Skip to main content

দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১) আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ ডেকার্ডকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়।


২) অভিজ্ঞতাবাদী বুদ্ধিবাদী ও বিচারবাদী দার্শনিকের নাম লেখ। 

•লক, বার্কলে, হিউম অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক।

•লাইবোনিজ,স্পিনোজা, ডেকার্ট বুদ্ধিবাদী দার্শনিক।

•কান্ট বিচারবাদী দার্শনিক।


৩) অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর-(Esse est Percipi) কার উক্তি?

উত্তরঃ অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর একটি বার্কলে বলেছেন।



৪) Cogitio ergo sum/আমি চিন্তা করি অতএব আমি আছি- এটি কার মন্তব্য 

উঃ ডেকার্ত।


৫) জ্ঞানের উৎপত্তি বিষয়ে কয়টি মতবাদ আছে? 

উঃ জ্ঞান উৎপত্তি বিষয়ে চারটি মতবাদ আছে। অভিজ্ঞতাবাদ, বুদ্ধিবাদ, বিচারবাদ ও ভাববাদ।


৬) স্পিনোজাকে অনুসরণ করে সমান্তরালবাদের সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ সমান্তরালবাদ অনুসারে বিস্তৃতি ও চেতনা সব সময় সহাবস্থান করে এবং একই ক্রমে ক্রিয়া করে। যখন কোন দৈহিক পরিবর্তন ঘটে তখন কোন মানসিক পরিবর্তন ঘটে। আর সমান্তরালভাবে এই ঘটনা ঘটে বলে একে বলা হয় সমান্তরালবাদ। 


৭) হিউমের মুদ্রণ ও ধারণার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?


উত্তরঃ হিউমের মতে মুদ্রণ ও ধারণার মধ্যে মাত্রাগত পার্থক্য আছে। হিউম তীব্রতা ও সজীবতার দিক থেকে মুদ্রণ ও ধারণার মধ্যে পার্থক্য করেছেন। মুদ্রণ ধারণার চেয়ে বেশি সজীব ও স্পষ্ট। এদের মধ্যে জ্ঞানগত পার্থক্য নেই, আছে শুধুমাত্র মাত্রাগত পার্থক্য।


৮) লৌহযবনিকা তত্ত্ব কি?

উত্তরঃ লক প্রতিরূপী বস্তুবাদে জ্ঞাতা ও বাহ্য জ্ঞেয় বস্তুর মধ্যে এক প্রতিরূপ কল্পনা করেছেন, যা পুরু লোহার তৈরি। যেখানে একদিকে আছে জ্ঞাতা,আর অন্যদিকে কি আছে তা জানার উপায় নেই।এই কারণেই প্রতিরূপী বস্তুবাদকে লৌহযবনিকা তত্ত্ব বলা হয়।

৯) মুখ্য ও গৌণ গুনের দুটি পার্থক্য লেখো ।

উঃ ক) মুখ্য গুণগুলি বস্তুগত কিন্তু গৌণ গুণগুলি ব্যক্তিগত।

খ) মুখ্য গুণগুলি অপরিবর্তনশীল কিন্তু গৌণ গুণগুলি পরিবর্তনশীল।

১০) সব ধারণাই সহজাত- কে বলেছেন?

উঃ বুদ্ধিবাদী দার্শনিক লাইবনিজ বলেন, সব ধারনাই সহজাত।

১১) কোন ধারণা সহজাত নয় কে বলেছেন? 

উত্তরঃলক।

১৩) কোন কোন ধারণা সহজাত কে বলেছেন?

উত্তরঃ ডেকার্ত।


১৪)স্পিনোজার মত অনুযায়ী দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও ।

উত্তরঃ যা স্বনির্ভর, স্বয়ম্ভু, এক, অনন্ত, অপরিণামী, স্বাধীন তাই দ্রব্য।

১৫) দ্রব্য হল গুণের অজ্ঞাত অজ্ঞেয় আধার- কার উক্তি?

উত্তরঃজন লক বলেন দ্রব্য হল গুণের অজ্ঞাত অজ্ঞেয় আধার।

১৬) আমি চিন্তা করি কাজেই আমি আছি-কে বলেছেন?

