Skip to main content

রাশি বিজ্ঞান কাকে বলে? রাশি বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

 রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার এডুকেশন মাইনর)।

 রাশিবিজ্ঞানঃ আমরা জানি যে,রাশিবিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের এমন  একটি শাখা, যা সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য বা উপাত্ত (data) সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা, উপস্থাপন এবং সংগঠিতকরণ নিয়ে কাজ করে। অর্থাৎ রাশিবিজ্ঞান হলো তথ্য থেকে অর্থপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর একটি পদ্ধতি। যেখানে-

         রাশিবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হলো, কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা, সেই তথ্যকে সাজানো এবং বিশ্লেষণ করা, এবং এর ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। যার মাধ্যমে আমাদের চারপাশের জটিল তথ্যকে সহজ ও বোধগম্য করে তোলা হয়।উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি যে-                         

              •একটি দেশের জনসংখ্যা, গড় আয়, স্বাক্ষরতার হার, বা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের তাপমাত্রা - এসব তথ্যকে সংগ্রহ করে, ছক বা লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করে এবং এর ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করার কাজটিই রাশিবিজ্ঞানের আওতায় পড়ে।

             •রাশিবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা•

আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজনীতি—সব ক্ষেত্রেই রাশিবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।আর সেই প্রয়োজনীয়তায় আমরা দেখি-

     ১)গবেষণায় সহায়তাঃযেকোনো গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ অপরিহার্য। রাশিবিজ্ঞান সেই তথ্যকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে গবেষণার ফলাফলকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। যেমন, নতুন কোনো ঔষধ তৈরির গবেষণায় এর কার্যকারিতা পরিমাপ করতে রাশিবিজ্ঞান ব্যবহৃত হয়।

        ২)অর্থনীতি ও ব্যবসায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ অর্থনৈতিক বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন বা কোনো ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাশিবিজ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন— কোনো পণ্যের চাহিদা কেমন, কোন অঞ্চলে পণ্যটি বেশি বিক্রি হচ্ছে, বা আগামীতে এর বিক্রি কেমন হতে পারে, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে রাশিবিজ্ঞান অপরিহার্য।

        ৩)সরকারের নীতি প্রণয়নঃ কোনো দেশের জনসংখ্যা, বেকারত্বের হার, মানুষের গড় আয়, স্বাক্ষরতার হার, ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে সরকার বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে। এসব ক্ষেত্রে রাশিবিজ্ঞানের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

        ৪)শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়ন: শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স বা ফলাফল বিশ্লেষণ করতে রাশিবিজ্ঞান সহায়ক। কোন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে বা দুর্বলতা কোথায়, তা জানতে এর ব্যবহার হয়।

        ৫) ভবিষ্যৎ বিষয়ে অনুমানঃ অতীত ও বর্তমানের তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করা রাশিবিজ্ঞানের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেমন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, শেয়ার বাজারের ওঠানামা বা রোগের বিস্তার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে রাশিবিজ্ঞান ব্যবহার করা হয়।

       •পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, রাশিবিজ্ঞান আমাদের চারপাশের জটিল তথ্যকে সহজ ও বোধগম্য করে তোলে। শুধু তাই নয়, এই রাশি বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারি।

ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ব্যাখ্যা সাজেশন ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এবং আমাদের SHESHER KOBITA SUNDARBAN Youtube channel 🙏 

Comments

Popular posts from this blog

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...