Skip to main content

শিশু শিক্ষায় (3rd.Sem) আধুনিক পরিবারের সীমাবদ্ধতার ফল আলোচনা করো।

শিশু শিক্ষায় আধুনিক পরিবারের সীমাবদ্ধতার ফল আলোচনা করো।

শিশু শিক্ষায় আধুনিক পরিবারের ভূমিকা বা শিক্ষায় সীমাবদ্ধগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো-

•১) পিতা মাতার সম্পর্কঃ বর্তমানে পরিবর্তিত সামাজিক পরিবেশে বহু ক্ষেত্রে পিতা মাতার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা যায়। আর পিতামাতার মধ্যে সুসম্পর্কের এই অবতী শিশুর জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।যার ফলে শিশুর ব্যক্তিসত্তার বিকাশ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

•২) পারস্পরিক ক্রিয়ার অভাবঃ বর্তমানে পরিবারের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে বাবা-মা উভয়কে চাকরি করতে হয় বা হচ্ছে। দিনের শেষে যখন পিতা-মাতা ক্লান্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন তখন তারা আর শিশুর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পারস্পরিক ক্রিয়া চালানোর মতো অবস্থায় থাকেন না। যার ফলে শিশুর নৈতিক ও সামাজিক বিকাশ ব্যাহত হয়।

• ৩) চাহিদার অতৃপ্তিঃ শিশু বাইরের পরিবেশে যা দেখছে তা তাদের মধ্যে বিভিন্ন চাহিদা সৃষ্টি করে। পরিবারের পক্ষে অনেক সময় সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না।যার ফলে চাহিদার অতৃপ্তি শিশুর মধ্যে হীনমন্যতা বোধের জন্ম দেয় 

•৪)অস্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ বর্তমানে আমাদের দেশে বেশিরভাগ গৃহে বাইরের আলো, বাতাস প্রবেশ করার পথ থাকে না। বিশেষ করে শহরের ফ্ল্যাট বাড়িতে এরূপ অবস্থা ঘটে। সেখানে স্বাস্থ্যকর পানীয় জল বা মুক্ত বাতাস ভীষণভাবে অভাব। এরূপ অবস্থায় অস্বাস্থ্যকর গৃহ শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারে না। 

• ৫) উপযুক্ত জীবিকা গ্রহণঃ বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শিশুরা যাতে উপযুক্ত জীবিকা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য শিশুদের অল্প বয়সেই পরিবারের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়াহয় বা হচ্ছে। যার ফলে শিশু সামাজিক ও ব্যক্তিগত শিক্ষা ব্যর্থ হয়। আর সেকারণে সেখানে পারিবারিক বন্ধন ক্রমশ শিথিল হয়ে পড়তে থাকে। 

               • পরিশেষে বলা যায় যে, বিংশ শতাব্দী থেকে শিক্ষার পরিবারের একাধিকত্ব হ্রাস পেয়েছে।পরিবারের চিরাচরিত কাঠামোতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।তবে এসব সত্য শিশু শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা কে অস্বীকার করা যাবে না শিশু শিক্ষায় পরিবারের দায়িত্ব অপরিহার্য ছিল এবং আগামী দিনেও থাকবে।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL.

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...