Skip to main content

রামসার সম্মেলন

রামসার সম্মেলন সম্পর্কে যা জানো লেখো পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দ্বাদশ শ্রেণী, তৃতীয় সেমিস্টার)।


         •রামসার সম্মেলনঃরামসার সম্মেলন (Ramsar Convention) হলো জলাভূমি সংরক্ষণ ও তার সুন্দর চিরস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। তবে এটি "জলাভূমি বিষয়ক কনভেনশন" নামেও পরিচিত। আসলে এর মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের সমস্ত জলাভূমিকে রক্ষা ও বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে ব্যবহার নিশ্চিত করা, যা বিশ্বব্যাপী চিরস্থায়ী উন্নয়নে অবদান রাখবে। আর সেই সম্মেলনের যে সকল তথ্য আমরা পাই সেগুলি হল- 

          •চুক্তি স্বাক্ষরের স্থান ও সময়ঃ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসার  শহরে এই আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই শহরের নামানুসারেই এই সম্মেলনের নামকরণ করা হয়েছে রামসার আন্তর্জাতিক চুক্তি। আর এই চুক্তিটি কার্যকর হয় ১৯৭৫ সালের ২১ শে ডিসেম্বর। যেখানে-

       •সদস্য রাষ্ট্রসমূহঃ রামসার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রথমে ১৫৮ রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৭০টিরও বেশি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। অতঃপর-

         •বিশ্ব জলাভূমি দিবসঃ রামসার সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত প্রীতি হয় যে, প্রতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস হিসেবে পালিত হবে। যা  আজও জলাভূমি দিবস হিসেবে পালিত হয় গোটা বিশ্বে। আর সেই দিবসটি জলাভূমি সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়।যার-

         •লক্ষ্যঃ বিশ্বের জলাভূমিগুলি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জল সরবরাহ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূগর্ভস্থ জল সঞ্চয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আর সেই হিসেবে রামসার কনভেনশনের প্রধান লক্ষ্য হলো এই গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রগুলির অবক্ষয় রোধ করা এবং তাদের কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।আর সেখানে-

        •রামসার সাইটঃ জলাভূমি চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের জলাভূমিগুলিকে 'রামসার সাইট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেখানে আর এই সাইটগুলি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলি দায়বদ্ধ থাকে।আসলে রামসার সম্মেলন হলো জলাভূমি এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বসবাসকারী জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহারের জন্য একটি বৈশ্বিক অন্যতম উদ্যোগ।

Comments

Popular posts from this blog

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...