উত্তর ঃ ডেকার্ড।


১৭) লাইবনিজকে অনুসরণ করে চিৎ পরমাণুর সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃলাইবনিজের মতে, জগতের মৌলিক উপাদান হলো দ্রব্য। তিনি এই দ্রব্যের নাম দিয়েছেন চিৎপরমাণু বা মনাড। মনাড হল চেতনদ্রব্য বা আধ্যাত্মিক দ্রব্য।


১৮) দ্রব্য =প্রকৃতি=ঈশ্বর ।এটি কার উক্তি? 

উত্তরঃ বুদ্ধিবাদী দার্শনিক স্পিনোজা।


১৯) কান্টের মতে ৭+৫ =১২ কিরূপ বাক্য?

উঃ এটি একটি পুর্বতসিদ্ধ সংশ্লেষক বাক্য।


২০) সহজাত ধারণা বলতে কি বোঝায়?

উঃ যে ধারণা গুলি জন্মের সময় থেকেই মানুষের মনে গেঁথে থাকে, সেই ধারণা গুলিকে বলা হয় সহজাত ধারণা। যেমন নিত্যতা।



২১) কান্টের বিচারবাদ বলতে কি বোঝায় ?

উঃ কান্ট অভিজ্ঞতাবাদ ও বুদ্ধিবাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে জ্ঞান উৎপত্তির ক্ষেত্রে যে মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, দর্শনের ইতিহাসে তা বিচারবাদ নামে পরিচিত।



২২) বুদ্ধিবাদ কাকে বলে?

উঃ বুদ্ধিবাদী দার্শনিকরা বলেন, বুদ্ধিই জ্ঞান লাভের প্রধান উপায়। অন্ততপক্ষে অবশ্যম্ভব ও সত্যের জ্ঞানের জন্য বুদ্ধি একান্তভাবেই প্রয়োজন।




২৩) দেকার্তকে অনুসরণ করে দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ দ্রব্যকে তার অস্তিত্বের জন্য অপরের উপর নির্ভর করতে হয় না এবং যাকে অন্য ধরনের সাহায্য ছাড়াও বোঝা যায় সেটাই দ্রব্য। আর এই দ্রব্য স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাধীন।



২৪) স্পিনোজাকে অনুসরণ করে দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যা নিজে নিজেই অস্তিত্বশীলএবং যাকে নিজের সাহায্যেই বোঝা যায় অর্থাৎ অপর ধারণার সাহায্য না নিয়েও যার সম্পর্কে ধারণা গঠন করা যায়, তাকেই দ্রব্য বলে। 


২৫) স্পিনোজার মতে জ্ঞানের স্তর গুলি কি কি 

উত্তরঃ ৩টি, প্রত্যক্ষ জ্ঞান, বিশুদ্ধ বুদ্ধিমূলক জ্ঞান এবং স্বজ্ঞা জ্ঞান।


২৬) স্পিনোজা কত প্রকারের দ্রব্য স্বীকার করেছেন এবং সেগুলি কি কি?

উত্তরঃ দ্রব্য একটি এবং সেটি ঈশ্বর। 


২৭) সবগুণ বস্তুগত উক্তিটির বক্তা কে ?

উত্তরঃ বার্কলে 


২৮) জন্মের সময় আমাদের মন থাকে সাদা অলিখিত কাগজ- এটি কার মত ?

উত্তরঃ লক।

 

 ২৯) হিউমের মতে মুদ্রণ কি?

হিউমের মতে আমরা সরাসরি অনুভবে যা পাই, তাই হল মুদ্রণ। 



৩০) বিচারবাদের মূল বক্তব্য কি ?

