Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2023

ষষ্ঠ সেমিস্টার দর্শন (GE)

 8) চিন্তার গভীরতার পথে অন্তরায় কি কি?  উত্তর - স্পষ্টতা, যথার্থতা যথাযথতা এবং প্রাসঙ্গিকতা এই সকল বিষয়গুলি আমরা কেবলমাত্র উপর উপর চিন্তা করি তাহলে আমাদের চিন্তার গভীরতার পশ্চাতে বাধা সৃষ্টি হবে। 6) অস্পষ্টতা কি? উত্তর -আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এমন অনেক বিষয় বা শব্দ আছে যাদের প্রয়োগের ক্ষেত্রটি মোটেই নির্দিষ্ট নয়। আর সেই সকল বিষয় বা শব্দগুলিকে প্রয়োগে মনের ভাব অস্পষ্ট হয়ে যায়। 7) আলংকারিক প্রশ্ন কাকে বলে?  উত্তর -অনেক সময় বক্তা তার প্রশ্নকে উত্তর কর্তার কাছে পেশ করেন তখন সেই প্রশ্নগুলির দেহে সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে অলংকার মন্ডিত করে উপস্থাপিত করেন ।তখন সেই প্রশ্নগুলিকে আলংকারিক প্রশ্ন বলা হয়। যেমন- অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?(ছেকানুপ্রাস) 2) সবিচার  চিন্তন যথাযথ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি? উত্তর - চিন্তার যথাযথ ও চিন্তার যথার্থতা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। আর এক্ষেত্রে বক্তা যখন তার চিন্তণের বিষয়টি উপস্থাপিত করেন তখন তিনি তথ্য সহকারে উপস্থাপন করলেন কিনা অর্থাৎ তার চিন্তার বিষয়টি তথ্যবহুল হলো কিনা তার জন্যই সবিচার চিন্তনের যথাযথ হওয়া প্রয়োজন। মোটকথা বক্তার আলোচ্য বিষ

চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০২২ ও অন্যআন্য প্রশ্নোত্তর।

 রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ সেমিস্টার। ১) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু লেখো। উত্তর - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক মতাদর্শ, ক্ষমতা, জাতীয় স্বার্থ, যুদ্ধ ও শান্তি, আন্তর্জাতিক সংগঠন, সন্ত্রাসবাদ, নিরস্ত্রীকরণ জোট গঠন সহ সমগ্র আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার যাবতীয় বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আলোচনা করে। ২) ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির ভূখণ্ডের ধারণাটি লেখো। উত্তর - ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দের সম্পাদিত ওয়েস্টফলিয়া চুক্তির মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ভুখেন্দ্রিক সার্বভৌম- জাতীয় রাষ্ট্রের ধারণাটি প্রাধান্য পেয়েছে। আর সে সময় জাতি রাষ্ট্রগুলো নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে একে অপরের সাথে আর্থ রাজনৈতিক বাণিজ্যিক সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে তা থেকেই আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে প্রথম সূচনা ঘটে। ৩) নয়া উদারনীতিবাদের দুজন তাত্ত্বিকের নাম লেখো। উত্তর - রবার্ট কোহেন, জোসেফ নাই, জেমস রোশনাউ এবং পিটার হার্স হলেন নয়া উদারনীতিবাদের তাত্ত্বিকগণ। ৪) জাতীয় স্বার্থ কাকে বলে? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির অন্যতম মৌলিক ধারণা হলো জাতীয় স্বার্থ। জাতী

রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা

 .            .রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা                             রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।       .              .  ( চতুর্থ সেমিস্টার,মিল) প্রশ্ন: রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা গল্পের রামকানাইয়ের চরিত্র বা তাঁর নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বা গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর।। ভূমিকা: আলোচনার শুরুতেই বলে  রাখি যে- গল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে একটি পরিবারের পারিবারিক চিত্র অংকিত করেছেন। আর সেই চিত্রে আমরা দেখি রামকানাই তার দাদা গুরুচরণের কথামতো তার সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী বরদাসুন্দরী র নামে উইল করে দেন।আর এই উইল নিয়েই রামকানাই এর পরিবারে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। কারণ রামকানাইয়ের স্ত্রীর আশা ছিল যে গুরুচরণের সম্পত্তির উইলটি তার পুত্র নবদ্বীপ কে করে দেবেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তবে রামকানাই ইচ্ছা করলেই সেটা করে নিতে পারতেন ।কিন্তু রামকানাই সেটা করেননি। নিজের ছেলের নামে না করাতেই তাদের সংসারে বিবাদ শুরু হয়। তবে---         রামকানাই সংসারে অশান্তির কারণেই তিনি কাশি গমন করেন। অতঃপর তার অনুপস্থিতিতে তারই পুত্র নবদ্বীপ নকল উইল করে আদালতে জমা দেন। শুরু হয় আদালতে মামলা। সেই মামলা নিষ্পত্তির জন্য

