Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2023

বিস্মৃতির কারনগুলি লেখো।

১) আলোচনা বা চর্চার অভাব:- আমাদের কোন বিষয়কে স্মরণে রাখতে হলে সেই বিষয়কে বারেবারে আলোচনা বা চর্চা করা দরকার। এক্ষেত্রে একবার কোনো রকম পড়ে ছেড়ে দিলে হবে না। বিষয়টিকে মাঝে মাঝে চর্চার সাথে লিখতে হবে। আর এরূপ পদ্ধতি যদি আমরা অবলম্বন না করি তাহলে শেখার আধ ঘন্টার মধ্যেই অর্ধেক ভুলে যাই। সুতরাং শিক্ষণীয় বিষয় আলোচনা বা চর্চার অভাবে বিস্মৃতি ঘটবে। ২) বিষয়বস্তুর প্রকৃতি:- শেখার বিষয়বস্তুর প্রকৃতির ওপর স্মরণ বা বিস্মরণ নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আমরা সরল বিষয়গুলিকে মনে রাখতে পারি।আর জটিল বিষয় গুলিভুলে যাই। বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি কবিতা বা অন্তর্দৃষ্টির সাহায্যে শেখা বিষয় অনেকদিন মনে রাখতে পারি। কিন্তু গদ্য বা অর্থহীন শব্দ সমষ্টি খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাই ।এখানে এখানে বিস্তৃতির পরিমাণ অনেক বেশি। ৩) মানসিক আঘাত:- আমরা জানি কোন বিষয় মনে রাখা আমাদের মস্তিষ্কের ওপর নির্ভর করে। কারণ সংরক্ষণের একমাত্র আধার মস্তিষ্ক। আর সেই মস্তিষ্ক আঘাতপ্রাপ্ত হলে আমাদের শেখা বিষয়গুলি বা পূর্ব স্মৃতি সম্পূর্ণ ভাবে ভুলে যাই। এক্ষেত্রে দেখা গেছে যুদ্ধ বা বোমা বিস্ফোরণের সময় অনেক মানুষ তাদের পূর্ব স্মৃতি বা অত

আগ্রহ ও মনোযোগের মধ্যে সম্পর্ক লেখ।

 মনোযোগ:- মনোযোগ হল একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ের মধ্য থেকে কোন একটি বিষয়ের উপর আমাদের মনকে নিযুক্ত করি। আর এই মনকে নিযুক্ত করার উদ্দেশ্য হলো সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের পূর্বাপেক্ষা অধিক সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট জ্ঞান লাভ করা। আগ্ৰহ:- আগ্রহ হলো কোন বিশেষ কাজ বা একশ্রেণীর কাজের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার একটি ব্যক্তিগত প্রবণতা। অর্থাৎ আগ্রহ ব্যক্তির এক ধরনের অভিজ্ঞতা ভিত্তিক বা অর্জিত মানসিক প্রবণতা। যে মানসিক প্রবণতা ব্যক্তিকে বহুমুখী কর্ম সম্পাদনে অনুপ্রাণিত করে।            শিক্ষাবিদ রস(Ross) বলেন আগ্রহ ও মনোযোগ একই মুদ্রার দুটি পিঠ মাত্র। আমরা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেখেছি বাইরে কুকুরের চিৎকারে ঘুমন্ত মাতার ঘুম ভাঙ্গে না। কিন্তু কোলের ছোট্ট শিশুটি যখন মৃদু স্বরে কাঁদে তখন মায়ের ঘুম ভেঙে যায়। অর্থাৎ এখানে ওই শিশুটির মাতা তার শিশু কান্নার শব্দে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। তবে--      আমাদের জীবনে প্রতিটি কাজের  পশ্চাতে একটি মানসিক সংগঠন কাজ করে থাকে। ঠিক তেমনি মনোযোগের পেছনেও এই আগ্রহের মানসিক সংগঠন কাজ করে থাকে। আর এখানে আগ্রহ মনোযোগের প্রেরণা সঞ্চার করে। তাই রিভার ড্রিভার বলেন

ছাত্রকে মনোযোগী করার উপায় বা শর্তগুলি কি? আলোচনা করো।

 আমরা জানি শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শিক্ষার্থীর যদি পাঠ্য বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকে তবে সে ওই বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হবে। আর বিষয়ের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি করতে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। বিখ্যাত মনোযোগী হার্বাট বলেন -        "শিক্ষকের প্রধান কাজ হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ গড়ে তোলা।" আগ্রহের উপর ভিত্তি করেই শিক্ষককে শিক্ষা দেওয়া উচিত। কারণ পাঠের প্রতি আগ্রহই শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে শিক্ষার্থীকে পৌঁছাতে সাহায্য করে। তাই শিক্ষার্থীকে মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য শিক্ষককে নিম্ন  বর্ণিত বিষয়ের সচেতন থাকতে হবে -- ১) প্রাথমিক স্তরে শিশুর মনোযোগ ইচ্ছা নিরপেক্ষ থাকে। প্রধানত তারা প্রবৃত্তির তাড়নায় বিশেষ বিশেষ বস্তুর প্রতি মনোযোগী হয়। তবে এই সময়ে শিশু মনে কৌতুহল, আত্ম প্রতিষ্ঠা  প্রভৃতি বিষয়গুলি খুব প্রবল থাকে। আর এই স্তরে শিশু যেসব বিষয় বস্তুতে স্বাভাবিক আগ্রহী হয় সেইগুলিকে কেন্দ্র করেই তার শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। ২) বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশু মনের মধ্যে ইচ্ছা মনোযোগ যাতে বৃদ্ধি পায় সেদিকে শিক্ষককে নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি শিশুদেরকে বিমূর্ত ধারণার

