Skip to main content

ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি লেখো।

ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি লেখো।(BA/XI Second Semester 2023-24)


ভূমিকাঃ- আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ের ৫১ নম্বর ধারা ও ৫১/ক  ধারায় মোট ১১ টি কর্তব্যের কথা বলা রয়েছে। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের পরে স্বরণ সিং কমিটির সুপারিশে মৌলিক কর্তব্য গুলি সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল। আর-

             ২০০২ সালে মৌলিক দায়িত্ব বা কর্তব্যগুলি ১০ থেকে ১১ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। আর সেখানে বলা হয়-ভারতীয় সংবিধানে বাধ্যবাধকতা গুলির মধ্যে একটি অন্যতম হলো মৌলিক কর্তব্য। এই কর্তব্য গুলি নাগরিকদের পালন করা উচিত। আর সেই কর্তব্যগুলি হল-

•১) সংবিধান মেনে চলা এবং এর আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে সম্মান করা।

•২) আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করে এমন মহৎ আদর্শ লালন ও অনুসরণ করা 

•৩) ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা ও অখন্ডতা সমুন্নত রাখা ও রক্ষা করা। 

•৪) দেশকে রক্ষা করা এবং জাতীয় সেবা প্রদানের জন্য যখন তা করতে বলা হয়। 

•৫) ধর্মীয় ভাষাগত এবং আঞ্চলিক বা বিভাগীয় বৈচিত্র্যকে অতিক্রম করে ভারতের সমস্ত মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি এবং অভিন্ন ভ্রাতৃত্বের চেতনা উন্নীত করা, নারীর মর্যাদার জন্য অবমাননাকর অভ্যাস পরিত্যাগ করা। 

•৬)আমাদের মিশ্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমর্থন ও সংরক্ষণ করা। 

•৭) বৈজ্ঞানিক চেতনা, মানবতাবাদ এবং অনুসন্ধান ও সংস্কৃতি,সংস্কারের চেতনা বিকাশ করা।

•৮) জনসাধারণের সম্পত্তির রক্ষা করা এবং সহিংসতা বর্জন করা। 

•৯) অভিভাবক কর্তৃক ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রত্যেক বালক বালিকাকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।

•১০) ব্যক্তি ও সমষ্টিগত কর্মকাণ্ডের সকল ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্বের দিকে প্রয়াসী হওয়া।

•১১) বন, হ্রদ,নদী, বন্যপ্রাণী,প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও উন্নত করা এবং জীবিত প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।

            •পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ভারতীয় সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলির মধ্যে যে ধারায় ভারতীয় নাগরিকদের কর্তব্যগুলি যুক্ত করা হয়েছে, সেটি অবশ্যই একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এই ধারায় মৌলিক কর্তব্যগুলি যুক্ত হলেও এগুলি সরাসরি সংবিধান কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য নয়।

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...