সামাজিক সমস্যা কাকে বলে? সামাজ গঠনে উপাদানগুলি কি কি? সামাজিক সমস্যার কারণ, প্রভাব ও সমস্যার প্রতিকার গুলি লেখো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, শিক্ষাবিজ্ঞান মাইনর)
• সামাজিক সমস্যাঃ সামাজিক সমস্যা হলো এমন একটি নেতিবাচক ঘটনা যা সমাজে বসবাসকারী মানুষকে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাঁধা সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এটি সামাজিক জীবনযাত্রায় বাঁধা প্রদান করে আবেগীয় ও অর্থনৈতিকভাবে সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত করে। তাই বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এল.কে.ফ্রাঙ্ক বলেন-।
"সামাজিক সমস্যা বলতে এমন একটি সামাজিক অসুবিধা অথবা অসংখ্য লোকের অসদাচরণকে বুঝায় যা সংশোধন করাদরকার।"
আসলে এই সামাজিক সমস্যায় ভোগেন মানুষ নামক সমাজবদ্ধ জীব। কারণ মানুষ সমাজে মিলেমিশে বসবাস করে থাকেন। আর সেই সমাজে মানুষ একে অপরকে সঠিকভাবে সহযোগিতার ফলে সমাজজীবন পরিপূর্ণতা লাভ করে থাকে। তাই-
যেসব সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে আমরা জীবনযাপন করি তাদের সংঘটিত রূপই হল সমাজ। আসলে সমাজ এই কথাটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়-তার প্রথমটি অর্থ হল-কতকগুলি উদ্দেশ্য চরিতার্থে সংগঠিত ব্যক্তিবর্গের সমষ্টিই হল সমাজ। আর দ্বিতীয় অর্থ হলো সমাজ হল একটি সংগঠন যা স্বয়ংসম্পূর্ণ।
•সমাজ গঠনে উপাদান সমূহ•
১) সমাজের প্রধান উপাদান হলো সঙ্গবদ্ধ মানুষ।
২) পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ও সচেতনতা সমাজের ব্যক্তিদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার জন্য পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ও সচেতনতা প্রয়োজন।
৩) যেসব মানুষ নিয়ে সমাজ গঠিত হয় তাদের মধ্যে যে শুধু সাদৃশ্যই থাকবে তা নয়, অনেক বৈসাদৃশ্য ও লক্ষ্য করা যায়।
৪) সহযোগিতা সমাজের যদি সহযোগিতা না থাকে তবে সমাজ টিকে থাকতে পারে না। পারস্পরিক সহযোগিতা সমাজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
৫) পরস্পর নির্ভরশীলতা সমাজের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
• সামাজিক সমস্যার কারণ•
•মৌলিক মানবিক চাহিদা অপূরণ •সম্পদের অসম বন্টন •প্রাকৃতিক দুর্যোগ •পরিবর্তনশীল সমাজ •দারিদ্রতা •শিক্ষার অভাব •অপসংস্কৃতি •সম্পদের অপব্যবহার •আন্তর্জাতিক চক্র •শিল্পায়ন •রাজনৈতিক •অস্থিরতা প্রভৃতি।
•সামাজিক সমস্যার প্রভাব•
•নৈতিক অবক্ষয় •নিরাপত্তাহীনতা •সামাজিক সম্পর্ক হ্রাস •দুর্নীতি •উন্নয়নে বাধা •দারিদ্রতা বৃদ্ধি •সন্ত্রাস •ক্ষতিকর অবস্থা সৃষ্টি প্রভৃতি।
•সামাজিক সমস্যার প্রতিকার•
•জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ •কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি •মৌলিক মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ •সম্পদের সুষম বন্টন •শিক্ষার হার বৃদ্ধি •দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ •দেশীয় সংস্কৃতির অনুশীলন •চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা •রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন প্রভৃতি।
Comments
Post a Comment