Skip to main content

বই কেনা(XI,2nd) প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

১) "তাই এই অবিচ্ছেদ্য চক্র”- চক্রটি কী? চক্রটি অবিচ্ছেদ্য কেন? এই চক্রটির ভাঙ্গার উপায় কী?(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমধ্যমিক সংসদ, একাদশ শ্রেণি, বাংলা, দ্বিতীয় সেমিস্টার)

              •সৈয়দ মুজতবা আলীর অন্যতম গ্রন্থ পঞ্চতন্ত্র। আর সেই পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের অন্যতম প্রবন্ধ বই কেনা।সেই বই কেনা প্রবন্ধ থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। এখানে চক্র হলো বই সস্তা নয় বলে লোকে বই কেনেনা। আর লোকে বই কেনেনা বলেই বই সস্তা হয় না।

       •আসলে আমাদের এই বাঙালীদের মধ্যে বই কেনার প্রবণতাটা ভীষণভাবে কমে গেছে। যার ফলে বই বিক্রিবাটা কম বলা যেতেই পারে। আর বই বিক্রি কম হলে স্বাভাবিকভাবে প্রকাশক বইয়ের দাম বাড়িয়ে দেয়। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে তার লাভ না হলে সংসার কোন মতেই চলবে না। আর এইসব কারণেই কম পয়সায় ভালো বই প্রকাশে প্রকাশকরা কোন মতেই ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক নয়। তাই বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গেলে দেউলী হওয়ার ঝুঁকিও আছে। আর এটাই হলো বইকেনা প্রবন্ধের একটি অবিচ্ছেদ্য চক্র। যে চক্রটি ভাঙ্গা যায় না। তবে -

     •আলোচ্য প্রবন্ধের অবিচ্ছেদ্য চক্রটি ভাঙতে হলে পাঠক এবং পুস্তক বিক্রেতাকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। কারণ বাঙালিরা সাধারণত নিজের পয়সায় বই কিনে পড়ে না। সেখানে লাইব্রেরী থেকে বই কিংবা উপহারে পাওয়া বই তারা পড়ে। এক্ষেত্রে প্রকাশকের পক্ষে একটা ভীষণ কঠিন কাজ হলো বই সস্তায় প্রকাশ করা। কারণ বই সস্তায় প্রকাশ করলে তাদের পেটের ভাত জুটবে না। বলা যায় তারা দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে। তাই লেখকের মতে প্রকৃতপক্ষে পাঠক বা ক্রেতাকে এগিয়ে আসতে হবে এই চক্রটি ভাঙ্গার জন্য। সেখানে বাঙালি বা পাঠকরা যত বেশি বই কিনবে তত বেশি দাম কমানো সম্ভব হবে প্রকাশকের পক্ষে। 


২) “বই কিনে কেউ তো কখনো দেউলে হয়নি।”-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। 

          •আলোচ্য অংশটি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর বই কেনা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। আর এখানে যে মন্তব্যটি করা হয়েছে সেটি অতি শাশ্বত বাণী। কারণ আজ পর্যন্ত গোটা পৃথিবীতে এমন কোন মানুষকে দেখা যায়নি যে কেবলমাত্র সে বই কিনে দেউলে হয়ে গেছে। তবে-

        •বই কিনে বই পড়লে আমাদের জ্ঞানচক্ষুর আলো প্রজ্জ্বলিত হয়। আর প্রজ্জ্বলিত হলে আমাদের মনে জ্ঞানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে গোটা পৃথিবীকে আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি। আমাদের এই বাস্তবিক সংসারে যন্ত্রণা,জ্বালা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে গ্রাস করতে থাকে। আর এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের অবশ্যই বই পড়তে হবে। শুধু তাই নয়-

