ক্ষমতার ভারসাম্যের নীতি আলোচনা করো।
আমরা জানি যে,কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের মধ্যে সমানুপাতিক হারে সামঞ্জস্য বিধান করে প্রয়োগ করাকে ক্ষমতার ভারসাম্যের নীতি বলে। যেখানে -
ক্ষমতার ভারসাম্যের নীতি বলতে বোঝায় একজন কর্মকর্তাকে কোনো কাজের জন্য যে পরিমাণ দায়িত্ব প্রদান করা হয় তাকে সে পরিমাণ কর্তৃত্বও প্রদান করতে হবে। আর সেখানে-
কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। সংগঠন কাঠামোর ভেতরে কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের সমতা বজায় না থাকলে কোনো কর্মীর পক্ষে সঠিক ও সমানভাবে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। এছাড়া-
প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীরা নির্বাহীর কাছ থেকে ন্যায়বিচার, নিরপেক্ষতা এবং সমান আচরণ প্রত্যাশা করে। নির্বাহীর চোখে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মী সমভাবে বিবেচিত হলে তিনি সবার সম্মানের অধিকারী হয়ে ওঠে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে সাম্যতা গড়ে ওঠে। আসলে -
আন্তর্জাতিক সম্পর্কে, ক্ষমতার ভারসাম্য নীতি হলো, কোনও জাতি বা গোষ্ঠীর নিজেদের শক্তিকে অন্য পক্ষের শক্তির সাথে মিলিয়ে রাখার নীতি। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো, কোনও একটি রাষ্ট্রকে অন্য সকলের উপর কর্তৃত্ব করার জন্য পর্যাপ্ত সামরিক শক্তি অর্জন থেকে বাধা দেওয়া। আর এই নিরিখে-
ক্ষমতার ভারসাম্য নীতির বৈশিষ্ট্য:
•এই নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলি তাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করে।
•এই নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলির সহাবস্থানের সংগঠিত নীতি তৈরি হয়।
•এই নীতির মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। যেখানে আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দুর্বল শক্তির সাথে নমনীয় জোট গঠন করা যায়।
Comments
Post a Comment