Skip to main content

USA/মার্কিন (3rd.Sem) যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা

USA /মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা (পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)।

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার সম্পর্কে ফিলাডেলফিয়া সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থা এবং অন্যদিকে অঙ্গরাজ্যসমুহের বিচার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। আবার মার্কিন সংবিধান অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থা এবং অঙ্গরাজ্য গুলির সংবিধান অনুসারে অঙ্গরাজ্যগুলির বিচারব্যবস্থা পরিচালিত হয়। আর সেই বিচার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি আমরা নিম্নসূত্রাকারে আলোচনা করতে পারি-

         •মার্কিন বিচার ব্যবস্থা হল দ্বৈত বিচার ব্যবস্থা যেখানে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থা এবং অপরদিকে অঙ্গরাজ্যের বিচার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে। আবার ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুসৃত হওয়ায় আমেরিকার আইন, শাসন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে চলে।

      • আসলে জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমেরিকায় একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা স্থাপিত হয়েছে। আর সেখানে বিচার বিভাগকে আইন ও শাসন বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি-

      • ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আপিল আদালত ও জেলা জজের আদালতে বিচারপতিদের পদচ্যুত করা যায়। তবে এক্ষেত্রে কংগ্রেসের উভয়কক্ষে দুই তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন হয়।তবে-

       •আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিচারপতিরা রক্ষণশীল মনোভাব দ্বারা পরিচালিত হন। তাঁরা অনেক সময় সংস্কারবাদী বা প্রগতিবাদী নীতি বা চিন্তাধারার বিরোধিতা করেন। এছাড়াও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্ট আইনের বৈধতা বিচার করে এবং সংবিধানবিরোধী যে কোন আইন বা কাজকে বাতিল ঘোষণা করতে পারে। তবে সে দেশে দেওয়ানি ও ফৌজারী মামলার বিচারের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা নেই।

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...