           বই পড়লে আমাদের যেমন ভ্রান্ত ধারণা দূর হতে পারে,তেমনি সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। এছাড়াও আমাদের এই জীবনকে সুন্দর করে তুলতে হলে নানা রকম বই পড়া অবশ্যই দরকার। আর বই পড়লে অবশ্যই আমরা আমাদের চোখকে সজাগ রাখতে পারবো। ঠিক তেমনিভাবে চতুর্দিকে নজর রাখতে সমর্থ্য হবো। তাই বলে এই কলঙ্ক কখনোই দেওয়া যাবে না যে- বই কিনে আমরা দেউলিয়া হয়ে গেছি।কারণ এরূপ উদাহরণ গোটা পৃথিবীতে একজনই নেই। 


৩) “তিনি স্থির করলেন, এদের একটা শিক্ষা দিতে হবে।”-কে কাদের শিক্ষা দিতে স্থির করলেন ? তিনি কী শিক্ষা দিয়েছিলেন?

          •আলোচ্য অংশটি সৈয়দ মুজতবা আলীর পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের  বই কেনা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।যে গ্রন্থে ফরাসি সাহিত্যিক আঁদ্রে জিদ তার বন্ধুদের শিক্ষা দেওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে। আর সেই শিক্ষাটি হল-

      • আঁদ্রে জিদ একদা রাশিয়া থেকে ফিরে এসে তাঁর রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি অতি প্রাণঘাতী লেখা প্রকাশ করলেন। এই ঘটনার পর তাঁর বন্ধুরা, পাঠকরা কিন্তু নিঃশ্চুপ থাকলেন। শুধু তাই নয়, জিদের হয়ে কেউ কোন কথাও বললেন না। যার ফলে আঁদ্রে জিদ মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেন। কারণ তাঁর বিদ্রোহের বিরুদ্ধে তাঁর বন্ধুরাও কেন কথা বললেন না, কেন প্রতিবাদ করলেন না! আর ঠিক তখনই তিনি স্থির করলেন যে-                                •যে করেই হোক যেসকল বন্ধুরা, যেসকল মানুষগুলি চুপ করে আছে তাদের একটা শিক্ষা দিতে হবে।আর এই সংকল্প থেকে তিনি একদিন কাগজে বিজ্ঞাপন দিলেন যে,তাঁর নিজের হাতে গড়ে তোলা গোটা লাইব্রেরী নিলামে বিক্রি করে দেবেন। খবরটি জানাজানি হতে প্রথমে কেউ বিশ্বাস করেননি কিন্তু তারা বিস্মিত হলেন।অতঃপর তার বন্ধুরা পরিকল্পনা করে লোক পাঠিয়ে তাঁর লাইব্রেরীর বইগুলি অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনে নেবেন বলে স্থির করলেন। আর এটাই ছিল তাঁর বন্ধুদের, পাঠকদের, শুভানুধ্যায়ীদের দরবারে শিক্ষা দেওয়ার একটা উপায়।


৪) “এই বই জিনিসটা প্রকৃত সম্মান করতে জানে ফ্রান্স।” ফ্রান্স কিভাবে বইকে সম্মান করে-আলোচনা করো। 

৫) “কথাটা যে খাঁটি সে কথা চোখ বন্ধ করে একটুখানি ভেবে নিলেই বোঝা যায়।”-কোন কথার কথা এখানে বলা হয়েছে? এর মধ্যে যে আফসোস ছিল তা কাটাবার উপায় কী?

৬)“গল্পটা সকলেই জানেন।”- গল্পটি কী?লেখো। 

৭)“পর্যবেক্ষণশীল ব্যক্তিমাত্রই স্বীকার করে নিয়েছেন।” - কী স্বীকার করে নিয়েছেন? তা স্বীকার করা কতটা যুক্তিযুক্ত আলোচনা করো ।

৮) “আমার জনৈক বন্ধু একটি গল্প বললেন।”- গল্পটি সংক্ষেপে আলোচনা করো । গল্পটা বলার উদ্দেশ্য কী ছিল? লেখো।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL 

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...