Skip to main content

সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর(4th.Sem) শঙ্কু ও রোবু গল্পে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রমানববের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তা আলোচনা করো।

সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রমানবের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তা আলোচনা করো(চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়)

             আমরা জানি যে,সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পের মূল ভাববস্তু বা বিষয়বস্তু হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রমানবের সম্ভাবনা। আর এখানে লেখক তার নৈতিক দিক নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। শুধু তাই নয়,গল্পটিতে প্রফেসর শঙ্কু এমন একটি রোবর্ট (রোবু), তৈরি করেন যেটি  কেবলমাত্র বুদ্ধিমত্তাই নয়, সে অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে। তবে গল্পটি এই রোবটের আশ্চর্য ক্ষমতা, তার মানুষের মতো আচরণ এবং এর দ্বারা সৃষ্ট নানা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। আর সেখানে আমরা দেখতে পাই-

         •কৃত্রিম যন্ত্রমানবের ক্ষমতাঃ আলোচ্য গল্প হতে আমরা জানতে পারি যে,রোবু অত্যন্ত দ্রুত গণনা করতে পারে, বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারে এবং এমনকি মানুষের মতো আবেগও প্রকাশ করে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপার সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।

        •মানুষ ও যন্ত্রের ক্ষমতাঃ আলোচ্য গল্পে শঙ্কু দেখান যে,রোবু কীভাবে মানুষের চেয়েও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে, যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার সীমাবদ্ধতার বিপরীতে যন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্বকে ইঙ্গিত করে।

           •সৃষ্টি ও স্রষ্টাঃ প্রফেসর শঙ্কু রোবুকে এমনভাবে তৈরি করেন যেন সে শুধু একটি যন্ত্র না হয়ে একটি জীবন্ত সত্তা হয়ে ওঠে। এর ফলে সৃষ্টিকর্তা (শঙ্কু) এবং তার সৃষ্টি (রোবু) এর মধ্যে এক অদ্ভুত সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেখানে রোবুর নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।

          •জ্ঞানের ব্যবহারঃ প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পে দেখানো হয় যে বিজ্ঞান ও আবিষ্কারের সঠিক ব্যবহার যেমন মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে, ঠিক তেমনি এর অপব্যবহার ক্ষতিকরও হতে পারে। অন্যান্য বৈজ্ঞানিকদের জ্ঞান নিয়ে বাড়াবাড়ি বা অহমিকা থেকে দূরে থাকার কথাও শঙ্কু বারেবারে বলেছেন।

             পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পটি ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার সমৃদ্ধ । যেখানে শঙ্কুর অন্যান্য গল্পের মতোই 'রোবু' গল্পেও ভ্রমণের উপাদান রয়েছে।আর সেটি আমারা দেখতে পাই-প্রফেসর শঙ্কু রোবুকে নিয়ে একবার জার্মানিতে প্রফেসর পমারের কাছে যান।আসলে-

      'প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু' গল্পটি কেবল একটি কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী নয়। এটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তির অগ্রগতি, মানুষের লোভ ও অহমিকা, এবং আবিষ্কারের নৈতিক দায়িত্বের মতো গভীর বিষয়গুলি নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে শেখায়।

•ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ব্যাখ্যা সাজেশন ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এবং আমাদের SHESHER KOBITA SUNDARBAN Youtube channel 🙏 •

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...