Skip to main content

বিদ্যাসাগর কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণি।

(বিদ্যাসাগর কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, একাদশ শ্রেণি, প্রথম সেমিস্টার )

 ১). ‘বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে’ কাকে, কেনো বিদ্যার সাগর বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘বিদ্যার সাগর’ বলা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের পান্ডিত্য অতল সমুদ্রের ন্যায়।আর সেই কারণে তাঁকে বিদ্যার সাগর বলা হয়।


২)‘করুণার সিন্ধু তুমি’- কেন  বিদ্যাসাগরকে ‘করুণার সিন্ধু’ বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ দয়া এবং দানশীলতায় বিদ্যাসাগর বিখ্যাত ভূবনে। যেমন সিন্ধু নদীতে অপরিমেয় জল থাকে ঠিক  তেমনি আপামর মানুষের জন্য তাঁর হৃদয়ে ছিল অপরিসীম ভালোবাসা, স্নেহ,করুনা।আর সেই কারণে ছিল তাই তাঁকে ‘করুণার সিন্ধু’ বলা হয়।


৩)‘সেই জানে মনে’- কে, কী জানে ?

উত্তরঃ  দরিদ্র এবং অসহায় মানুষগুলো যখন বিদ্যাসাগরের কাছে সাহায্য চেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তখন তারা জানতে পেরেছেন যে, বিদ্যাসাগর কত বড় ‘দীন দরিদ্রের বন্ধু’।  তার মধ্যে যে অপরিসীম দয়া, ভালোবাসা আছে সেটা সেই মানুষই জানেন যে, যিনি তাঁর কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।

৪)‘দীন যে, দীনের বন্ধু’ অর্থ কী ?

উত্তরঃ এখানে দীন’ শব্দের অর্থ- দরিদ্র-দুঃখী মানুষ ।আর তাদেরকেই দীন বলা হয়েছে।বিদ্যাসাগর সর্বদা প্রকৃত বন্ধুর মতো অসহায় মানুষকে সাহায্য করেন। আর  যিনি দরিদ্র-অসহায় অবস্থায় তাঁর সাহায্য প্রার্থী হয়েছেন তিনিই জানেন বিদ্যাসাগর কত বড় পরোপকারী।

৫) ‘উজ্জ্বল জগতে’- কে উজ্জ্বল জগতে ? কেন তিনি উজ্জ্বল ?

উত্তরঃ বিদ্যাসাগর এই জগতে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তিনি আজীবন নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করেছিলেন। তাঁর দয়া, দানশীলতা এবং  তার মহৎ কর্মের মধ্য দিয়ে জগতে উজ্জ্বল (বিখ্যাত) হয়ে আছেন।

৬)‘হেমাদ্রির হেম-কান্তি অম্লান কিরণে- কথাটির’ অর্থ কী ?

উত্তরঃ যখন বরফে ঢাকা পর্বতের চূড়ার সূর্যের কিরণ পড়ে তখন পর্বতের চূড়া থেকে অদ্ভুত সোনালী বর্ণের রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়। আর সেই দৈবিক আলোকচ্ছটার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে জগতের সকল মানুষকে। এখানে পর্বত শৃঙ্গের সেই স্বর্ণ-উজ্জ্বল রূপের কথাই বলা হয়েছে।

৭) ‘হেমাদ্রির হেম-কান্তি অম্লান কিরণে’-এখানে ‘হেমাদ্রি’, ‘হেম-কান্তি’, শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ ‘হেম’ শব্দের অর্থ সোনা। ‘হেম-কান্তি’ বলতে সোনা থেকে প্রতিফলিত সোনালী রশ্মিকে বোঝানো হয়েছে। অপরদিকে ‘হেমাদ্রি’ শব্দের অর্থ স্বর্ণ-পর্বত বা হিমালয় পর্বত বা সুমেরু পর্বত বোঝাতে শব্দদ্বয় ব্যবহার করা হয়েছে।

৮)  ‘ভাগ্য-বলে পেয়ে সে মহা পর্বতে’- কেন বিদ্যাসাগরকে মহাপর্বতের সাথে তুলনা করা হয় ?

উত্তরঃ পর্বতের মতোই বিদ্যাসাগর সেবা ধর্মে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এবং সেই কাজে তিনি মহানের পরিচয় দিয়েছেন।  তাঁর জ্ঞান, দয়া-মায়া, স্নেহ-ভালোবাসা পর্বতের চূড়র ন্যিয়। তাঁর পদতলে আশ্রয় নিলে অনেক সেবা,করুণা, নিরাপত্তা পাওয়া যায়। তাই তাঁকে পর্বতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

৯)‘কি সেবা তার সে সুখ-সদনে !-’  কর কাছ হতে কী কী সেবা পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ বিদ্যাসাগরের চরণে আশ্রয় নিলে তৃষ্ণা মেটাতে জল, ক্ষুধা, নিবারণের জন্য অমৃতের ফলের মতো খাদ্য, স্নেহ-ভালোবাসার সৌরভ, গাছের মতো ছায়া এবং রাত্রে সুখ-নিন্দ্রার জন্য আশ্রয় মেলে।

১০) ‘বিমলা কিঙ্করী’- শব্দের অর্থ কী ? কাকে, কেন বিমলা কিঙ্করী বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ বিমলা শব্দের অর্থ, স্বচ্ছ, পরিষ্কার, পবিত্র ।আর  কিঙ্করী কথার অর্থ দাসী। এখানে পরিষ্কার জল প্রদানের জন্য নদীকে বিমলা কিঙ্করী বলা হয়েছে।

 ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "SHESHER KOBITA SUNDORBON" YOUTUBE CHANNEL ।

 

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...