চতুর্থ সেমিস্টার ইতিহাস জেনারেল ছোট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

 ১) কোন বছর পিটের ভারতে ফিটস ইন্ডিয়া আইন বা অ্যাক্ট পাশ হয়? উত্তর - ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সংস্কারমূলক আইন প্রণীত হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পিট এর নাম অনুসারে এ আইনটির নাম হয় পিটস ইন্ডিয়া অ্যআক্ট। এই আইনে ভারতের কোম্পানি কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ডকে ব্রিটিশ সরকারের সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যেখানে দেশীয় রাজ্যগুলির সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি ঘোষণা করা হয় (সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা অনুসারে)। ২) কাদের মধ্যে এবং কখন সলবাইয়ের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়? উত্তর - ইংরেজ ও মারাঠাদের মধ্যে যে প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ হয় ।আর সেই যুদ্ধের  অবসান ঘটে ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে সলবাই এর সন্ধির দ্বারা। এই সন্ধির শর্ত ছিল যে, দ্বিতীয় মাধবরাও পেশোয়া হবেন, রাখোবা ২৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। কোম্পানি সলসেট পাবে এবং সিন্ধিয়া, গায়কোয়াড নিজ নিজ অঞ্চল ফিরে পাবেন। ৩) সূর্যাস্ত আইন কি ছিল? উত্তর - সানসেট ল বা সূর্যাস্ত আইন লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেন। এই আইন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সঙ্গে জড়িত ছিল। কোন জমিদার খাজনা বা রাজস্ব জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনে সূর্য অস্ত যাওয

চতুর্থ সেমিস্টার ইতিহাস জেনারেল ছোট প্রশ্ন উত্তর ২০২০।

 1) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় দেওয়ানি অর্জন করে? উত্তর - ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার কোম্পানী দেওয়ানী লাভ করে ।আর ঐসব অঞ্চলের কোম্পানী রাজস্ব অধিকার লাভ করে কিন্তু কোম্পানীর কর্মচারী এবং শান্তি শৃঙ্খলার দায়িত্বে অর্পিত হয় নবাবের উপর। অর্থাৎ কোম্পানি ছিল বাংলার প্রকৃত শাসক নবাব নামে প্রধান ছিল এই ব্যবস্থাকে বলা হয় দ্বৈতশাসন। ২) কবে কাদের মধ্যে অমৃতসর চুক্তি সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়? উত্তর - ১৮৪৯ সালে অমৃতসরের সন্ধি রঞ্জিত সিংহ এবং ইংরেজদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা শতদ্রু নদীর রাজ্যগুলির ওপর রঞ্জিত সিংয়ের কর্তৃত্ব স্বীকৃত হয় এবং শতদ্রু নদীর পূর্ব তীরস্থ রাজ্যগুলির ওপর তিনি দাবি ত্যাগ করেন। পূর্বতীরস্থ রাজ্যগুলি ইংরেজ নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে পড়ে। এই সন্ধির ফলে অখন্ড শিখ রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। ৩) স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন? দুটি রাজ্যের নাম কর যে দুটি রাজ্য এই নীতির মাধ্যমে সংযুক্ত হয়? উত্তর - লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন। আর এই নীতি অনুযায়ী লর্ড ডালহৌসি, ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে সাঁতারা,