শিক্ষার সাথে মনোযোগের সম্পর্ক

 আমরা জানি আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষাকে ব্যক্তির ওপর আরোপিত কোন বিষয়ে কৌশল হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। তবে শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে একটি সক্রিয় প্রক্রিয়া। অর্থাৎ শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীর আত্ম সক্রিয়তা সম্ভব নয়। সেই হিসাবে ব্যক্তি জীবনের একটি সক্রিয় মানসিক প্রক্রিয়া হল মনোযোগ। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মে মানসিক সক্রিয়তা মনোযোগ ছাড়া শিক্ষার্থীর মধ্যে আসতে পারে না। তবে--     আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানের শিক্ষা মনোবিদরা মনে করেন--কোন শিক্ষা শিক্ষার্থীর আত্ম প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব হতে পারে না। আর এই আত্ম প্রচেষ্টা শিক্ষা মনোযোগের দ্বারা নির্ধারিত হয়। তবে শিক্ষার্থীরা যদি কোন বিশেষ সমস্যার বিভিন্ন অংশের প্রতি এবং সমগ্রের সাথে তাদের সম্পর্কের প্রতি সার্থকভাবে মনোনিবেশ না করতে পারে, তাহলে তারা সে সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তাই--      শিক্ষার ক্ষেত্রে মনোযোগের গুরুত্বের কথা আধুনিক কোন মনোবিজ্ঞানী অস্বীকার করতে পারেন না। তা ছাড়াও মনোযোগ অভিজ্ঞতার স্পষ্টতা সম্পর্কে আমাদের নিশ্চিত করে।ফলে যেকোনো বিষয়বস্তুর বোধগম্যতার মনোযোগ বিশেষভাবে সাহায্য করে।           সুতরাং শিখন এর ক্ষেত্রে মনোযোগের গুরুত্

আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস

 .        .     .মাতৃ দিবসের ছোট্ট ইতিহাস          .         .           .সমরেশ সরদার। মা সে যেমনই মা হোক  তিনিই প্রথম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা  জীবন যুদ্ধের প্রথম পথপ্রদর্শক দার্শনিক।                    আসলে মাতৃদিবসের নির্দিষ্ট কোন ধার্যদিন সঠিক নয় মনে করি। কারন সারা বছরের প্রতিটা দিনের প্রতিটি সময়ে মায়ের অনুপ্রেরণা না থাকলে কোন পুত্র সন্তান সামনে থেকে এগিয়ে যেতে পারে না। সে কারণে প্রতিটা দিনই মায়ের জন্য ধার্য থাকাটা স্বাভাবিক।।          এই দিনটি নির্দিষ্ট কোন সীমা রেখার মধ্যে, নির্দিষ্ট কোন মেরুর মধ্যে বেঁধে রাখলে মাতৃত্বকে অবমাননা করা হয়। তবুও আজকের দিনটি ভারতবর্ষ সহ আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস হিসাবে ১৪ই মে দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়। কারন ----             ১৯০৮ সালে প্রথম মাতৃ দিবস পালন করা হয় আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরে আনা জার্ভিসের উদ্যোগে। ১৪ই মে অর্থাৎ আজকের দিনে আনা জার্ভিস তাঁর মায়ের স্মরণ সভা একটি গির্জায় আয়োজন করেছিলেন। তিনি লাগাতার লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটিকে মাতৃ দিবস হিসেবে প্রত

*দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ গুলি আলোচনা করো* (সমরেশ স্যার, শেষের কবিতা)

ভূমিকা: *প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার কুড়ি বছরের* মধ্যেই বিশ্ববাসী আরেকটি যুদ্ধের সম্মুখীন হয়। আর সেই যুদ্ধ মানবজীবনকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে সেই সময়কাল টি হল 1939 খ্রিস্টাব্দে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ। আসলে জার্মানি পোল্যান্ড কে আক্রমণ করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অশুভ সঙ্কেত বিশ্ববাসীর কাছে চলে আসে*। যেখানে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই মারাত্মক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য অসংখ্য উপাদান দায়ী ছিল। আর সেখানে মনে করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল-- "সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক  সংঘাত থেকে"। সেই সংঘাতের প্রত্যক্ষ কারণ গুলি হল*----- ১) ভার্সাই সন্ধি:- জার্মানিকে অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দুর্বল করার প্রয়াসে ভার্সাই চুক্তিপত্রে ৪৪০ টি ধারার বেশিরভাগ ধারা রচিত হয়। সামরিক শক্তি বেলজিয়াম থেকেও ছোট করে দেওয়া হয়। জার্মানির উপনিবেশ গুলি ভাগ করে নেয় মিত্রশক্তিবর্গ।চাপিয়ে দেওয়া হয় বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণের বোঝা।তার ফলে জার্মানি যূদ্ধের সম্মুখীন হতে বাধ্য হয়। ২) জাতীয়তাবাদ:  মহান সাম্রাজ্যবাদী বিপ্লবী হিটলার চেয়েছিলেন পূর্ব ইউরোপে জার্মান সাম্রাজ্যব বিস্তার ঘটিয়ে জার্মান