Skip to main content

বিধানচন্দ্র রায়।

 🙏🌹" মরণে তাহাই তুমি 

                               করে গেলে দান।"🙏🌹


  আজ ডা: বিধান চন্দ্র রায় এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস (01-07-1882--01-07-1962)। তাঁরই স্মরণে একটি ছোট্ট ঘটনা নিবেদন।একদা বিধান চন্দ্র রায় এর ভীষণ প্রয়োজন দেখা দেয় অর্থের। বিধান চন্দ্র রায় কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না কিভাবে এই অর্থ সংগ্রহ করবেন। আর ইতিমধ্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ গত হয়েছেন।আর চিত্তরঞ্জন দাশের একটি ছবি নিয়ে পরিকল্পনা করলেন এটি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করবেন।

            আর এ সময়কালে রবি ঠাকুরের অতি স্নেহধন্য চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য মহাশয়ের একটি পত্র হতে জানা যায়- বিধান চন্দ্র রায় সটান দেশবন্ধুর ছবি নিয়ে হাজির হলেন রবি ঠাকুরের কাছে।রবি ঠাকুর কে বললেন-এই ছবিটির উপর একটা কবিতা লিখে দিন। অতঃপর--

               রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বললেন এটি ডাক্তারী প্রেসক্রিপশন নয় যে রোগী এলেই চটপট প্রেসক্রিপশন লিখে দেবো।কথাটি শুনে বিধান চন্দ্র রায় কোন কষ্ট বা দুঃখ প্রকাশ করলেন না। অতঃপর বিধান বাবু কি বললেন শুনি---

        " আপনি লিখুন।আমি অপেক্ষা করছি।

          তবে আমার হাতে সময় খুব কম।,"

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই ছবির উপর লিখলেন--


       "এসেছিলে সাথে করে মৃত্যু হীন প্রাণ।

          মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।।"


             পরবর্তী সময় কালে এই মহান মানুষটি বিনা পয়সায় রোগী দেখতেন নিয়ম করে প্রতিদিন।এমনকি মুখ্যমুন্ত্রী থাকাকালীনও। শুধু তাই নয়

নিজের অর্থে দুজন ডাক্তার নিয়োগ করেছিলেন

বিনা অর্থে রোগী দেখার জন্য। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর সহকর্মীদের(staff) পারিশ্রমিক নিজেই দিতেন।

তিনিই ডা:বিধান চন্দ্র রায়।

             আর একটি ছোট্ট ঘটনা- ড.বিধান চন্দ্র রায় এর সাথে তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক জীবনে জ্যোতি বসু র সাথে প্রবল মতানৈক্য,মত পার্থক্য, মত বিরোধ ,প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু উভয়ের মধ্যে যে সমঝোতা ছিল তা আমার দেশে আজ কোন লেন্সেও তার হদিস পাওয়া ভীষণ মুস্কিল।


                                সমরেশ সরদার

                      হিঙ্গলগঞ্জ উত্তর ২৪ পরগনা।

                                     

Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...