Skip to main content

গণতন্ত্র (XI,2nd)সাফল্যের শর্তাবলী গুলি আলোচনা করো।

গণতন্ত্র সাফল্যের শর্তাবলী গুলি আলোচনা করো।

•১. জনগণের ইচ্ছাঃ গণতন্ত্রকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আগ্রহ এবং একে প্রতিপালন করার সামর্থ্য।গণতান্ত্রিক চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন নাগরিকগণই গণতান্ত্রিক নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হন। আর সেখানে তারা জনসাধারণের স্বার্থরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

•২. ব্যাপক শিক্ষাঃ গণতন্ত্রের সফলতার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক শিক্ষার প্রসার। আর সেই শিক্ষা হবে অবশ্যই সুশিক্ষা।কারণ শিক্ষা মানুষকে যেমন আত্মসচেতন, আত্মমর্যাদাবান, অন্যের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠ ও অধিকার সচেতন করে তোলে, তেমনি সরকারের ভুল-ত্রুটি অনুধাবন করার সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে। 

•৩) লিখিত সংবিধানঃরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের সফলতার জন্য লিখিত সংবিধান অপরিহার্য। কারণ সংবিধান লিখিত হলে সাধারণ জনগণ নিজেদের অধিকার ও কর্তব্য এবং সরকারের ক্ষমতা সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত থাকে। ফলে সরকার সহজে স্বৈরাচার হতে পারে না।

•৪) আইনের অনুশাসন : গণতন্ত্রের সফলতার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ, “সকলেই আইনের দৃষ্টিতে সমান” (All are equal before law) এ নীতির বাস্তবায়ন প্রয়োজন। 

•৫) সংগঠিত রাজনৈতিক দলঃ আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সংগঠিত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গণতন্ত্রে সংগঠিত রাজনৈতিক দল জনমত গঠন করে ক্ষমতাসীন হয়। আবার ক্ষমতাসীন দল যাতে করে জনস্বার্থ বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হতে না পারে বিরোধী দল সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে।

•৬) বিচার বিভাগের স্বাধীনতাঃবিচার বিভাগের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা হলো গণতন্ত্রের সফলতার অন্যতম পূর্বশর্ত। বিচার বিভাগকে সরকারের অন্যান্য বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। অন্যথায় বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদবে।

৭). অর্থনৈতিক সাম্য : অর্থনৈতিক সাম্য গণতন্ত্রের সফলতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। কারণ অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত গণতন্ত্র সফল হতে পারে না।আর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকলে জনগণের মুখে হাসি ফোটে। তারা গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসবে।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL ।



 

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...