Skip to main content

সামাজিক পরিবর্তন(3rd.Sem) আনার ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা আলোচনা করো।

সামাজিক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, এডুকেশন, মাইনর সিলেবাস)

            আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,সামাজিক পরিবর্তনে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। কারণ শিক্ষা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ এবং আচরণকে প্রভাবিত করে, যা সমাজের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে সামাজিক পরিবর্তনে শিক্ষার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গুলি হলো-

১) জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি                                                 ক) শিক্ষা মানুষকে নতুন জ্ঞান এবং ধারণা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।                                                                     খ) এটি সামাজিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ গুলি বোঝার ক্ষমতা বাড়ায়।                                                                            গ) শিক্ষা মানুষের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা তৈরি করে।

২) মূল্যবোধ এবং মনোভাবের পরিবর্তন.                            ক) শিক্ষা মানুষের মধ্যে সহানুভূতি, সহনশীলতা এবং ন্যায়বিচারের মতো মূল্যবোধ তৈরি করে।                            খ) এটি কুসংস্কার, বৈষম্য এবং অসহিষ্ণুতার মতো নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে সাহায্য করে।

৩) সামাজিক দক্ষতা এবং অংশগ্রহণ বৃদ্ধিঃ।                      ক) শিক্ষা মানুষকে সামাজিক দক্ষতা এবং যোগাযোগ ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।                                                       খ) এটি নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা সরবরাহ করে।

৪) প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রচার                                        ক) শিক্ষা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।                                                                               খ) এটি নতুন ধারণা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে।

৫) অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক গতিশীলতা।       ক)শিক্ষা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।                                                খ)শিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায়, এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করে।

৬) সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতা প্রতিষ্ঠা।                     ক) শিক্ষা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।                                               খ) শিক্ষা সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে।

            পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে,শিক্ষা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে। এটি মানুষকে জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধ দিয়ে সজ্জিত করে, যা একটি উন্নত এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে সাহায্য করে।

Comments

Popular posts from this blog

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...