Skip to main content

কবি কঙ্কন(2nd.Sem Major) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী এযুগে জন্মালে তিনি ঔপন্যাসিক হতে পারতেন

 

কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী এযুগে জন্মালে তিনি ঔপন্যাসিক হতে পারতেন- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)

       আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ষোড়শ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত কবি।আর সেই কবির অনন্য সৃষ্টি 'চণ্ডিমঙ্গল'কাব্য।যে কাব্যটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। তবে এই কবি এ যুগে জন্মগ্রহণ করলে ঔপন্যাসিক হতে পারতেন কিনা, তা আলোচনা করার আগে তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিক উপন্যাসের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুর দিকে আমাদের আলোকপাত করা ভীষণ প্রয়োজন। আর সেই প্রয়োজনে আমরা দেখি-

 অপরিসীম বর্ণনাত্মক ক্ষমতাঃ  'চণ্ডিমঙ্গল'এর বিভিন্ন আখ্যান যেমন কালকেতুর মৃগয়া, ফুল্লরার বারোমাস্যা প্রতিটি ঘটনা কবি কঙ্কন অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে সহানুভূতির সাথে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনায় প্রকৃতি, সমাজ, মানুষের জীবনযাত্রা এবং আবেগ জীবন্ত হয়ে ওঠে।

 চরিত্র চিত্রায়ণে মুকুন্দরামঃ চন্ডিমঙ্গল কাব্যের চরিত্রগুলি বিশেষ করে কালকেতু, ফুল্লরা,ভাড়ুদত্ত অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং তাদের মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলিও কবি দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাদের সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশা, প্রেম-বিরহ পাঠকের হৃদয়কে স্পর্শ করে। যার ফলে চরিত্রগুলি আমাদের পরিবারেরই সদস্য বলে মনে হয়।

 সামাজিক চিত্র চিত্রায়নে মুকুন্দরামঃ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে তৎকালীন বঙ্গদেশের সমাজ, অর্থনীতি, লোকাচার, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং শ্রেণি বৈষম্যের বিষয়টি বিষয়টির স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে, কবি সমাজের নিচুতলার মানুষের জীবন এবং তাদের সংগ্রামকে সহানুভূতি ও গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তুলে ধরে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।

 কাহিনী কথনে মুকুন্দরামঃ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী এক অসাধারণ গল্প বলার ক্ষমতা রাখতেন। আর সেই কারণে তাঁর কাব্যের আখ্যানভাগ দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয় এবং পাঠকের আগ্রহ দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে। যেখানে নাটকীয়তা এবং অপ্রত্যাশিত মোড় কাহিনীর আকর্ষণ বৃদ্ধি করে।

 ভাষা,ছন্দ নির্মাণে মুকুন্দরামঃ কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের ভাষা সহজ,সরল, সাবলীল এবং শক্তিশালী। কাব্যে তিনি বিভিন্ন ছন্দের ব্যবহার করে এক বিশেষ মাধুর্য সৃষ্টি করেছেন একথা সকলেই স্বীকার করেন।

            •আধুনিক উপন্যাসের আঙ্গিকে•

       আমরা জানি যে,আধুনিক উপন্যাস উনিশ শতক থেকে বিকাশ ও বিস্তার লাভ করেছে। শুধু তাই নয়,  সময়ের সাথে সাথে উপন্যাসের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুতে বহু পরিবর্তন এসেছে। যেখানে কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য উপন্যাসকে কাব্যের থেকে পৃথক করে থাকে।আর তার হলো-

  বিস্তৃত পরিসরে উপন্যাসঃ এই পর্বে বলে রাখা ভালো যে, উপন্যাস সাধারণত একটি বিস্তৃত ক্যানভাসে মানব জীবন ও সমাজকে তুলে ধরে।যেখানে চরিত্রগুলির বিকাশ, ঘটনার পরম্পরা এবং সময়ের দীর্ঘ বিস্তার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

 সুগভীর মনস্তত্ত্ব উপন্যাসেঃ উপন্যাসে ঔপন্যাসিক চরিত্রগুলির অভ্যন্তরীণ জগৎ, তাদের ভাবনা, অনুভূতি এবং জটিল মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বগুলি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করে থাকেন। সেই হিসেবে মুকুন্দরাম চক্রবর্তী চন্ডিমঙ্গল কাব্যের  আখেটিক খন্ডে চরিত্রগুলিকে সেই ভাবে চিত্রন করে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপন্যাসঃ  আমরা জানি যে, আধুনিক উপন্যাস প্রায়শই নির্দিষ্ট সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্থাপিত হয় এবং সমসাময়িক সমাজের বিভিন্ন দিক ও সমস্যাগুলিকে তুলে ধরে। আর এই প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যেমন সামাজিক চিত্র বর্ণিত হয়েছে তেমনি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেরও এখানে আভাস আছে।

