অসম বিরোধিতার সম্বন্ধকে কি প্রকৃত বিরোধিতার সম্বন্ধ বলা যায়? আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার দর্শন মাইনর)
অসম বিরোধিতা সম্বন্ধ কে প্রকৃত বিরোধীতার সম্বন্ধ বলা যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোকপাত করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে অসম বিরোধিতা আসলে কি? আর সেখানে আমরা দেখি-
একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি পরিমাণগত প্রভেদ থাকে, আর এই পরিমাণ পরিমাণগত প্রভেদ থাকার ফলে তাদের মধ্যে যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাকে বলা হয় অসম বিরোধিতা। আর এই নিরিখে আমাদের আলোচনা করতে হবে অসম বিরোধিতার সম্বন্ধ প্রকৃত বিরোধিতার সম্বন্ধ কিনা। সেই সম্বন্ধে দেখা যায়-
অসম বিরোধিতা অনুসারে দুটি বচন একই সঙ্গে সত্য হতে পারে, আবার দুটি বচন একইসঙ্গে মিথ্যাও হতে পারে। অথচ বিরোধিতা থাকতে গেলে একটি সত্য হলে অপরটি মিথ্যা হবে অথবা একটি মিথ্যা হলে অপরটিকে সত্য হতে হবে। আবার-
সাধারণত বিরোধিতার ক্ষেত্রে বচন দুটির মধ্যে গুণের পার্থক্য থাকতে হয়, অর্থাৎ একটি সদর্থক হলে অপরটি নঞর্থক হয় অথবা একটি নঞর্থক হলে অপরটির সদর্থক হতে হয়। তবে-
অ্যারিস্টটল বচনের বিরোধিতা দেখাতে গিয়ে দুটি বচনের গুণের পার্থক্যকে প্রধান বলে স্বীকার করেছেন। তাছাড়া অ্যারিস্টটলও অসম বিরোধিতাকে স্বীকার করেননি।A এবং I, E এবং O এই বচন গুলির মধ্যে গুণের পার্থক্য নেই। কেবল পরিমাণগত পার্থক্য আছে।। আবার A সত্য হলে I সত্য হয় এবং E সত্য হলে O সত্য হয় বলেই দুটি বচন একই সঙ্গে সত্য হতে পারে। অনুরূপভাবে-
I মিথ্যা হলে Aমিথ্যা হয় এবং O মিথ্যা হলে E মিথ্যা হয় বলে দুটি বচন একইসঙ্গে মিথ্যা হতে পারে। আর এজন্য দাবি করা চলে যে, অসম বিরোধিতা প্রকৃত বিরোধিতা নয়।
Comments
Post a Comment