Skip to main content

সাক্ষাৎকার কাকে(4th Sem) বলে সাক্ষাৎকারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো

সাক্ষাৎকার কাকে বলে সাক্ষাৎকারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো

সাক্ষাৎকারঃ সাক্ষাৎকার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে এক বা একাধিক ব্যক্তি, অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য, মতামত, অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা জানার জন্য এক বা একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং সেই জিজ্ঞাসা ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করাকে বলা হয় সাক্ষাৎকার। তবে এখানে জেনে রাখার দরকার যে, এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কথোপকথনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।আর এই প্রেক্ষিতে আমারা বলতে পারি-

••সাক্ষাৎকারের সুবিধা-

১) উচ্চহারে উত্তর লাভঃসামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার পর্ব পরিচালনা করার সময় উত্তর দাতা এবং গবেষকের মধ্যে এক আন্তঃসম্পর্ক গড়ে ওঠে।আর এখানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনের বিষয়টি সহজ, সরল ও বোধগম্য হওয়ার কারণে উত্তরদাতা তুলনামূলকভাবে অধিক তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হন।আর সেখানে থাকে-

আবেগ অনুভূতিঃ সাক্ষাৎকার পর্ব চলাকালীন উত্তরদাতা সাক্ষাৎকারীর সাথে আলাপ-আলোচনায় কখনো কখনো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বা শংকিত হয়ে পড়েন। আবার কখনো কখনো দেখা যায়,কোন প্রশ্নের উত্তর দানে ইতস্তত বা কোন ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্কে ভ্রান্তভাবে পরিবেশন করেন বা অতিরঞ্জিত করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন।

নমনীয়তাঃসাক্ষাৎকার পর্বে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেশ নমনীয়তা ভাব দেখা যায়। যে পর্বে প্রশ্নকর্তা একটি প্রশ্নকে নানান ভাবে ঘুরিয়ে প্রশ্ন করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য বা উত্তরটি খুঁজে বের করতে সমর্থ্য হন। 

স্বতঃস্ফূর্ততা ভাবঃ সাক্ষাৎকার পর্বে সাক্ষাৎ গ্রহণকারী এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উত্তরদাতার নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হন। আর সেখানেই উত্তরদাতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উত্তর দিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে উত্তরদাতা তার প্রথম উত্তর এক্ষেত্রে উত্তরদাতা তার প্রথম উত্তর বাতিল করার সুযোগ পান না। কেননা ব্যক্তি মাত্রই প্রথম উত্তর স্বতঃস্ফূর্ত হয়।

গ্ৰহণযোগ্যতাঃ সমাজস্থ নানাবিধ শ্রেণীর মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ব্যস্ত প্রকৃতির মানুষ থেকে শুরু করে নিরক্ষর শিশু সকলের কাছ থেকে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভবপর হয়। 

•• সাক্ষাৎকারের অসুবিধা-

১) ব্যয়বহুল পদ্ধতিঃ সাক্ষাৎকার পর্ব যথেষ্ট ব্যয়বহুল পদ্ধতি।কেননা এই পদ্ধতি পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, প্রশিক্ষিত কর্মীদের বেতন, ভাতা, গ্রহণযোগ্যতা, নমুনা নির্বাচন পদ্ধতি। আর এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে -

সময়সাপেক্ষ পদ্ধতিঃ তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার পদ্ধতি বেশ সময় সাপেক্ষ ঘটনা।কেননা প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক নানাবিধ তৎপরতা এবং নির্বাচিত গবেষণা ক্ষেত্র থেকে প্রয়োজনীয় উত্তরদাতা খুঁজে বের করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। 

স্মৃতি নির্ভরশীলতাঃ সামাজিক গবেষণায় সাক্ষাৎকার পর্বে উপস্থিত তথ্য প্রদানকারী, গবেষক কর্তৃক নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর দানে স্মৃতি নির্ভর হয়ে ওঠেন। তবে এক্ষেত্রে সমস্ত স্মৃতি নির্ভর প্রাপ্ত উত্তরসমূহের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। 

আত্মগোপনঃ সামাজিক কুসংস্কারাচ্ছন্নতা, রক্ষণশীলতা বা অন্যান্য আর্থ-সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য উত্তরদাতা অনেক সময় নিজের নাম,পরিচয় গোপন রাখেন।

পক্ষপাতদুষ্টতাঃতথ্য সংগ্রহার্থে অনেক সময় গবেষক উত্তরদাতাকে প্রভাবিত করেন বা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা,অনিচ্ছা, মূল্যবোধ, ধ্যান ধারণা প্রভৃতি বিষয় সমূহকে উত্তরদাতার ওপর চাপিয়ে দিয়ে গবেষণাকৃত ফলাফলকে নিচের অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এবং আমাদের 'SHESHER KOBITA SUNDORBON' YOUTUBE CHANNEL।


Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...