Skip to main content

আমার দাও মা তবিলদারি/আমি নিমকহারাম নই শঙ্করী।

           "আমায় দাও মা তবিলদারি।

           আমি নিমকহারাম নই শংকরী।।"

কবি কে? কোন শ্রেণীর পদ? উক্তিটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে কবির ভক্তিচিত্তর প্রকাশটি বুঝিয়ে দাও ।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়,শাক্ত পদাবলী, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)


শাক্ত পদাবলীর সাহিত্যের যিনি ভক্তির আবেগে পদগুলিকে রসসিক্ত করেছেন, সেই রামপ্রসাদ সেন হলেন আলোচ্য পদের রচয়িতা। আর এই পদটি ভক্তের আকুতি পর্যায়ের শ্রেণীভুক্ত। 


          বিশ্ব জননী বিশ্ব সৃষ্টি করার পর বিশ্বের সবকিছু বিলিয়ে দেবার ভার দিয়েছেন মহাদেবের উপর। স্বভাবভোলা মহাদেব ইচ্ছা মতো সকলকে বরদেন। কেউ কোন কিছু চাইলে কখনো পাত্র বিচার করেন না। এর ফলে বস্তুর অপচয় হতে থাকে। প্রকৃত ভক্ত কবি এত অপচয় সহ্য করতে না পেরে জননীর কাছে আবেদন করেছেন, যদি তাকে মায়ের কৃপা বিতরণ করার অধিকার দেওয়া হয় তবে যোগ্যকেই তিনি শুধু কৃপা বর্ষণ করবেন।

          আমরা জানি যে,সাধনার ভেদ আছে। প্রকৃত সাধক রামপ্রসাদ বিনা কারণে সিদ্ধিলাভকে সমর্থন করেননি। তিনি সাধনার সেই স্তরকে সমর্থন করেছেন, যে স্রোতে এলে বলা চলে-

          "বধূ কি আর ছাড়িয়া দিব।

          হিয়ার মাঝারে যেখানে পরান 

         সেখানে লইয়্যা যাব।" 

ভক্ত প্রাণের এই আকুলতা এবং অকৃত্রিম ভক্তি বিশ্বাস আলোচ্য এই পদটির মধ্যে পরিস্ফুটিত হয়েছে। 

অর্থাৎ-

        এখানে আমরা দেখি যে,মা যদি তাকে অর্থাৎ কবিকে তবলদারীর রক্ষার ভার দেন তবে প্রাণপণে সেই তবিল রক্ষা করবেন কবি। তবে তিনি নিমকহারাম নন, তাই মায়ের পদরত্ন ভান্ডার বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকবেন। কিন্তু যাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি সেই রত্ন ভান্ডার ইচ্ছামতো সকলকে বিতরণ করে চলেছেন। তাই তিনি আবেদন, নিবেদন ও আকুতি করেন মায়ের তবিলদারির রক্ষা করার ভার তার ওপরেই দেওয়া হোক।


ঠিক এরূপ বিষয় ভিত্তিক আলোচনা ও সাজেশন পেতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "SHESHER KOBITA SUNDORBON" YouTube channel এ।

Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প