সামাজিক পরিবর্তনের ধরন বা শ্রেণীবিভাগ লেখো।
আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সামাজিক পরিবর্তন বলতে কিছু পরিবর্তিত ক্রিয়াকলাপকে বোঝায় যেগুলি সামগ্রিকভাবে সমাজের রূপ ও পরিকাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন আনে। সামাজিক পরিবর্তনকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করতে পারি। আর সেই আলোচনা গুলি হল-
ক) রৈখিক পরিবর্তনঃ কোন না কোনভাবে সমাজ, ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ পঞ্জীভূত পরিবর্তন সূচিত করে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে-
জ্ঞানের প্রসার উৎপাদন শক্তির বিকাশ, সমাজের আয়তন ও জটিলতার ক্রমবর্ধমানশীলতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের বিস্তারিত ইত্যাদি। এর মাধ্যমে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সমাজের পরিবর্তনের তাৎপর্যগুলি ধরা হয়েছে।
খ) বৃত্তাকার আবর্তনমূলক পরিবর্তনঃ সরোকিন ও টয়নবি ইতিহাস তত্ত্বে সামাজিক পরিবর্তনের কথা আলোচনা প্রসঙ্গে আদর্শয়িত, বাস্তববাদী ও ইন্দ্রিয়কেন্দ্রিক সংস্কৃতির পার্থক্যের দ্বারা দেখেছেন যে-
এগুলি সমাজের ইতিহাসে চক্রাকারে আবর্তিত হয়। সমাজের সবাই যখন শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্যকে মূল্য দেয়, তখন সেই সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাটি ইন্দ্রিয়পর যখন বিশ্বাস থাকে যে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্যের আড়ালে গভীর বাস্তবতার সন্ধান পাওয়া সম্ভব, তখন তা হল আদর্শয়িত। আর-
যখন যুক্তি ও যুক্তিশীলতা গুরুত্ব পায়, তখন তাহল বাস্তববাদী সামাজিক ব্যবস্থা। এইভাবে সভ্যতার বিকাশ গতিরোধ ও পতন চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
Comments
Post a Comment