•দিগদর্শন•
•সম্পাদকঃ জন ক্লার্ক ও মার্শম্যান। •প্রকাশকালঃ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ। •উদ্দেশ্যঃ খিষ্ট ধর্মের প্রচার করা ও ছাত্রদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা।
•গুরুত্বঃ বাংলা ভাষায় প্রথম মুদ্রিত সাময়িক পত্রিকা দিগদর্শন। পত্রিকাটি শ্রীরামপুর মিশন থেকে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। আসলে তরুণদের মন আকর্ষণের বিষয়টি এই পত্রিকায় অধিক গুরুত্ব পেয়েছে।শুধু তাই নয়, যুবলোকের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে বিশেষ যত্নবান হয়েছিল এই পত্রিকাটি। স্কুলের পাঠ্য হিসেবে এই মাসিক পত্রের উপযোগিতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্কুল বুক সোসাইটি এই পত্রিকা ক্রয় করে ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করতো। আসলে দিকদর্শন পত্রিকার গদ্য যথার্থ বাংলা গদ্য হয়ে উঠতে পেরেছিল সেকালে।
•সমাচার দর্পণ•
•সম্পাদকঃ মার্শ ম্যান। •প্রকাশকালঃ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ। •উদ্দেশ্যঃ হিন্দু ধর্ম-কর্মের বিরুদ্ধাচারণ করে খ্রিস্টধর্মের মহিমা কীর্তনের উদ্দেশ্যে এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।
•গুরুত্বঃ তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ, শিল্প-সংস্কৃতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন সম্পর্কে প্রবন্ধ-নিবন্ধ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আসলে এই পত্রিকাটি ছিল শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত দ্বিতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা। যে পত্রিকাটি বাঙালির সমাজ ও বাংলা ভাষাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিল। পত্রিকাটির ভাষা ছিল সহজ ও সরল।
•সম্বাদ কৌমুদী•
•সম্পাদকঃ রাজা রামমোহন রায় ও ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। •প্রকাশকালঃ ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে ৪ঠা ডিসেম্বর। •উদ্দেশ্যঃ সমাচার দর্পণ পত্রিকা হিন্দু ধর্ম ও সমাজকে গালিগালাজ করত। এর প্রতিবিধানের উদ্দেশ্যে এই পত্রিকাটি আত্মপ্রকাশ করে।
গুরুত্বঃসম্বাদ কৌমুদী পত্রিকাটি সাপ্তাহিক পত্রিকা,যে পত্রিকাটি প্রগতি ও যুক্তিমার্গ অবলম্বন করেছিল। পাশাপাশি এই পত্রিকাটি সমাচার দর্পণ পত্রিকার গালিগালাজের উপযুক্ত জবাব সেদিন দিয়েছিল। হিন্দুধর্ম বিরোধী প্রচার বন্ধ করতে সেদিন এই পত্রিকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। আর এখানে রামমোহনের গদ্য সহজ সরল না হলেও তা ছিল সাবলীল।
•সংবাদ প্রভাকর•
•সম্পাদকঃ ঈশ্বর গুপ্ত। •প্রকাশকালঃ ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জানুয়ারি। •উদ্দেশ্যঃ সংবাদ,সাহিত্য,সমাজ,রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়কেন্দ্রিক রচনা প্রকাশের উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।
•গুরুত্বঃ সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাকে কেন্দ্র করে প্রথম সাংবাদিকতার সূচনা হয়। বাংলা ভাষায় এটি প্রথম দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। যে পত্রিকাটির মধ্যে দিয়ে রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়,দীনবন্ধু মিত্র,বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রতিভার আত্মপ্রকাশ ঘটে থাকে। পাশাপাশি এই পত্রিকার মধ্য দিয়ে ঈশ্বর গুপ্তের রঙ্গ ব্যঙ্গ মূলক কবিতা গুলি প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সময়ে কলকাতার নবীন ও প্রবীণ উভয়ই এই পত্রিকার পাঠক ছিলেন।
ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL
Comments
Post a Comment