Skip to main content

পদের ব্যাপ্যতা(3rd.Sem) কাকে বলে? ব্যাপ্যতার নিয়মগুলি উদাহরণসহ আলোচনা করো।

পদের ব্যাপ্যতা বলতে কি বোঝায়? ব্যাপ্যতা নিয়মগুলি উদাহরণসহ আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, দর্শন, মাইনর)।

• পদের ব্যাপ্যতাঃ একটি সরল বচনে দুটি পদ থাকে- একটি উদ্দেশ্য পদ,অপরটি বিধেয় পদ। আর সেই বচনে প্রত্যেকটি পদই কোন জাতি বা শ্রেণীকে নির্দেশ করে। এর মধ্যে যে পদ তার নির্দিষ্ট শ্রেণীর সমগ্রকে অন্তর্ভুক্ত করে, তাকে ব্যাপ্য পদ বলে।আর-                                           যে পদ তার নির্দিষ্ট শ্রেণীর একটি অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে অব্যাপ্য পদ বলে। কাজেই ব্যাপ্যতা বলতে কোন পদ নির্দিষ্ট বস্তু বা বিষয়ের অন্তর্ভুক্তির তারতম্যকে বোঝায়।

               •ব্যাপ্য পদের উদাহরণ•

          A- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।

         উপরিউক্ত বচনটিতে মানুষ হলো উদ্দেশ্য পদ। এখানে মানুষ পদটিতে মানুষ জাতিকে সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ সকল মানুষকে মরণশীল বলা হয়েছে। তাই এখানে মানুষ এই পদটি হলো ব্যাপ্য পদ।

               •অব্যাপ্য পদের উদাহরণ• 

         I-কোন কোন ব্যবসায়ী হয় অসৎ ব্যক্তি।

        উপরিউক্ত বচনটিতে ব্যবসায়ী হলো উদ্দেশ্য পদ। এখানে ব্যবসায়ী পদটিতে ব্যবসায়ী জাতিকে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ কিছু সংখ্যা ব্যবসায়ীকে অসৎ বলা হয়েছে। তাই এখানে ব্যবসায়ী পদটি হলো অব্যাপ্য পদ।

                    •ব্যাপ্যতার নিয়মাবলী•

১) উদ্দেশ্য পদের ব্যাপ্যতাঃ 

ক) সামান্য বা সার্বিক বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য হয়। A এবং E হলো সামান্য বা সার্বিক বচন।                      উদাহরণ-

         •A-সকল মানুষ হয় মরণশীল ব্যক্তি।                             •E- কোন মানুষ নয় অমর ব্যক্তি।

     A বচনটির ক্ষেত্রে, 'মরণশীল ব্যক্তি' কথাটিকে সকল মানুষ সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে। কাজেই এখানে উদ্দেশ্য পদ মানুষ ব্যাপ্য। E-বচনটির ক্ষেত্রে অমর জীব কথাটিকে সকল মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে। কাজেই এখানেও উদ্দেশ্য পদ মানুষ ব্যাপ্য।

•খ) বিশেষ বচনে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য। I এবং O হল বিশেষ বচনের উদাহরণ-

           I-কোন কোন মানুষ হয় সৎ ব্যক্তি।                                 O- কোন কোন মানুষ নয় সাহসী ব্যক্তি। 

        I বচনটির ক্ষেত্রে সৎ ব্যক্তি কথাটিকে কয়েকজন মানুষ সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে। কাজেই এখানে উদ্দেশ্য পদ মানুষ অব্যাপ্য।O বচনটির ক্ষেত্রে সাহসী ব্যক্তি কথাটিকে কয়েকজন মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে। কাজেই এখানেও উদ্দেশ্য পদ মানুষও অব্যাপ্য।

২)বিধেয় পদের ব্যাপ্যতাঃ

ক) না-বাচক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্যঃ

E এবং O হল না বাচক বচন। উদাহরণ-

          E কোন মানুষ নয় অমর ব্যক্তি।                                     O- কোন কোন মানুষ নয় বিশ্বাসী ব্যক্তি। 

         এখানে দুটি না-বাচক বচনের ক্ষেত্রেই বিধেয়কে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অস্বীকার করা হয়েছে। যুক্তিবিজ্ঞান অনুযায়ী অস্বীকার করা হয় সামগ্রিকভাবে। কাজেই, না বাচক বচনের বিধেয়কে উদ্দেশ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বতন্ত্রভাবে বিচার করতে হবে। তাই দুটি না- বাচক বচনের অমরব্যক্তি ও বিশ্বাসী ব্যক্তি এই দুটি পদ সম্পূর্ণভাবে ও স্বতন্ত্রভাবে ব্যাপ্য পদ।

খ) হ্যাঁবাচক বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য।

Aএবং I হল হ্যাঁ বাচক বচন। উদাহরণ- 

        A- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।                              I-কোন কোন মানুষ হয় জ্ঞানী ব্যক্তি। 

           A বচনটির ক্ষেত্রে মরণশীল জীব পদটি ব্যাপকতা মানুষ পদের ব্যাপকতার চেয়ে বেশি। কারন, মানুষ ছাড়াও অন্যান্য সব জীব মরণশীল। এখানে মরণশীল জীব পদটির মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত অংশটুকুই গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই, এখানে বিধেয় পদ মরণশীল জীব অব্যাপ্য। I বচনটির ক্ষেত্রে যেহেতু মানুষ পদটি অব্যাপ্য, তাই ওই পদটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জ্ঞানী ব্যক্তি-এই বিধেয় পদটিও অব্যাপ্য।

✓✓ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA 

SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL ✓✓

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...