১) ন্যায় অনুমানের মূর্তি কাকে বলে?
উত্তরঃন্যায় এর অন্তর্গত বচনগুলির গুণ ও পরিমাণের বিভিন্নতা অনুযায়ী ন্যায় এর যে বিভিন্ন আকার হতে পারে, তাকে ন্যায়ের মূর্তি বলা হয়।
২) ন্যায়ের সংস্থান কাকে বলে?
উত্তরঃ ন্যায় এর দুটি আশ্রয়বাক্যে হেতুপদের বিভিন্ন প্রকার অবস্থানের ফলে ন্যায়ের যে বিভিন্ন আকার পাওয়া যায় তাকে ন্যায়ের সংস্থান বলে।
৪) ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের শুদ্ধ মূর্তি গুলির নাম লেখ।।
BARBARA(AAA),CELARENT(EAE),DARII(AII),FERIO(EIO)
5) একটি সংযোজক বচনের উদাহরণ দাও।
A-সকল মানুষ হয় মরণশীল। এখানে 'হয়' হল সংযোজক।
৬) বচনের গুণ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ বচনের গুণ বলতে বোঝায় বচনটির উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে বিধেয় পদের কোন কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা। সাধারণভাবে বলা যায় যে, কোন কিছুকে স্বীকার করলে বচনটি সদার্থক আর কোন কিছুকে অস্বীকার করলে বচনটি হবে নঞর্থক।
৭) বচনের পরিমাণ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ বচনের পরিমাণ বলতে বোঝায় বচনটির উদ্দেশ্য শ্রেণী সম্পর্কে বিধেয় শ্রেণীর সামগ্রিক বা আংশিক স্বীকার বা অস্বীকার করা। আর এখানে উদ্দেশ্য শ্রেণীর সমগ্র অংশকে স্বীকার বা অস্বীকার করলে বচনটি হবে সামান্য এবং আংশিক অংশকে স্বীকার বা অস্বীকার করলে বচনটি হবে বিশেষ।
৮) বস্তুগত বিবর্তনঃ বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হেতুবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের বিপরীত পদগুলিকে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ও বিধরূপে ব্যবহার করে, এত পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তকে অনুমান করা হয় বলে, একে বস্তুগত বিবর্তন বলা হয়।
উদাহরণঃ
যুদ্ধ হয় অমঙ্গলজনক (হেতুবাক্য)
শান্তি হয় মঙ্গলজনক (সিদ্ধান্ত)
৯) বস্তুগত বিবর্তন কি যথার্থ বিবর্তন?
ক) বিবর্তনের স্বীকৃত নিয়মে বলা হয় হেতুবাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয় করতে হবে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সিদ্ধান্তের বিধেয় টি এত বাক্যের বিধেয়ের বিপরীত পদ, বিরুদ্ধ পদ নয়।
খ) উদ্দেশ্য পদটি হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তে একি থাকা উচিত, কিন্তু এই পদ্ধতিতে তা অনুসরণ করা হয় না।
গ) নিয়ম অনুসারে হেতু বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে একই থাকে।
ঘ) এই পদ্ধতিতে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের যৌক্তিক ও আবশ্যিক নয়।
Comments
Post a Comment