কান্টের নীতিতত্ত্বের গুরুত্ব বা অবদান আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন মাইনর)।
১) কর্তব্যের প্রতি গুরুত্বঃ কান্টের নীতিতত্ত্ব নৈতিক আলোচনায় কর্তব্যের ধারণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।যেটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কিছু কাজ কেবল নীতিগতভাবে সঠিক হওয়ার কারণেই সেই কাজগুলি করা উচিত কোন রূপ ফলাফলের প্রত্যাশা ছাড়াই।
২) মানবাধিকারের ভিত্তিঃ 'উদ্দেশ্য হিসেবে মানবতা' সূত্রটি মানবাধিকারের ধারণার একটি শক্তিশালী দার্শনিক ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মানুষের মর্যাদা ও মূল্যবোধের উপর জোর দেয় এবং মানুষকে কেবল উপায় হিসেবে ব্যবহার করার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে।
৩) সার্বজনীন নৈতিকতাঃ কান্টের সার্বিক নীতির ধারণা নৈতিকতাকে ব্যক্তিগত পছন্দ বা সাংস্কৃতিক রীতিনীতির ঊর্ধ্বে স্থাপন করে এবং একটি সার্বজনীন নৈতিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করে।
৪) যুক্তিবোধের গুরুত্বঃ কান্ট নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তিবোধের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি মনে করতেন যে নৈতিক নীতিগুলি আবেগ বা অনুভূতির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত নয়, বরং যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত। পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, কান্টের নীতিতত্ত্বে কিছু দুর্বলতা আছে। তবে সেই দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও, এটি নৈতিক দর্শনের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান। যেটি আমাদের নৈতিকতা, কর্তব্য, এবং মানুষের মর্যাদা সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে উৎসাহিত করে এবং আধুনিক নৈতিক আলোচনার উপর এর গভীর প্রভাব রয়েছে।
ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL 🙏
Comments
Post a Comment