শিক্ষাক্ষেত্রে দৈহিক বিকাশের গুরুত্ব বা দৈহিক বিকাশ ও শিক্ষা আলোচনা করো।
আমরা জানি যে,শিশুর দৈহিক বিকাশ তার মানসিক সামাজিক ও অন্যান্য দিকের বিকাশে সাহায্য করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে তাই দৈহিক বিকাশের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রগতিশীল আদর্শ বিদ্যালয়ের কাজ হবে শিক্ষার্থীদের এই দৈহিক বিকাশে সাহায্য করা। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দৈহিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে এবং দৈহিক বিকাশের নীতি ও পরিমানকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাভিমুখী পরিকল্পনার রচনার মাধ্যমে শিক্ষক শিশুর দৈহিক বিকাশে সাহায্য করতে পারেন। তবে-
বিদ্যালয়ে খেলাধুলা, ব্যায়াম, অন্যান্য দেহ চর্চামূলক কাজের মাধ্যমে দৈহিক বিকাশে সহায়তা করা যায়। ব্যায়াম দেহের কোন কোন অঙ্গের শক্তি ও কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। বিদ্যালয়ে সহপাঠ্যক্রমিক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেহ সঞ্চালনের সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন। আবার -
দৈনিক বিকাশের সাথে সাথে শিক্ষার্থীর মধ্যে নানা ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হয় বলে সেই অনুযায়ী পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষভাবে কৌশোরে শিক্ষার্থীদের যে যৌন বিকাশ হয়, তার ফলে তাদের মধ্যে অনেক কৌতুহল সৃষ্টি হয়। শিক্ষার মধ্যে এই সংক্রান্ত জ্ঞান যাতে সেই সমস্ত সকল শিক্ষার্থীরা পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, যেহেতু শিশুর বিভিন্ন দিকের বিকাশের ক্ষেত্রে দৈহিক বিকাশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকে সেহেতু সে শিশুর দৈহিক বিকাশের দিকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের সর্বাগ্ৰে প্রধান কর্তব্য।
Comments
Post a Comment