"যেও না রজনী আজি লয়ে তারাদলে। গেলে তুমি দয়াময়ি ,এ পরাণ যাবে।।"
-বক্তা কে? পদটির মধ্য দিয়ে বক্তার কোন চরিত্রের কোন মনোভাবের প্রকাশ পায়? আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা মেজর শাক্ত পদাবলী)
•আলোচ্য অংশটির বক্তা হলেন উমার মা মেনকা।পদটি বিজয়া পর্যায়ের পদ।
আলোচ্য এই চরণটি বাংলা সাহিত্যের একটি বিখ্যাত বিজয়া দশমীর গান বা কবিতার অংশ। এটি মূলত মা দুর্গার বিদায়কালে রচিত।যেখানে প্রকৃতি এবং ভক্তের আকুতি মেশানো এক গভীর শোকের সুর ধ্বনিত হয়। এই চরণে, রজনীকে (রাত্রি) অনুরোধ করা হচ্ছে, যেন সে তারা সহ এখনই চলে না যায়। কারণ তার প্রস্থানে ভক্তের প্রাণ চলে যাবে। আসলে এই উদ্ধৃতিটির মধ্যে দিয়ে বিরহ, আকুতি এবং প্রকৃতির সঙ্গে ভক্তের গভীর সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।আর সেখানে -
এই গানের প্রেক্ষাপট বিজয়া দশমী, যা দেবী দুর্গার মর্ত্যলোক থেকে ফিরে যাওয়ার দিন। এই দিনটিতে ভক্তরা মা দুর্গার বিদায়কালে শোক প্রকাশ করে এবং পুনরায় তার আগমনের প্রতীক্ষা করে। "যেও না রজনী আজি লয়ে তারাদলে" এই চরণটিতে, কবি রজনীকে (রাত্রি) দেবী দুর্গার প্রতীক হিসাবে কল্পনা করেছেন। তার চলে যাওয়া মানেই যেন রাতের অন্ধকার নেমে আসা এবং সেই সঙ্গে ভক্তের হৃদয়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। তাই মা মেনকার আর্তি-
'গেলে তুমি, দয়াময়ি, এ পরাণ যাবে!'
• এখানে 'দয়াময়ি' দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। কবি বলছেন, "হে দয়াময়ী দেবী, তুমি চলে গেলে আমার প্রাণ চলে যাবে।" অর্থাৎ, মায়ের বিচ্ছেদ ভক্তের কাছে অসহনীয়। আসলে এই গানটিতে ভক্তের আকুতি, মায়ের প্রতি গভীর প্রেম এবং বিচ্ছেদের বেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অসাধারণ সৃষ্টি, যা আজও বিজয়া দশমীর দিনে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে গেছে।
•ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ব্যাখ্যা সাজেশন ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এবং আমাদের SHESHER KOBITA SUNDARBAN Youtube channel 🙏 •
Comments
Post a Comment