধীনে আছে বিভিন্ন স্তরের নিম্ন আদালত সমূহ।

খ) আইনের দৃষ্টিতে সাম্য ভারতের সংবিধান অনুসারে আইনির দৃষ্টিতে সকলের সমান এবং একই আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত হবে।




১৪) কেশবানন্দ ভারতী মামলার রায়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছিল?

উত্তর - কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করেছিল পার্লামেন্ট সংবিধানের যেকোনো অংশ পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু পার্লামেন্ট সংবিধানের মৌল কাঠামোর( Besic Structure )পরিবর্তন করতে পারবে না।


১৫) রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা বলতে কী বোঝো?

উত্তর - সংবিধান অনুসারে দেশে সংকটকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রপতির হাতে জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে । ভারতীয় সংবিধানের তিন ধরনের জরুরি অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে । আর সেগুলি হল জাতীয় জরুরি অবস্থা (৩৫২ ধারা ), রাজ্য জরুরি অবস্থা বা রাষ্ট্রপতি শাসন (356 ধারা) এবং আর্থিক জরুরী অবস্থা (৩৬০ নম্বর ধারা)।


২০১৯ 

১) ভারতীয় সংবিধানে দুটি উৎস লেখো।

উত্তর - ক) ১৭৮৭ সালের মার্কিন সাংবিধানিক কনভেনশন ও ১৭৮৯ সালের ফরাসি জাতীয় কনভেনশন।

খ) গ্রেট ব্রিটেন থেকে গৃহীত হয়েছে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, আইনের শাসন ও আইন প্রণয়ন পদ্ধতি, একক নাগরিকত্বের ধারণা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গৃহীত হয়েছে প্রস্তাবনা মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও পুনর্বিবেচনা প্রভৃতি।





২) ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোন কোন নীতি যুক্ত হয়?


উত্তর - ৪২ তম সংবেদন সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনার যেসব নতুন বৈশ


৩) 19 নম্বর ধারায় যে চারটি স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে তা লেখ



৪)যুগ্ম তালিকা ভুক্ত যেকোনো চারটি বিষয়ে উল্লেখ করো।


৫) ৩২ নম্বর ধারার তাৎপর্য কি?



৬) পকেট ভেটো কি?


৭) অর্ডিন্যান্স বলতে কী বোঝো


৮) ৩৫২ নম্বর ধারার তাৎপর্য কি



৯) অর্থ বিল কাকে বলে?


১০) জনস্বার্থ মামলা বলতে কী বোঝো

উত্তর - জনস্বার্থ মামলা একটি আইনি প্রক্রিয়া যার দ্বারা জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার্থে আদালতে মামলা দায়ের করে আইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার বলবৎ করা হয়।



১১) উপরাষ্ট্রপতির দুটি কাজ লেখো

উত্তর - উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার সভাপতি হিসেবে কার্য সম্পাদন করে থাকেন ।ভারতে উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান পদে আসীন হন । তবে মৃত্যু, পদত্যাগ বা রাষ্ট্রপতি অপসারিত হলে উপরাষ্ট্রপতি সর্বাধিক ৬মাস পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে ওই পদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।



১২) লোকসভার গঠন আলোচনা কর


১৩) বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা বলতে কী বোঝো



১৪) সুপ্রিম কোর্টের গঠন আলোচনা কর।

উত্তর - সংবিধানের ১২৪ নম্বর ধারা অনুসারে একজন প্রধান বিচারপতি এবং অন্য কয়েকজন বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হবে, । সংবিধানে আরো বলা হয়েছে যে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে বিচারপতির সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করতে পারে। ২০১১ সালে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে বলে যে সুপ্রিম কোর্টে মোট বিচারপতির সংখ্যা হবে সর্বাধিক ৩১ জন ।এছাড়াও অস্থায়ী বিচারপতিও নিয়োগের ব্যবস্থা আছে।


১৫) UPSC গঠন আলোচনা কর।

উত্তর - সভাপতি সহ 9 জন সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠিত হয় কমিশনের সভাপতি ও সদস্যগণ রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন।

Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প