Skip to main content

সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন, মাইনর)।

সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন, মাইনর)।

         আমরা 'সর্বাত্মক পরিচয়পত্র' বলতে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বুঝি। তবে শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি সাধারণত  শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের সার্বিক তথ্য সংরক্ষণ করে।কিন্তু ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে 'ইউনিভার্সাল আইডি'(Universal ID) বলতে ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করার জন্য একটি একক শনাক্তকারীকে বোঝায়। এখানে উভয় প্রেক্ষাপটেই সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

•শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক পরিচয় পত্র                            ( কিউমুলেটিক রেকর্ড কার্ড-CRC). 

      শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বাত্মক পরিচয়পত্র বলতে কিউমুলেটিভ রেকর্ড কার্ড (CRC) বোঝায়, যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত, সামাজিক এবং প্রাক্ষোভিক বিকাশের একটি বিস্তারিত এবং ধারাবাহিক রেকর্ড। এটি একজন শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় থেকে শুরু হয়ে তার শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করে।

•সর্বাত্মক পরিচয় পত্রের প্রয়োজনীয়তা বা ব্যবহার •

 ক) শিক্ষার্থীর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণঃ CRC শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত পারদর্শিতা, বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল, প্রকল্প কাজ, শ্রেণীকক্ষে আচরণ এবং সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে। এটি শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা ও শক্তি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

খ) ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশঃ এই কার্ডে শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং প্রাক্ষোভিক জীবনের তথ্য থাকে।আর তথ্যের মাধ্যমে শিক্ষক এবং অভিভাবকরা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের সামগ্রিক দিক সম্পর্কে ধারণা পান এবং সেই অনুযায়ী তাদের নির্দেশনা দিতে পারেন।

গ) শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনাঃ  সর্বাত্মক পরিচয় পত্রের (CRC) তথ্য শিক্ষার্থীর আগ্রহ, প্রবণতা, পারদর্শিতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়। এই তথ্য শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষামূলক পথ বেছে নিতে এবং ভবিষ্যতে উপযুক্ত পেশা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ঘ) পরামর্শদানঃ যখন একজন শিক্ষার্থীকে কোনো সমস্যায় সাহায্য করার প্রয়োজন হয়, তখন সর্বাত্মক পরিচয় পত্র (CRC)তে থাকা তথ্য পরামর্শদাতাদের একটি সামগ্রিক চিত্র দেয়, যা তাদের কার্যকর পরামর্শ দিতে সাহায্য করে।

ঙ) শিক্ষাক্ষেত্র পরিবর্তন বা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেঃ যখন একজন শিক্ষার্থী এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হয় বা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করে, তখন CRC তার পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনের একটি নির্ভরযোগ্য দলিল হিসেবে কাজ করে থাকে।

চ) শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয়ঃ সর্বাত্মক পরিচয় পত্র (CRC) শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, যা শিক্ষার্থীর বিকাশে একটি সুসংহত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করে। শুধুমাত্র তাই নয়-                                                                   সর্বাত্মক পরিচয় পত্র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য গবেষকদের শিক্ষাব্যবস্থা বা শিক্ষার্থীদের বিকাশের ধারা সম্পর্কে গবেষণায় সহায়তা করে।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এবং আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON YOUTUBE CHANNEL 🙏 

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...