Skip to main content

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের(3rd sem .)সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক কর্তব্য গুলি আলোচনা করো।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক কর্তব্য গুলি আলোচনা করো। (West Bengal State University, 3rd Semester, Political Science, Minor Syllabus)


ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,১৯৮২ সালে চীনের সংবিধানে চীনা নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি তালিকাভুক্ত করা হয়। আর সেখানে বলা হয়- প্রত্যেক নাগরিক তার মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা তখনই ভোগ করতে পারবে,যখন সে তার মৌলিক দায়িত্ব পালন করবে। আর সেই দৃষ্টিতে চীন নাগরিকদের কয়েকটি মৌলিক কর্তব্যের বিষয় সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়। সেই কর্তব্যগুলি হল-

•১) সংবিধানকে অনুসরণ করাঃ

         •প্রত্যেক চীনা নাগরিকের প্রথম এবং প্রধান মৌলিক কর্তব্য হল, সংবিধান ও আইনকে মেনে চলা এবং তার সহ নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান করা। সেখানে কোন ব্যক্তি বা সংগঠন সংবিধান ও আইনের উর্ধ্বে নয়। 

•২) জাতির ঐক্য রক্ষাঃ 

           •চীনের নাগরিকদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য হলো দেশের ঐক্য এবং সকল জাতীয়তার ঐক্য রক্ষা করা। এখানে জাতীয়তার ঐক্য রক্ষা, দেশদ্রোহী ও অন্যান্য বিপ্লবী কার্যকলাপ,জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কার্যকলাপ দমনে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করা সকল নাগরিকের দায়িত্ব।

•৩) রাষ্ট্রকে সম্মান করাঃ 

             •রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, সম্মান ও স্বার্থ রক্ষা করা সকল নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। মাতৃভূমির নিরাপত্তা, সম্মান ও স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কাজে বা সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা সকল নাগরিকের আশু কর্তব্য।

•৪)সামরিক পরিষেবাঃ 

         •রাষ্ট্রকে রক্ষা করা এবং আগ্রসনকে প্রতিহত করা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। রাষ্ট্রের আইন অনুসারে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং কাজে যোগদান করা সকল নাগরিকের কর্তব্য।

•৫) কর প্রদানঃ 

        •সকল চীন নাগরিকদের একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব বা কর্তব্য হলো সময়ানুবর্তিভাবে এবং নিয়মিতভাবে সকল কর প্রদান করা। কারণ, জাতীয় স্বার্থ, পুনর্গঠন এবং উন্নয়নের জন্য এই কর প্রদান নাগরিকদের বাধ্যতামূলক অবদান।

•৬) বিশেষ কর্তব্যঃ 

             •সংবিধানে ৪২ নম্বর ধারায় চীনা নাগরিকদের কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর সেখানে বলা হয়েছে কাজ প্রতিটি সক্ষম দেহের নাগরিকদের গৌরবময় কর্তব্য আর সেখানে-

          • ৪৬ তম অনুচ্ছেদে শিক্ষাগ্রহণ করা নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য। তার পাশাপাশি চীনা দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা অনুশীলন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রকে সাহায্য করা একটি অন্যতম কর্তব্য। এছাড়াও -

          •১৯৮২ সালে সংবিধানে লিপিবদ্ধ মৌলিক কর্তব্যে বলা হয়,নাবালক শিশুদের লালন পালন ও শিক্ষিত করা, পিতা-মাতার যত্ন নেওয়া, শ্রম শৃঙ্খলা অনুসরণ করা চীনা নাগরিকদের অন্যতম কর্তব্য।

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...