Skip to main content

ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)

         আমরা জানি যে,ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক প্রধান এবং দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি।আসলে  তিনি হলেন দেশের প্রথম নাগরিক এবং ভারতের ঐক্যের প্রতীক। যদিও ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে তিনি নামমাত্র বা নিয়মতান্ত্রিক শাসক হিসেবে কাজ করেন।আর এই প্রেক্ষিতে আমরা রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদায়-

               সাংবিধানিক অবস্থানে- 

নামমাত্র শাসক প্রধানঃভারতের সংসদীয় শাসনব্যবস্থায়, রাষ্ট্রপতির ভূমিকা অনেকটা ব্রিটেনের রাজা বা রানীর মতো। তিনি হলেন নিয়মতান্ত্রিক শাসক, কারণ প্রকৃত শাসন ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রীপরিষদের হাতে ন্যস্ত থাকে। সংবিধানের ৭৪(১) ধারা অনুসারে, রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি মন্ত্রীপরিষদ থাকবে, যার প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি এই মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য।

প্রশাসনিক প্রধানঃ সংবিধানের ৫৩(১) ধারা অনুযায়ী, ইউনিয়নের সমস্ত কার্যনির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত শাসনকার্য তাঁর নামেই পরিচালিত হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যেমন - প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের অন্যান্য সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, রাজ্যপাল, অ্যাটর্নি জেনারেল, নির্বাচন কমিশনার ইত্যাদি পদে তিনি নিয়োগ করেন।

সামরিক সর্বাধিনায়কঃরাষ্ট্রপতি হলেন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী) সর্বাধিনায়ক। তিনি সামরিক বাহিনীর প্রধানদেরও নিয়োগ করেন। তবে- 

             •রাষ্ট্রপতি তাঁর কার্যভারকালে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো কাজ করলে তার জন্য কোনো আদালতে তাঁকে জবাবদিহি করতে হয় না। এমনকি কোনো ফৌজদারি কার্যধারা তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা বা চালু রাখা যায় না।আর এই প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে-

             •ভারতের রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী হলেও, বাস্তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন। তাই, তাঁকে সাধারণত 'নিয়মতান্ত্রিক প্রধান' হিসেবে অভিহিত করা হয়।

     SAMARESH SIR -9547210830

Comments

Popular posts from this blog

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...