উত্তরঃ যে মতবাদে বলা হয়,জ্ঞান কেবল ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা থেকে হয় না, আবার বুদ্ধি থেকেও হয় না,প্রকৃত জ্ঞানের জন্য ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধি উভয়ের অবদান প্রয়োজন হয়, সেই মতবাদকে বলা হয় বিচারবাদ।


৩১)বুদ্ধিবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদের মধ্যে পার্থক্য লেখো ।

উত্তরঃ বুদ্ধিবাদ অনুসারে বুদ্ধি হল যথার্থ জ্ঞ্লাবের একমাত্র উৎস এই মতবাদ অনুসারে আবশ্যিকতা বা সর্বজনীন গ্রাহ্যতা প্রকৃতজ্ঞ জ্ঞানের লক্ষণ কিন্তু- 

অভিজ্ঞতাবাদ অনুসারে অভিজ্ঞতাই জ্ঞানের একমাত্র উৎস। অভিজ্ঞতা ছাড়া জ্ঞান লাভের কোন পথ নেই। এই মত নতুন জ্ঞানের সন্ধান দেয়।


৩২) Tabula Rasa এর অর্থ কি 

উত্তরঃ Tabula Rusa এর অর্থ হলো- clean slate বা white paper। অর্থাৎ অলিখিত বা সাদা কাগজ। জন লক তাঁর অভিজ্ঞতাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

৩৩) দেকার্ড অনুসরণ করে দ্রব্যের সংগা দাও ।

উত্তরঃ দ্রব্য হল একটি অস্তিত্বশীল পদার্থ, যার অস্তিত্বের জন্য নিজেকে ছাড়া অপর কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না-সেটাই দ্রব্য।


৩৪) লককে অনুসরণ করে দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ লকের মতে দ্রব্য হল মুখ্য গুণের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার ।


৩৫) ভাববাদের মূল বক্তব্য কি?

উত্তরঃ ভাববাদীর মূল বক্তব্য হলো জ্ঞেয় বস্তু মন বা চেতনার উপর নির্ভরশীল। জাগতিক বস্তুগুলির মন বা জ্ঞাননিরপেক্ষ কোন সত্তা নেই।


৩৬) মনাড বলতে কি বোঝায় ?

লাইবনিজের মতে- মনাড হলো এমন একটি আধ্যাত্মিক পরমাণু, যার সারধর্ম, চেতনা ও শক্তি, ও অবিভাজ্য এবং বাস্তব, চিরন্তন ও শাশ্বত।



৩৭) সহজাত ধারণার দুটি দৃষ্টান্ত দাও ।

উত্তরঃ ঈশ্বর,অসীমতা নিত্যতা প্রভৃতি হল সহজাত ধারণার উদাহরণ।


৩৮) সতত সংযোগবাদকে সংজ্ঞায়িত করো। 

উত্তরঃ যে মতবাদ অনুসারে কার্যকরণের মধ্যে অনিবার্য প্রসক্তি সম্বন্ধ নেই, আছে কেবল কালিক পূর্বাপর সম্বন্ধ, সেই মতবাদকে বলা হয় সতত সংযোগবাদ।


৩৯) সরল বস্তুবাদ বলতে কি বুঝায় 

উত্তরঃ যে বস্তুবাদে গুণবিশিষ্ট বস্তুর জ্ঞান নিরপেক্ষ স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করা যায়, তাকে সরল বস্তুবাদ বলা হয়।


৪০) মুখ্য গুণ কি ?

উত্তরঃযে গুণ বস্তুতে থাকে, কোন অবস্থাতেই যার পরিবর্তন হয় না তাকে বলা হয় মুখ্যগুণ। যেমন আকার, আয়তন প্রভৃতি।



৪১) কারণ কার্যের মধ্যে প্রসক্তি সম্বন্ধ আছে এটি কোন সম্প্রদায় ?

উত্তরঃ বুদ্ধিবাদী দার্শনিক সম্প্রদায়ের।


৪২) লক কত প্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন?

উত্তরঃ তিন প্রকার। জড়দ্রব্য, মন ও ঈশ্বর 


৪৩)দুটি বিশ্লেষক বাক্যের উদাহরণ দাও 

উত্তরঃলাল ফুল মাত্রই রক্তবর্ণ ।

সব কার্যের কারণ আছে।


৪৪) কে সহজাত ধারণার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছে 

উত্তরঃ লক। তিনি বলেন সহজাত ধারণা

 বলে কিছু নেই।


৪৫) বস্তুবাদের মূল বক্তব্য কি ?

উত্তরঃ যে মতবাদে বলা হয় যে,মন নিরপেক্ষ বাহ্যবস্তুর অস্তিত্ব আছে, সেই মতবাদ হল বস্তুবাদ।


Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প