Skip to main content

সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর(4th. Sem) শঙ্কু ও গোলক রহস্য গল্পের মূল ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো।

সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু র গল্পগুচ্ছের 'প্রফেসর শঙ্কু ও গোলক-রহস্য' গল্পের মূল ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো। 

অথবা 

বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার, মানবিক মূল্যবোধ এবং অজানার প্রতি মানুষের চিরন্তন কৌতূহলকে কেন্দ্র করে গল্পটি আবর্তিত হয়েছে-আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর Unit -IV)

                • আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, প্রখ্যাত সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায় রচিত 'প্রফেসর শঙ্কু ও গোলক-রহস্য'গল্পটি পাঠকের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।আসলে এই গল্পটিতে, মানবতা ও প্রজ্ঞার জয় এবং বিজ্ঞানের অপব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে লেখক এ সমাজকে সজাগ করতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন।আর সেই ভাবনার দৃষ্টিতে আমরা বলতে পারি যে-

          গল্পটিতে প্রফেসর শঙ্কু একটি অদ্ভুত গোলকের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে এমন এক ভিনগ্রহী সভ্যতার মুখোমুখি হন।আর সেখানে সেই সভ্যতা অত্যাধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিকারী।তবে এই গোলকের মাধ্যমে তারা পৃথিবীর বুদ্ধিমান প্রাণীদের জ্ঞান সংগ্রহ করে। শুধু তাই নয়,একসময় সেই জ্ঞানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারও করে।আর সেখানে শঙ্কু বুঝতে পারেন যে, এই ভিনগ্রহীদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়, বরং তারা পৃথিবীকে নিজেদের জ্ঞান আহরণের একটি উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।আর সেখানে -

জ্ঞান ও প্রজ্ঞার গুরুত্বঃ গোলক রহস্যের গোলকটি পৃথিবীর বিভিন্ন জ্ঞানী মানুষের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানকে ধারণ করে।যে জ্ঞান এ সমাজের মানব সভ্যতার অগ্রগতির প্রতীক।তবে-

বিজ্ঞানের নৈতিক ব্যবহারঃগোলক রহস্যের গোলকে ভিনগ্রহীরা বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে নিজেদের উদ্দেশ্যকে সিদ্ধি করতে চায়। শুধু তাই নয়, এখানে শঙ্কুকে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করে।তবে গল্পের মাধ্যমে সত্যজিৎ রায় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নৈতিক দিক এবং এর দায়িত্বশীল ব্যবহারের ওপরে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন।আর সেখানে_

মানবতার শ্রেষ্ঠত্বঃ আলোচ্য গল্পে আমরা দেখতে পাই ,চরম বিপদ সত্ত্বেও প্রফেসর শঙ্কু তার বুদ্ধি, সাহসিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধের সাহায্যে ভিনগ্রহীদের অসৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দেন। আর সেখানে এটি প্রমাণ করে যে, এটি নিছক প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব নয়, বরং এর মানবিক মূল্যবোধই আসল শক্তি।আর সেকারণেই-

অজানাকে জানার তীব্র কৌতুহলঃ প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্রটি অজানাকে জানার অদম্য কৌতূহল এবং গবেষণার প্রতি তার গভীর আগ্রহকে তুলে ধরে। আসলে 'গোলক রহস্য' গল্পটি কেবল একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নয়, এটি  প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার, মানবিক মূল্যবোধ এবং অজানার প্রতি মানুষের চিরন্তন কৌতূহলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...