Skip to main content

ষষ্ঠ সেমিস্টার দর্শন (GE)

 8) চিন্তার গভীরতার পথে অন্তরায় কি কি? 

উত্তর - স্পষ্টতা, যথার্থতা যথাযথতা এবং প্রাসঙ্গিকতা এই সকল বিষয়গুলি আমরা কেবলমাত্র উপর উপর চিন্তা করি তাহলে আমাদের চিন্তার গভীরতার পশ্চাতে বাধা সৃষ্টি হবে।


6) অস্পষ্টতা কি?

উত্তর -আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এমন অনেক বিষয় বা শব্দ আছে যাদের প্রয়োগের ক্ষেত্রটি মোটেই নির্দিষ্ট নয়। আর সেই সকল বিষয় বা শব্দগুলিকে প্রয়োগে মনের ভাব অস্পষ্ট হয়ে যায়।


7) আলংকারিক প্রশ্ন কাকে বলে? 

উত্তর -অনেক সময় বক্তা তার প্রশ্নকে উত্তর কর্তার কাছে পেশ করেন তখন সেই প্রশ্নগুলির দেহে সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে অলংকার মন্ডিত করে উপস্থাপিত করেন ।তখন সেই প্রশ্নগুলিকে আলংকারিক প্রশ্ন বলা হয়।

যেমন- অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?(ছেকানুপ্রাস)


2) সবিচার  চিন্তন যথাযথ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি?

উত্তর - চিন্তার যথাযথ ও চিন্তার যথার্থতা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। আর এক্ষেত্রে বক্তা যখন তার চিন্তণের বিষয়টি উপস্থাপিত করেন তখন তিনি তথ্য সহকারে উপস্থাপন করলেন কিনা অর্থাৎ তার চিন্তার বিষয়টি তথ্যবহুল হলো কিনা তার জন্যই সবিচার চিন্তনের যথাযথ হওয়া প্রয়োজন। মোটকথা বক্তার আলোচ্য বিষয়টি তথ্যবহুল করার জন্যই সবিচার চিন্তন যথাযথ হওয়ার প্রয়োজন।


2) যুক্তি কি এবং কি নয়?

উত্তর - একটি যুক্তি হলো এমন একটি বাক্যসমষ্টি যেখানে একটি বা কয়েকটি পূর্ব স্বীকৃতি বা আশ্রয় আছে এবং একটি সিদ্ধান্ত আছে। এখানে পূর্ব স্বীকৃতি গুলিকে যুক্তি প্রদানকারী ব্যক্তি সিদ্ধান্তের সত্যতাকে প্রমাণ করেন। কিন্তু --

    যখন আমরা কোন তথ্য বা যুক্তি উপস্থাপিত করি সেই যুক্তি যদি সব সময় তথ্যের দ্বারা বা বিচারের দ্বারা সমর্থিত না হয়,তবে সেটি যুক্তি নয়।


3) আমরা কিভাবে যুক্তি চিনতে পারি?

উত্তর - যখন কোন যুক্তি সিদ্ধান্ত টি পূর্ব স্বীকৃতি বা আশ্রয় বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নি:শ্রিত হয় এবং সিদ্ধান্তের সত্যতা যুক্তি হিসেবে প্রমাণিত হয় তখন সেটিকে আমরা যুক্তি হিসেবে চিনতে পারবো।



4) লুক্কায়িত আশ্রয় বাক্যের উদাহরণ

উত্তর - কিছু কিছু যুক্তির ক্ষেত্রে আশ্রয় বাক্য গুলি পরিষ্কারভাবে বলা হয় না। সেখানে কিছু কিছু আশ্রয় প্রচ্ছন্নভাবে সিদ্ধান্তের দ্বারা পূর্ব স্বীকৃত হয়। এক্ষেত্রে যুক্তির সঠিক বিন্যাস কে বোঝার জন্য লুকিয়ে থাকা আশ্রয়বাক্য গুলিকে চিহ্নিত করতে হয়। এই আশ্রয় বাক্যগুলিকে বলা হয় লুক্কায়িত আশ্রয়বাক্য।

উদাহরণ - 

আমাদের নৈতিক কর্তব্য হলো ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করা।

 অতএব আমাদের কর্তব্য হলো কৃত্রিম উপায়ে ফসল প্রস্তুত করা।

(এখানে লুক্কায়িত আশ্রয় বাক্যটি হলো- 'কৃত্রিম উপায়ে নির্মিত ফসল অধিক খাদ্য সঞ্চয়ে সহায়ক)









Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প