Skip to main content

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানো, এন ই পি)।


ভূমিকাঃ 

       আমরা জানি যে,ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদধিকারী ব্যক্তিত্ব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ভারতের সংবিধানে ৭৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য মন্ত্রীদের নিযুক্ত করবেন। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভা গঠনে প্রধানমন্ত্রী এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সেখানে তত্ত্বগত ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রীই। আর এর পাশাপাশি মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে। সেখানে-

      প্রধানমন্ত্রীর সাথে মন্ত্রিসভার কোন সদস্যের মতবিরোধ হলেই সেই মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে কোনো মন্ত্রী স্বেচ্ছায় যদি মন্ত্রীত্ব ত্যাগ না করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী নিজে পদত্যাগ করবেন এই ভয় দেখিয়ে ক্যাবিনেটকে, মন্ত্রিসভাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করলে সমগ্র মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয়। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করেন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির পরামর্শক্রমে এবং দপ্তর পুনর্বন্টনও করেন। তবে-

      প্রধানমন্ত্রী হলেন মন্ত্রিসভার নেতা বা নেত্রী। আর সেই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন এবং তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। আবার তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকের কর্মসূচি নির্ধারণও করে থাকেন। বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যেকার নীতিগত বিরোধের মীমাংসাও করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়-

               প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের সাধনের কাজও করতে হয়। মন্ত্রীরা নিজে নিজে বিভাগের দায়িত্ব সম্পাদনে স্বাধীন হলেও তাঁরা তাঁদের দপ্তরের কাজকর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে পরিচালিত হন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ না করে কোন মন্ত্রী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। আসলে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার মধ্যমণি। তিনি বিশেষ বিশেষ আস্থাভাজন কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে Kitchen Cabinet গঠন করেন।

     পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে,প্রধানমন্ত্রী ভারতের মন্ত্রিসভার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে বলা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী হলেন-'Primus inter Pares of the first among equals'. অর্থাৎ সমপর্যায়েভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য।


ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "SHESHER KOBITA SUNDORBON" YOUTUBE CHANNEL ।


Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...