 বাস্তব মোড়কে উপন্যাসঃ আধুনিক উপন্যাস শুধুমাত্র পাঠকের মনোরঞ্জন করেনা, সেই সাথে উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল বাস্তবতার প্রতি মনোযোগ ঘটানো। যেখানে ঔপন্যাসিক সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবন, তাদের ভাষা ও আচরণকে বিশ্বস্তভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে আধুনিক  উপন্যাসে বিভিন্ন ফ্ল্যাশব্যাক, চেতনাপ্রবাহ, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ব্যবহার করা হয়, যা গল্প বলার পদ্ধতিকে আরও জটিল ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

   মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ঔপন্যাসিক হওয়ার সম্ভাবনা

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথা আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি যে, কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর মধ্যে সফল ঔপন্যাসিকের সমস্ত গুনাবলী বর্তমান ছিল। আর সেই প্রেক্ষিতে আমরা এখানে আলোচনা করতে পারি-

 অসাধারণ চরিত্র চিত্রন ও বর্ণনাত্মক ক্ষমতাঃ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী চন্ডীমঙ্গল কাব্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে পারি যে, এ কবির মধ্যে অসাধারণ বর্ণনাত্মক ক্ষমতা এবং চরিত্র চিত্রায়ণের দক্ষতা। যা তাকে নিঃসন্দেহে উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে সহায়ক হত। তিনি যেভাবে কাল্পনিক চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তুলেছেন, তা উপন্যাসের চরিত্র নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। শুধু মাত্র তাই নয়, এ কাব্যে তিনি-

           যেভাবে সমাজের বাস্তব চিত্র এঁকেছেন, তা আধুনিক উপন্যাসের সামাজিক প্রেক্ষাপট নির্মাণে কাজে লাগত। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবন ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক তিনি যেভাবে উপলব্ধি করেছেন, তা একজন ঔপন্যাসিকের জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি-

 কাহিনী কথনের কৌশল  এবং নাটকীয়তা উপন্যাসের প্লট নির্মাণ ও পাঠককে ধরে রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ হত।তবে কিছু দিক থেকে হয়তো তাঁকে আধুনিক উপন্যাসের আঙ্গিকের সাথে মানিয়ে নিতে হত। তবে, চন্ডিমঙ্গল কাব্যটি মূলত পদ্যে রচিত। আর উপন্যাসের মাধ্যম হলো গদ্য। কবি যদি গদ্য ভাষায় দীর্ঘ আখ্যান লেখার অভ্যেস করতেন, তাহলে ঔপন্যাসিক হওয়ার সম্ভাবনা আরোও উজ্জ্বলতর হত। কিন্তু -

            আধুনিক উপন্যাসের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো চরিত্র সমূহের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। তবে এ কবি তাঁর কাব্যে চরিত্রদের মনের কথা তুলে ধরলেও, উপন্যাসের মতো বিস্তারিত মনস্তাত্ত্বিক আলোচনা হয়তো তাঁর রচনায় অনুপস্থিত। তবুও তিনি উপন্যাসিক হতে পারতেন যদি কিনা তাঁর আখ্যান বলার পদ্ধতি আরও একটু প্রসারিত করতে হত।

             পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, কবি কঙ্কন যদি এই যুগে জন্মগ্রহণ করতেন, তবে তাঁর অসাধারণ বর্ণনাশক্তি, চরিত্র চিত্রায়ণের দক্ষতা এবং সমাজ পর্যবেক্ষণের গভীরতা তাঁকে নিঃসন্দেহে একজন শক্তিশালী ঔপন্যাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন। তবে-

          মধ্যযুগীয় কাব্যের আঙ্গিক থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক উপন্যাসের গদ্যশৈলী এবং বিস্তৃত প্রেক্ষাপটের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন  তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হতেন। তাঁর কাব্যের মধ্যে ছিল বাস্তববাদিতা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতি। যা আধুনিক উপন্যাসের মূল সুরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তবে এ কবির প্রতিভা এবং সাহিত্যিক ক্ষমতা তাঁকে এ যুগের একজন সফল ঔপন্যাসিক হওয়ার দাবি রাখে।

•ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ব্যাখ্যা সাজেশন ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক এবং SHESHER KOBITA SUNDARBAN Youtube channel 🙏 

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...