আমরা জানি আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষাকে ব্যক্তির ওপর আরোপিত কোন বিষয়ে কৌশল হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। তবে শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে একটি সক্রিয় প্রক্রিয়া। অর্থাৎ শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীর আত্ম সক্রিয়তা সম্ভব নয়। সেই হিসাবে ব্যক্তি জীবনের একটি সক্রিয় মানসিক প্রক্রিয়া হল মনোযোগ। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মে মানসিক সক্রিয়তা মনোযোগ ছাড়া শিক্ষার্থীর মধ্যে আসতে পারে না। তবে--
আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানের শিক্ষা মনোবিদরা মনে করেন--কোন শিক্ষা শিক্ষার্থীর আত্ম প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব হতে পারে না। আর এই আত্ম প্রচেষ্টা শিক্ষা মনোযোগের দ্বারা নির্ধারিত হয়। তবে শিক্ষার্থীরা যদি কোন বিশেষ সমস্যার বিভিন্ন অংশের প্রতি এবং সমগ্রের সাথে তাদের সম্পর্কের প্রতি সার্থকভাবে মনোনিবেশ না করতে পারে, তাহলে তারা সে সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তাই--
শিক্ষার ক্ষেত্রে মনোযোগের গুরুত্বের কথা আধুনিক কোন মনোবিজ্ঞানী অস্বীকার করতে পারেন না। তা ছাড়াও মনোযোগ অভিজ্ঞতার স্পষ্টতা সম্পর্কে আমাদের নিশ্চিত করে।ফলে যেকোনো বিষয়বস্তুর বোধগম্যতার মনোযোগ বিশেষভাবে সাহায্য করে।
সুতরাং শিখন এর ক্ষেত্রে মনোযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ মনোযোগ ছাড়া শিক্ষার্থীর শিক্ষা সম্ভব নয়। আর শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের মনোযোগী না করতে পারেন, তবে নানা প্রকার আধুনিক শিক্ষা কৌশল শিক্ষক প্রয়োগ করেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো ফল আশা করতে পারবেন না। তাই শিক্ষাকে অবশ্যই আগ্রহ ভিত্তিক করে তুলতে হবে। আর শিক্ষা যখন আগ্ৰহ ভিত্তিক হবে তখন সেই শিক্ষাকে শিক্ষাক্ষেত্রে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। এই আকর্ষণীয় করার কাজটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককেই করতে হবে। আর এই কাজটি যখন সম্পন্ন হবে তখন শিক্ষার সাথে মনোযোগের সম্পর্ক এক সূত্রে গ্রথিত হবে।
ফলে
Comments
Post a Comment