Skip to main content

ইতিহাস, দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২০

 ১) গ্রহণ মোক্ষ পরিগ্রহ নীতি কে কেন গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তর - সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত গ্রহণ মুখ্য পরিগ্রহ নীতি গ্রহণ করেছিলেন । তিনি এই নীতি গ্রহণ করেছিলেন দক্ষিণ ভারত বিজয় কালীন।


২) কার রাজত্বকালে হিউয়েনসাঙ ভারতবর্ষ পরিদর্শন করেছিলেন? তার লিখিত গ্রন্থটির নাম কি?

উত্তর - সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে হিউয়েনসাঙ ভারতবর্ষ পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর লেখা গ্রন্থটির নাম হল- সি ইউ কি।


৩) গুপ্ত যুগের দুজন নাট্যকার ও তাদের রচনার নাম 

লেখো।

উত্তর - গুপ্ত যুগের দুজন নাট্যকার হলেন- কালিদাস এবং বিশাখ দত্ত। কালিদাসের লেখা বিখ্যাত নাটক অভিজ্ঞানশকুন্তলম এবং বিশাখদত্তের নাটক মুদ্রারাক্ষস।


৪) গুপ্ত যুগের দুজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদের নাম লেখো।

উত্তর - গুপ্ত যুগের দুজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ হলেন আর্যভট্ট এবং বরাহমিহির।


৫) এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন এই গ্রন্থটিতে কার কৃতিত্ব বর্ণনা করা হয়েছে

উত্তর - হরিসেন এলাবাদ প্রশস্তি রচনা করেন।গ্ৰন্থটিতে সমুদ্রগুপ্তের রাজ্য জয়ের কৃতিত্ব কাহিনী বিবৃত হয়েছে।


৬) গুপ্ত বংশের শেষ দুজন শক্তিশালী শাসকের নাম উল্লেখ কর।

উত্তর - গুপ্ত বংশের শেষ দুজন শক্তিশালী শাসক হলেন প্রথম কুমারগুপ্ত এবংস্কন্দগুপ্ত।


৭) হর্ষবর্ধনের লেখা তিনটি গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর - হর্ষবর্ধন রচিত তিনটি গ্রন্থ হল- নাগানন্দ, প্রিয়দর্শিকা এবং রত্নাবলী নামে তিনটি সংস্কৃত নাটক লেখেন।

৮) ত্রিশক্তির দ্বন্দ্বে যুক্ত রাজ বংশ গুলির নাম উল্লেখ করো।

উত্তর - কনৌজ দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব ভারতে পাল ,পশ্চিম ভারতের প্রতিহার এবং দক্ষিণ ভারতে রাষ্ট্রকূট ত্রিশক্তি সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন।


৯) কৈবর্ত বিদ্রোহ কি ছিল?

উত্তর - কৈবর্ত বিদ্রোহ বা বরেন্দ্র বিদ্রোহ হল কৈবর্ত সামন্ত রাজা দিব্যের নেতৃত্বে শুরু হওয়া তাদের তৎকালীন পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালের (১০৭০-১০৭৫) পাল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংগঠিত একটি বিপ্লব।


১০) কে, কেন গঙ্গাইকোল্ড উপাধি গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তর - চোল শাসক প্রথম রাজেন্দ্র গঙ্গাইকোণ্ডচোল উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বাংলা ও বিহারের পাল রাজা মহিপালাকে পরাজিত করেছিলেন এবং তারপরে তিনি এই পদবি গ্রহণ করেছিলেন।


১১) উর ও সভা কি ছিল?

উত্তর - চোল শাসনব্যবস্থায় সাধারণ সভা ছিল তিন শ্রেনীতে বিভক্ত । আর তার মধ্যে উর ছিল সাধারণ গ্রামবাসীদের সমাবেশ। সভা ছিল বিদ্বান ব্রাহ্মণদের একটি সমাবেশ । 


১২) চোল বংশের দুজন বিখ্যাত শাসকের নাম উল্লেখ করো।

উত্তর - চোল বংশের দুজন বিখ্যাত শাসক হলেন রাজেন্দ্র চোল এবং প্রথম রাজরাজ ।


১৩) চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক কে ছিলেন?

উত্তর - চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক বা রাজা ছিলেন দ্বিতীয় পুলকেশী।


১৪) কার নেতৃত্বে কখন তুর্কিরা বাংলা আক্রমণ করেন? 

উত্তর - মহম্মদ ঘুরির নেতৃত্বে ১১৯২ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কিরা বাংলা আক্রমণ করেন।


১৫) দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধের গুরুত্ব কি ছিল?

উত্তর - তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বীরাজের পরাজয় রাজপুতের শক্তির উপর দারুন আঘাত আনে। আর ভারতীয় সামরিক শক্তির দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে।

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর ভারতের স্থায়ী মুসলিম রাজ্য গড়ে ওঠে।

এই যুদ্ধের পর বলা যায় হিন্দু যুগের অবসান এবং মুসলিম যুগ তথা মধ্যযুগের সূচনা হয়।

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...