"কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ" অথবা-কাব্য যে মানুষের উপাদেয় সে এই অলংকারের জন্যই-আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)
"কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ" অথবা-কাব্য যে মানুষের উপাদেয় সে এই অলংকারের জন্যই-আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)
উত্তর - আমরা জানি যে, কাব্য হলো কল্পনাশ্রয়ী, ঠিক সঙ্গীতের মতোই। আর সেই কারণে কাব্য একদিকে অর্থযুক্ত পদ সমন্বয়ে সুষমান্বিত,অন্যদিকে আবার ভাবের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত।ভাষা সেখানে ভাবের বাহন হয়ে আসে।তবে কবিমাত্রই কথার স্বর্ণকার। তাই তিনি গদ্যের মতো কাব্যের শব্দ তার অর্থকে আটপৌরে না রেখে নানান সাজ-সজ্জায় সাজিয়ে তোলেন।তবে--
অলংকার যেমননারীর ভূষণ,ঠিক তেমনি অলংকারবাদীরা শুধু কাব্যের ভূষণ হিসেবে অলংকারকে অভিহিত করে ক্ষান্ত হননি।আসলে তাঁরা বলতে চেয়েছেন, কাব্য যে মানুষের কাছে উপাদেয় হয়ে উঠে তার অলংকারের জন্যই।আর সে কারণেই -
কাব্যকার ভমহ থেকে কুন্তক পর্যন্ত প্রায় সকলেই কাব্যে অলংকার প্রয়োগের কথা বলতে আগ্ৰহী।আর সেই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাব্যকার বামন বলেছিলেন-
'কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ।"
সুতরাং অলংকারবাদীদের মতে কাব্যের প্রাণপ্রতিষ্ঠাহয় শব্দে ও অলংকারের মধ্যে দিয়ে।তবুও -
অলংকার থাকলেই যে কাব্য সবসময় রসময় বা রসোত্তীর্ণ হবে একথা বলা খুবই মুশকিল। তাই আমরা বলতে পারি যে, অলংকার থাকা সত্ত্বেও সার্থক কাব্য হয়নি,এমন উদাহরণ বাংলা সাহিত্যের অভাব নেই। এখানে আমরা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি -
"এত ভগ্ন বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা।"
এই কবিতাংশটিতে অনুপ্রাস অলংকার থাকা সত্ত্বেও সেটি সার্থক কাব্য হয়ে উঠতে পারিনি।আর সেই কারণেই এখানে জন্ম নেয় 'রীতিবাদ'।
ঠিক এরূপভাবে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা ও সাজেশন পেতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল
"SHESHER KOBITA SUNDORBON" YOUTUBE CHANNEL, ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment