Skip to main content

ইতিহাস/দ্বিতীয় সেমিস্টার/২০১৯

 ) উত্তরাপথনাথ উপাধি কে গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তর - হর্ষবর্ধন উত্তরাপথনাথ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।


২) গুপ্ত যুগের দুজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক নাম লেখো।

উত্তর - গুপ্ত যুগের দুজন বিজ্ঞানী হলেন আর্যভট্ট এবং বরাহমিহির।


৩) কোন গুপ্ত রাজা হুণদের পরাজিত করেছিলেন?

উত্তর - মালবরাজ রাজা যশোধর্মন হূণদের পরাজিত করেন।


৪) বিক্রমশিলা মহাবিহার কে প্রতিষ্ঠা করেন এর প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?

উত্তর - বিক্রমশিলা মহাবিয়ার প্রতিষ্ঠা করেন ধর্মপাল। যার প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর।


৫) হরিসেন রচিত এলাবাদ প্রশস্তিতে কার রাজ্য জয়ের কাহিনী বিবৃত হয়েছে?

উত্তর - হরিসেন রচিত এলাবাদ প্রশস্তিতে সমুদ্রগুপ্তের রাজ্য জয়ের কাহিনী বিবৃত হয়েছে।


৬) আর্যভট্ট কেন বিখ্যাত ছিলেন?

উত্তর - আর্যভট্ট ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় গণিতবিদ, পদার্থবিদ এবং জ্যোতির্বিদ। প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে তিনি একজন।

৭)কালিদাসের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনার নাম লেখো।

উত্তর - মহাকবি কালিদাসের উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো ঋতুসংহার','মেঘদূত','রঘুবংশ',ও 'কুমারসম্ভব' -এই চারটি কাব্য ।


৮) বর্ধন সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক কে ছিলেন? প্রভাকর বর্ধনের রাজধানীর নাম কি ছিল?

উত্তর - বর্তন সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন হর্ষবর্ধন।

প্রভাকর বর্ধনের রাজধানীর নাম হল থানেশ্বর।


৯) গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ কর।

উত্তর - উত্তর সাম্রাজ্যের পতনের প্রধান কারণ গুলি হল-

 ক) পুষ্যমিত্র উপজাতির বিদ্রোহ। 

খ) রাজ পরিবারের অন্তদ্বন্দ্ব।


১০) হর্ষবর্ধন রচিত তিনটি গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর - হর্ষবর্ধন রচিত তিনটি গ্রন্থ হল- নাগানন্দ, প্রিয়দর্শিকা এবং রত্নাবলী নামে তিনটি সংস্কৃত নাটক লেখেন।


১১) নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কি ছিল?

বিহার রাজ্যের নালন্দা জেলার রাজগীরে অবস্থিত নালন্দা একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও সর্বজনীন কেন্দ্র। এটি সমকালীন ভারতে বৌদ্ধ ধর্মচর্চা ও শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র । চৈনিক পর্যটক হিউয়েনসাঙ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছর অধ্যয়ন করেছিলেন।


১২) গোপাল কে ছিলেন?

উত্তর - ৭৫০ খ্রীষ্টাব্দে গোপাল ছিলেন সামন্তরাজা।  তিনি বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।


১৩) কোন কোন রাজবংশ তথাকথিত ত্রিশক্তি সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন?

উত্তর - কনৌজ দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব ভারতে পাল ,পশ্চিম ভারতের প্রতিহার এবং দক্ষিণ ভারতে রাষ্ট্রকূট ত্রিশক্তি সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন।


১৪) চোল রাজবংশের কোন রাজা গঙ্গাকেন্দ্রে( গঙ্গাইকোন্ড ) চোলপুরম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তর -চোল রাজ রাজেন্দ্র চোল গঙ্গাকেন্দ্রে চোলপুরম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


১৫) তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব লেখো।

উত্তর - তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বীরাজের পরাজয় রাজপুতের শক্তির উপর দারুন আঘাত আনে। আর ভারতীয় সামরিক শক্তির দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে।

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর ভারতে স্থায়ী মুসলিম রাজ্য গড়ে ওঠে। বলা যায় অতঃপর হিন্দু যুগের অবসান এবং মুসলিম যুগ তথা মধ্যযুগের সূচনা হয়।


Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প