Skip to main content

অমলকান্তি (WBCROS XI)কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো।

'অমলকান্তি' কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো (পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদ উচ্চমাধ্যমিক -WBCROS,XI)

         •আমরা জানি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বাস্তববাদী কবি। আর সেই কবির অন্যতম কবিতা 'অমলকান্তি'। এই অমলকান্তি কবির অন্যতম বন্ধু এবং সহপাঠী। এই অমলকান্তি সম্পর্কে আমরা কবির কাছ থেকে জানতে পারি-সে প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসে,শুধু তাই নয়, ক্লাসে কোনদিন পড়া পারত না। তবে শিক্ষক মহাশয় তাকে পড়া জিজ্ঞাসা করলে সে অবাক দৃষ্টিতে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতো। আর এখান থেকে আমরা জানতে পারি-

                কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বাস্তববাদী কবি হওয়ার কারণে অমলকান্তির শিক্ষাজীবন থেকে তার পেশাগত জীবনের কথা এই কবিতার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন। অমলকান্তির জীবন কাহিনীকে কবি কখনো প্রত্যক্ষভাবে আবার কখনো সর্বনাম এর মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করেছেন। যেখানে-

    অমলকান্তি কবিতায় আমরা জানতে পারি, কবির বন্ধুরা সকলেই তাদের ইচ্ছা অনুসারে নিজ নিজ জীবন জীবিকায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। আর সেখানে কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল, কেউ শিক্ষক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। কিন্তু নিরেট বুদ্ধিসম্পন্ন অমল নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আর সে কারণে তার সহপাঠীর হৃদয়ে এক চরম আফশোষ লক্ষ্য করি-

“আমরা কেউ মাস্টার হয়েছি কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।                                                        অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।”

          অমল কান্তি এক ছাপাখানার কর্মী। তবুও কবির বন্ধুর প্রতি আন্তরিকতা আছে। তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে সাক্ষাৎও হয় চায়ের দোকানে। আর সেখানে তারা চা,পান খায়, মন খুলে মনের কথাও বিনিময় করে। আবার গল্প শেষে কবি তাঁর বন্ধুকে বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসে। আর বন্ধু অমলকান্তির জীবনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার না কারণে কবি দুঃখ প্রকাশ করেন। আর সেখানে কবিকে বলতে শুনি-

     “অথচ, সকলেরই ইচ্ছে পূরণ হলো,                                এক অমলকান্তি ছাড়া।”

          আসলে অমলকান্তি কবিতায় কবি অমলকান্তির জীবনকে ‘লেখাপড়ার জীবন, পেশাগত জীবন’এই দুটি পর্বে ভাগ করেছেন। আর সেই দুটি পর্বে অমলকান্তির শিক্ষাজীবন থেকে কর্মজীবন পর্যন্ত জীবনকথা আলোচ্য কবিতার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL ।

      

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...