' বঁধু কি আর বলিব আমি।
জীবনে মরণে জনমে জনমে
প্রাণনাথ হৈও তুমি।।'
পদকর্তার নাম কী? কোন পর্যায়ের পদ? আলোচ্য পদটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মেজর, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বৈষ্ণব পদাবলী ১৪ সংখ্যক পদ সিলেবাস অনুসারে)।
আলোচ্য পদটির পদকর্তা হলেন বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি চন্ডীদাস। আর পদটি নিবেদন পর্যায় থেকে চয়ন করা হয়েছে।
'নিবেদন' পর্যায়ের এই পদে শ্রীরাধা কৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন-শুধু জীবনের-মরণে নয়, জন্ম-জন্মান্তরে কৃষ্ণকে যেন প্রাণনাথ হিসেবে কাছে পেতে চান। কেননা এই জগতে তাঁর আপন বলতে শুধুমাত্র কৃষ্ণই আছে। তাই তিনি কৃষ্ণের চরণে আশ্রয় নিয়ে সবাইকে পর করেছেন। এখানে রাধা উপলব্ধি করেছেন কৃষ্ণই তাঁর জীবনের একমাত্র প্রার্থিত। এজন্য কৃষ্ণের কাছে রাধা সর্বস্ব সমর্পন করেছেন। প্রেম বঞ্চিত রাধার মনে হয়েছে, এই ত্রিভুবনে রাধাকে আপন বলে মনে করবার কেউ নেই। রাধার নাম ধরে তার সুখ দুঃখ আনন্দ বিরহের অনুভূতির কথা শোনার মত মানুষও নেই। রাধা বলেছেন তাঁর আর আপন বলে কেউ নেই। শ্রীকৃষ্ণ সুশীতল চরণ পদ্মের আশ্রয় নিয়েছেন এই ভেবে যে, কৃষ্ণ ছাড়া তার অন্য কোন গতি নেই। কৃষ্ণই তার হৃদয়-ধন। তিনি কৃষ্ণের কাছে এটাই প্রত্যাশা করেছেন, অবলা-অসহায়া এই নারীকে যেন ত্যাগ না করেন। তাই
সমস্ত আত্মাভিমান,সংকোচ,ক্ষোট দূরে রেখে কৃষ্ণকেই জীবনের একমাত্র আশ্রয় হিসেবে দেখে নিঃস্বার্থভাবে আত্মনিবেদন করেছেন রাধা। কুল-শীল-মান কৃষ্ণকেই প্রেমসাধনার একমাত্র অবলম্বন করেছেন তিনি। তাই নিবেদনে রাধার সেই স্রোতস্বিনী অশ্রু মিশে গিয়েছে কৃষ্ণসাগরে। এখানেই রাধার পরিপূর্ণতা, তার শান্তি দ্বিধা জর্জরিত সত্তার পরিসমাপ্তি।।
ঠিক এরূপ নোটস বিষয় ভিত্তিক সাজেশন এবং ভিডিও পেতে আজই আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "SHESHER KOBITA SUNDORBON" সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ রইলো।
Comments
Post a Comment