চতুর্থ সেমিস্টার জেনারেল ইতিহাস ছোট প্রশ্ন ২০২১

 *১) সুজাউদ্দৌলা কে ছিলেন বা মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর কে বাংলার নবাব হন?  উত্তর - সুজা উদ্দৌলা আয়ুধের সুবেদার নবাব ছিলেন। মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর তার জামাতা বাংলার নবাব  হন ১৭৫৪-১৭৭৫ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। নবাব থাকাকালীন তিনি বক্সারের যুদ্ধ এবং পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। *২) কোন সালে রেগুলেটিং আইন জারি করা হয়েছিল? উত্তর - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দুর্নীতি দূরীকরণ, গঠন বিন্যাস ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন প্রণয়ন করেন। আর সেই আইনে বলা হয় বাংলা বোম্বাই ও মাদ্রাজে ১ করে কাউন্সিল থাকবে। *৩) শ্রী রঙ্গপত্তমের সন্ধিতে স্বাক্ষরকারী কারা কারা ছিলেন ?কখন এই সন্ধিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল? উত্তর - তৃতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের অবসান হয়েছিল শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির দ্বারা। আর এই সন্ধিতে ঠিক হয় টিপু সুলতান ইংরেজদের তিন কোটি টাকা এবং জামিন স্বরূপ তার দুই পুত্রকে দিতে বাধ্য হবেন। এছাড়া বিজিত অঞ্চল ইংরাজ, মারাঠা ও নিজামের মধ্যে বন্টিত হল। যে সন্ধির দুটি পক্ষ ছিল একদিকে ছিলেন টিপু সুলতান এবং অপরদিকে ছিলেন ইংরেজ। সময়কালটি ছিল ১৭৯৩ খ্রিস্ট

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের (চতুর্থ সেমিস্টার) ছোট প্রশ্ন।

 ১) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য লেখো। উত্তর - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূলত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক উভয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির তুলনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিধি ব্যাপকতর। ২) আন্তর্জাতিক রাজনীতি কাকে বলে? উত্তর - আন্তর্জাতিক রাজনীতি হলো রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ক্ষমতার লাভের সংগ্রাম। আর এই ক্ষমতা লাভের সংগ্রাম হলো আন্তর্জাতিক সমাজের রাজনীতি। ৩) জাতীয়তাবাদ কাকে বলে? উত্তর - আধুনিক বিশ্বে জাতীয়তাবাদ একটি অন্যতম প্রধান প্রভাবশালী শক্তি। সাধারণভাবে কোন জাতির মধ্যে যে ঐক্যবোধ বা চেতনা বর্তমান তাকে জাতীয়তাবাদ বলা হয় ।আসলে জাতীয়তাবাদ হল একটি মানসিক অনুভূতি। ৪) আনুষ্ঠানিকভাবে কবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনা সূচনা হয়? উত্তর - আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে বিংশ শতকের শুরু থেকে,তবে সুনির্দিষ্টভাবে বললে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর 1919 সাল থেকে। ৫) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় বাস্তববাদী তত্ত্বের প্রবক্তাদের নাম লেখো। উত্তর - বিশ শতকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচ

বিধানচন্দ্র রায়।

 🙏🌹" মরণে তাহাই তুমি                                 করে গেলে দান।"🙏🌹   আজ ডা: বিধান চন্দ্র রায় এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস (01-07-1882--01-07-1962)। তাঁরই স্মরণে একটি ছোট্ট ঘটনা নিবেদন।একদা বিধান চন্দ্র রায় এর ভীষণ প্রয়োজন দেখা দেয় অর্থের। বিধান চন্দ্র রায় কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না কিভাবে এই অর্থ সংগ্রহ করবেন। আর ইতিমধ্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ গত হয়েছেন।আর চিত্তরঞ্জন দাশের একটি ছবি নিয়ে পরিকল্পনা করলেন এটি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করবেন।             আর এ সময়কালে রবি ঠাকুরের অতি স্নেহধন্য চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য মহাশয়ের একটি পত্র হতে জানা যায়- বিধান চন্দ্র রায় সটান দেশবন্ধুর ছবি নিয়ে হাজির হলেন রবি ঠাকুরের কাছে।রবি ঠাকুর কে বললেন-এই ছবিটির উপর একটা কবিতা লিখে দিন। অতঃপর--                রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বললেন এটি ডাক্তারী প্রেসক্রিপশন নয় যে রোগী এলেই চটপট প্রেসক্রিপশন লিখে দেবো।কথাটি শুনে বিধান চন্দ্র রায় কোন কষ্ট বা দুঃখ প্রকাশ করলেন না। অতঃপর বিধান বাবু কি বললেন শুনি---         " আপনি লিখুন।আমি অপেক্ষা করছি।           তবে আমার হাতে সময় খুব কম।," রবীন্দ্র