"সই কেবা শুনাইলো শ্যাম নাম।" কোন পর্যায়ের পদ? কবি কে? এই বক্তব্যের মধ্যে নাম শ্রবণজাত যে অনুভূতির কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় দাও।
"সই কেবা শুনাইলো শ্যাম নাম।"
কোন পর্যায়ের পদ? কবি কে? এই বক্তব্যের মধ্যে নাম শ্রবণজাত যে অনুভূতির কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় দাও।
আলোচ্য এই পদটি পূর্বরাগ পর্যায়ের পদ । পদটির পদকর্তা হলেন কবি চন্ডীদাস।
শ্রীমতি রাধিকা দুই অক্ষরজাত একটি নাম শ্যাম শ্রবণ করার পর মুহূর্তে এক অদ্ভুত ভাবাবেগে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি কোনভাবেই এই নাম ছাড়তে পারছেন না। তিনি সখিদের জানিয়েছেন, এই নাম যখন কানের ভিতর দিয়ে মরমে প্রবেশ করেছে 'তখন আকুল করল মোর প্রাণ'। রাধার মনে হয়েছে নাম শুনে যার এত প্রেম জাগে, সেই প্রেমিক মানুষটির সান্নিধ্যে এলে রাধার কী অবস্থা হবে। এই শ্যাম নামে এমন মধু আছে যে, 'বদন ছাড়িতে না পারে।' আর সে কারণে শ্রীমতির রাধিকা তার সখীদের কাছে বলেছেন-
কৃষ্ণ নাম জপ করতে করতে রাধার অঙ্গ অবশ হয়েছে। রাধা প্রতি মুহূর্তে ভাবতে থাকেন- "কেমনে পাইব সই তারে"। নাম শ্রবণে যদি এমন হয়, তাহলে একবার শ্যাম রূপ দর্শন করলে' 'যুবতী-ধরম কৈছে রয়'। রাধারানী শ্যামকে ভুলতে চান কিন্তু কোনভাবেই তিনি ভুলতে পারেন না। অর্থাৎ-
শ্রীমতি রাধিকার প্রাণে কৃষ্ণপ্রেমের অনুভূতি উপলব্ধি করা যায়। তার মনের মধ্যে ব্যাকুলতা আছে,তবে বাসনা পূরণের কোনো সুযোগ নেই। তাই বিরহ হল এই পর্যায়ে শেষ কথা। তবে এই প্রেমে যে একবার মজেছে সে কুলকে বিসর্জন দিয়েছে। তবুও প্রাণের প্রিয় প্রেমিককে পাওয়া এখানে কোন সম্ভাবনা নেই।
Comments
Post a Comment