Skip to main content

জাতীয়তাবাদের (XI,2nd Sem.)পক্ষে যুক্তি দাও ।

জাতীয়তাবাদের পক্ষে যুক্তি দাও (Arguments for Nationalism) পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ শ্রেণী, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান।

• ১) দেশপ্রেম সঞ্চারঃজাতীয়তাবাদ একটি মহান আদর্শ। যে আদর্শ মানুষের মনে ঐক্যবোধের সঞ্চার করে। শুধু তাই নয়-মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ও আত্মত্যাগের প্রেরণা যোগায়। এই জাতীয়তাবাদী আদর্শ বিভিন্ন জাতিকে নিজেদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনে তথা বৈদেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করে।

• ২) জাতির বিকাশ সাধনঃ প্রত্যেক জাতির কিছু নিজস্ব গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে।যে গুণ জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে বিকাশ ঘটে। আর এইভাবে প্রতিটি জাতি উন্নতি সাধন করে সামগ্রিকভাবে মানব সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ ঘটায়।

• ৩) অপরের উন্নতিতে সহয়তাঃ জাতীয়তাবাদী উদ্বুদ্ধ জাতিগুলি নিজেদের যেমন উন্নত করে ঠিক তেমনি অপরকে উন্নত হতে সাহায্য করে। তাই জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্র হলো-                                                                       "নিজে বাঁচো এবং অপরকে বাঁচতে দাও।"

তবে জাতীয়তাবাদের আদর্শ অনুসৃত হলে জাতিসমূহের মধ্যে বিবাদ-সংঘর্ষের সম্ভাবনা দূর হয় এবং তাদের মধ্যে একটা সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তার ফলে পৃথিবীতে যুদ্ধের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

• ৪) গণতন্ত্রের প্রসারঃ জাতীয়তাবাদের আদর্শ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং বিশ্ব থেকে সাম্রাজ্যবাদকে নির্বাসন দিতে সাহায্য করে। আসলে পৃথিবীর বহু মুক্তিকামী জনসমাজ জাতীয়তাবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়যুক্ত হয়ে গণতন্ত্রের পথকে প্রশস্ত করেছে।

• ৫) অভ্যন্তরীণ শান্তিঃ জাতীয়তাবাদের উদ্বুদ্ধ জনসমাজ একসূত্রে গ্রথিত থাকে বলে তাদের মধ্যে পারস্পরিক হিংসা, অবিশ্বাস, সন্দেহ প্রায় থাকে না। যার ফলে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে শান্তি বজায় থাকে এবং রাষ্ট্রশক্তির ভীত শক্তিশালী হয়। তাই জিমার্ন বলেন-              "জাতীয়তাবাদ হল আন্তর্জাতিকতায়                                উপনীত হওয়ার রাজপথ।"

•ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE •

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...