"ওরে নবমী নিশি না হইও রে অবসান । শুনেছি দারুন তুমি না রাখো সতের মান।।" পদকর্তা কে? কে কাকে এই কথাটি বলেছে? উদ্ধৃতির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর - আলোচ্য অংশটির পদকর্তা হলেন শাক্তবলীকার কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। পদটি "বিজয়া" পর্যায়ের পদ।
মা মেনকা নববীর নিশির কাছে এই প্রার্থনা করেছেন যে- নবমী নিশি যেন কোন মতেই আজ অতিবাহিত না হয়। কারণ দশমীর ভোর হলেই জামাই শিব দ্বারে এসে উপস্থিত হবেন ।অতঃপর তার প্রাণের প্রিয় উমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠবে ।আর এই কথা ভেবেই জননী মেনকার মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে।
তবে এখানে মেনকার এই প্রার্থনা কখনোই বাস্তবায়িত হতে পারে না। কেননা দিনের শেষে তেমন সন্ধ্যা নেমে আসে,রাতের শেষে তেমন হবেই সূর্য উদয় হবেই। এটাই কালের স্বাভাবিক নিয়ম। তবুও মায়ের মন মানে না। আর সেই কারণেই নবমী রাত যাতে অতিবাহিত না হয় এমন প্রার্থনা মা মেনকা করছেন ।আসলে এই অভিব্যক্তির মধ্যে দিয়ে জননীর মনের যন্ত্রণা প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই সাথে মা মেনকা নবমী নিশিকে তিরস্কার করেছেন। কারণ--
নবমীর রাত শেষ হলেই বিসর্জনের বাজনা আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠবে। আর তখনই জননীর মন যন্ত্রণা পৃথিবীর সমস্ত জননীর হৃদয়কে স্পর্শ করে যায়। তার ফলস্বরূপ তিনি নবমী নিশির দরবারে এমন আবেদন করেছেন-
"ওরে নবমী নিশি না হইও রে অবসান ।
শুনেছি দারুন তুমি, না রাখ সতের মান।।"
Comments
Post a Comment