১) সে নিশ্চয়ই কাপুরুষ, কেননা সে অসৎ এবং সব কাপুরুষই অসৎ।
•• যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকার-
A-সকল কাপুরুষ হয় অসৎ। A-সে হয় অসৎ। সুতরাং A-সে হয় কাপুরুষ।
•• বিচার ও ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য যুক্তিটি অবৈধ। যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের একটি অশুদ্ধ মূর্তি। কারণ নিরপেক্ষ ন্যায়ের দ্বিতীয় নিয়মে বলা হয় যে, দুটি আশ্রয় বাক্যে হেতুপদকে অন্ততপক্ষে একবার ব্যাপ্য হতে হবে। কিন্তু এখানে প্রধান ও অপ্রধান আশ্রয় বাক্য উভয়ই A বচন হওয়ায় এবং হেতুপদ বিধেয় স্থানে (অসৎ) থাকায় একবারও ব্যাপ্য হওয়ার সুযোগ পায়নি, তাই যুক্তিটি অব্যাপ্য হেতুদোষে দুষ্ট।
২) তুমি ডাক্তার নও, তাই তুমি এ পদের প্রার্থী হতে পারো না।
•• যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকারঃ
A-সকল ডাক্তার হয় এ পদের প্রার্থী। E-তুমি নও ডাক্তার সুতরাং E-তুমি নও এ পদের প্রার্থী।
•• বিচার ও ব্যাখ্যাঃ যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের একটি অশুদ্ধ মূর্তি এবং অবৈধ যুক্তি। কারণ নিরপেক্ষ ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মে বলা হয়েছে যে, যে পদ আশ্রয় বাক্যে ব্যাপ্য নয় সেই পদ সিদ্ধান্তের ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে প্রধান আশ্রয় বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে সাধ্য পদটি( এ পদে প্রার্থী) থাকার জন্য ব্যাপ্য হয়নি। অথচ ওই সাধ্য পদটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকার জন্য ব্যাপ্য হয়েছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ সাধ্য দোষে দুষ্ট।
৩) বোলপুর বর্ধমানের কাছে, বর্ধমান কলকাতার কাছে সুতরাং বোলপুর কলকাতার কাছে।
•• যুক্তটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকারঃ
A-বর্ধমান হয় কলকাতার কাছে। A-বোলপুর হয় বর্ধমানের কাছে। সুতরাং A-বোলপুর হয় কলকাতার কাছে।
•• বিচার ও ব্যাখ্যাঃ যুক্তিটি অবৈধ। কারণ নিরপেক্ষ ন্যায়ের প্রথম নিয়মে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক বৈধ-নিরপেক্ষ ন্যায়ের তিনটি পদ থাকবে। তার কমনও এবং বেশিও নয়। কিন্তু এখানে চারটি পদ আছে। আর সেই চারটি পদ হলো-১- বর্তমান ২-বোলপুর ৩-বর্ধমানের কাছে ৪-কলকাতার কাছে। তাই চুক্তিটি চারিপদ ঘটিত দোষে দুষ্ট।
৪) মানুষ পূর্ণ নয় এবং মানুষ ঈশ্বর নয়। কাজেই ঈশ্বর পূর্ণ নয়।
•• যুক্তির তর্ক বিজ্ঞানসম্মত আকারঃ
E-কোন মানুষ নয় পূর্ণ। E-মানুষ নয় ঈশ্বর। সুতরাং E-ঈশ্বর নয় পূর্ণ।
•• ব্যাখ্যা ও বিচারঃ আলোচ্য যুক্তিটি অবৈধ এবং তৃতীয় সংস্থানের একটি অশুদ্ধ মূর্তি। কারণ নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতার নিয়ম হয়েছে যে,দুটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে তার থেকে কোন যথার্থ সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয় না। আর এখানে প্রধান ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই নঞর্থক। তাই যুক্তিটি দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য জনিত দোষে দুষ্ট।
৫) বিবেকানন্দ একজন বড় ধর্মসংস্কারক এবং তিনি অবিবাহিত। কাজেই সমস্ত অবিবাহিত পুরুষই ধর্মসংস্কারক।
•• যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকারঃ
A-বিবেকানন্দ হন ধর্ম সংস্কারক। A-বিবেকানন্দ হন অবিবাহিত পুরুষ। সুতরাং A-সকল অবিবাহিত পুরুষ হয় ধর্ম সংস্কারক।
•• ব্যাখ্যা ও বিচারঃ আলোচ্য যুক্তিটি অবৈধ এবং তৃতীয় সংস্থানের একটি অশুদ্ধ মূর্তি। কারণ নিরপেক্ষ ন্যায়ের চতুর্থ নিয়ে বলা হয়েছে যে, যে পদ আশ্রয় বাক্যে ব্যাপ্য নয় সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে প্রধান আশ্রয় বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে পক্ষপদটি (অবিবাহিত পুরুষ) থাকার জন্য ব্যাপ্য হয়নি। অথচ ঐ পক্ষপদটি সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকার জন্য ব্যাপ্য হয়েছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ পক্ষ দোষে দুষ্ট।
৬) এই সংবাদটি এত ভালো যে সত্য হতে পারে না।
•• যুক্তির তর্ক বিজ্ঞানসম্মত আকারঃ
E-কোন অতিরিক্ত ভালো সংবাদ নয় সত্য। A-এই সংবাদটি হয় অতিরিক্ত ভালো সংবাদ। সুতরাং A- এই সংবাদটির নয় সত্য।
•• ব্যখ্যা ও বিচারঃ আলোচ্য যুক্তিটি বৈধ এবং প্রথম সংস্থানের একটি শুদ্ধ মূর্তি। যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অবস্থিত বৈধ ন্যায়। কারণ যুক্তিটিতে ন্যায়ের প্রতিটি নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। তাই যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের শুদ্ধ মূর্তি এবং নাম হলো-CELARENT (EAE)
Comments
Post a Comment