Skip to main content

তুলনামূলক (3rd.Sem) রাজনীতির উদ্দেশ্য আলোচনা করো।

তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)।

         তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য আলোচনা করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই আলোচনা করে নিতে হবে যে, তুলনামূলক রাজনীতি কী? আর এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও তার ব্যবস্থার সঙ্গে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যপূর্ণ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও তাদের উপব্যবস্থা সমূহের তুলনামূলক আলোচনা ও বিশ্লেষণ হলো তুলনামূলক রাজনীতি। আর এই তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য গুলি হলো-

১) বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার শ্রেণীবিভাগ করা। বিভিন্ন দেশের সংবিধানকে আমরা লিখিত অলিখিত, নমনীয় অনমনীয় এইভাবে ভাগ করি। আবার সংসদীয় শাসনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা, এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় ভাগ করি।

২) বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়ানো হয়। ফলে কোন বিশেষ দেশের শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতির মান নির্ধারণ করা যায়।

৩) একটি তাত্ত্বিক কাঠামো নির্মাণ করা এবং এর মাধ্যমে আলোচনা সূত্র নির্ণয় ও তত্ত্ব গঠনের চেষ্টা করা হয়।

৪) রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনুমান গঠন করা এবং তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। 

৫) বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে তুলনার মাধ্যমিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভুলগুলি কি চিহ্নিত করা এইভাবে শাসন ব্যবস্থার উৎকর্ষ বাড়ানো সম্ভব হয়।

৬)বিশ্বায়িত বিশ্বে রাজনৈতিক গতিশীলতা বিশ্লেষণ করা হয় এবং রাজনৈতিক আচরণ, সংঘাত, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণ ও পরিণতি সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।

৭) রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক আচরণ, সংঘাত, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণ ও পরিণতি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়।

         আসলে তুলনামূলক রাজনীতি হল বিভিন্ন প্রেক্ষাপট এবং সময়ের মধ্যে ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং দেশগুলির তুলনার মাধ্যমে সরকার এবং রাজনীতির অধ্যয়ন। এটি আচরণ এবং চিন্তাভাবনার ধরণগুলি চিহ্নিত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের মিল এবং পার্থক্য বোঝার উপায়।

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...